পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩

মেধা বিকাশ ও দক্ষতা উন্নয়নে করণীয়

বাংলাদেশের বয়স ৫৪ হতে চলছে, ইতিমধ্যে এর অর্থনীতির বপু এবং শিল্প উদ্যোগে ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে।

দেশটি কৃষি এবং ট্রেডিং নির্ভরতা থেকে ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পে অগ্রসরমান  বাংলাদেশ জনসংখ্যার ভারে ন্যুজ একটি দেশ। সে কারণে স্বাভাবিকভাবেই এদেশের কর্মক্ষম জনগণ কে কর্মকুশল মানব সম্পদে পরিণত করার অনিবার্যতা মোক্ষম সময়ে উপনীত হয়েছে। কেননা ২০০৫ সাল থেকে বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ কর্মক্ষম জনসমষ্টির আওতায় চলে এসেছে, যা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট নামে পরিচিত। সনাতন শর্তানুযায়ী ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট মূলত ৩ দশক পর্যন্ত সৃজনশীল এবং উন্নয়ন অভিসারী অভিযাত্রায় থাকে। ইতিমধ্যে তার এক দশকের বেশি সময় চলে গেছে, সামনে আরো দেড় দুই দশক বাকী আছে। এই সময়ের মধ্যে বিদ্যমান কর্মপোযোগীদের কে উৎপাদনশীল কাজে নিয়োজিত করতে না পারলে বা তাদের কে কর্মসম্পাদনে দক্ষ, উপর্যুক্ত কাজ, এবং পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারলে তারা অলসতায় (শয়তানের কর্মশালা হিসেবে), অকমন্যতায়, হতাশায় ডেমোগ্রাফিক ডিজাষ্টারে পরিণত হতে পারে। কেননা সমাজে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়ে গেলে তারা নিজেরাই নিজেদের, পরিবারের ও দেশের জন্য বোঝা বা বিপদের বা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর সেই ক্ষতির ধকল কাটিয়ে উঠতে জাতির জন্য প্রয়োজন হবে প্রচুর সময় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দিতে হবে বিশেষ মাশুল।


বিগত ৫৪ বছরে বাংলাদেশের বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থা এদেশের জনগণ কে বিশেষ করে যুব সমাজ কে কার্যকর জনসম্পদে বা প্রশিক্ষিত লোকবল হিসেবে গড়ে তুলতে পারেনি। যার জন্য এদেশ থেকে বিদেশে যাচ্ছে অদক্ষ শ্রমিক আর বিদেশের দক্ষ জনবল এদেশের মধ্য ও উচ্চতর পদগুলিতে বেশি বেতনে নিয়োজিত হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয় সমাপনকারী ডিগ্রিধারী শিক্ষিতের সংখ্যা বেড়েছে; কিন্তু তাদেরকে দেশের উদীয়মান শিল্পে, সরকারী—বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ যোগ্য হিসেবে পাওয়া যাচ্ছেনা। বাংলাদেশী জনসম্পদের মধ্যে সীমাবদ্ধতা সমূহের মধ্যে অন্যতম—

১। উৎপাদন কিংবা সেবা খাতে করিৎকর্মা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার মত প্রয়োগিক ভাষা ও জ্ঞানের অভাব।
২। সৃজনশীল তথা উদ্ভাবনী শক্তি প্রয়োগে সংশয়, সংকোচ তথা অপরাগতা।
৩।  প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কর্ম দক্ষতা বা কার্যকর জ্ঞানের অভাব।
৪। উপযুক্ত বাজার সৃষ্টি বা খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে আগ্র, নিষ্ঠা ও দক্ষতার অভাব।
৫। বাজারজাত করণে দক্ষতা, আগ্রহ ও তৎপরতায় ঘাটতি। 
৬। বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবস্থাপনায় অপটু।
৭। ক্রয় বিক্রয় পরিচালনায় নিষ্ঠার অভাব।
৮। সূক্ষ্ম ও জটিল বিষয়দি বিশ্লেষণ  এবং সমাধানের পথে থাকার প্রজ্ঞার অভাব।
৯। লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রায়োগিক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা।
১০। উদ্যম ও উদ্যোগ কে টেকসই করণে নিষ্ঠার অপ্রতুলতা।
বিভিন্ন পর্যালোচনায় বেরিয়ে এসেছে যে, বাংলাদেশী তরুণ উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপকদের মধ্যে নেতৃত্বদানের দুর্বলতা, প্রায়োগিক জ্ঞানের নিম্নগামীতা, প্রশিক্ষণ এবং অধিক শিক্ষাগ্রহনে আগ্রহের অভাব, সৃজনশীল পৃষ্ঠপোষকতাদানের ঘাটতি বা কমতি রয়েছে। বাংলাদেশের জন্য উঠতি বিশ্ব বাজারে টিকে থাকা কিংবা অধিকতর যোগ্যতা নিয়ে এগিয়ে াওয়ার মত উপর্যুক্ত ও দক্ষ জনবলের যেমন প্রয়োজন তেমনি টেকসই ও লাগসই প্রযুক্তি প্রয়োগ ও সমন্বয়ে দক্ষ জনবলের প্রয়োজনীয়তা অপরীসীম। তার সাথে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক কর্ম কুশলতা। এই প্রয়োজনীয়তার বিপরীতে দেখা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার গুণগত মান কমে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন সম্প্রসারণমূলক কর্মকান্ডে নতুন নতুন যেসব চ্যালেঞ্জ দেখা যাচ্ছে, সেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে তা মোকাবেলা করার জন্য পর্যাপ্ত ও উপর্যুক্ত লোকবলের অভাব প্রকট হয়ে উঠেছে।

এই সহ¯্রাব্দের শুরু থেকে বলতে গেলে বিশেষ করে মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বাস্তবায়ন যখন শুরু হয় তখন  থেকে বাংলাদেশে দক্ষ জনবল বা মানব সম্পদ তৈরির প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়ে নানা উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে। দাতা সংস্থার পরামর্শ ও অর্থায়নে ইতিমধ্যে বেশ কিছু সংস্থা, প্রকল্প, সরকারী—বেসরকারী উদ্যোগ গৃহীত হলেও  দৃশ্যমান দক্ষ জনবল সেভাবে যে গড়ে উঠেনি তা বিগত দেড় দশকে বাংলাদেশে কর্মসৃজন, বিদেশে দক্ষ জনবল পাঠানোর এবং এদেশে বিদেশীদের নিয়োজ্জন সংক্রান্ত পরিসংখ্যান থেকে প্রতিভাত হচ্ছে। বিগত দেড় দশকে বরং দেখা গেছে প্রতিবেশী দেশ সমূহ থেকে উর্দ্ধ ও মধ্যম পর্যায় ব্যবস্থাপক, পরামর্শক, সংগঠন ও কমীর্রা এসে বাংলাদেশে গার্মেন্টস সহ বিভিন্ন আর্থিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত হয়েছে, ফলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে প্রত্যাবাসিত হচ্ছে। অপরদিকে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে দক্ষের পরিবর্তে অদক্ষ শ্রমিক প্রেরণের মাত্রা বেড়েছে। যদিও এই দেড় দশকে দেশে পরীক্ষায় পাশ নির্ভর  প্রচুর শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর উদ্ভব ঘটেছে বা শ্রম বাজারে প্রবেশ করেছে কিন্তু উঠতি বাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার মত পর্যাপ্ত ও কার্যকর জ্ঞান দিয়ে তাদের নিয়োগ করা যায়নি এই অনুযোগে যে, তারা প্রতিবেশী দেশ সমূহের কমীর্দের তুলনায় চটপটে, পটু, প্রায়োগিক জ্ঞান সম্পন্ন হওয়া থেকে পিছনে রয়েছে। 

এইরুপ, অদক্ষ অর্ধ শিক্ষিত জনসম্পদ বছর বছর তাদের চাকুরীর বয়স খুইয়ে স্থায়ী বেকারে পরিণত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে শিল্প, বাণিজ্য ও বিণিয়োগের যে কর্ম সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে সেখানে উপযুক্ত দেশীয় লোকবল সংস্থান করা যাচ্ছেনা; অথচ সেগুলো বিদেশীদের দ্বারা পূরণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ গার্মেন্টস শিল্প একটি অতি সম্ভাবনাময় শ্রমিক নির্ভর শিল্প। সেখানে মধ্য পর্যায়ের অধিকাংশ ব্যবস্থাপক, পরিচালক, নকশাকার হিসেবে নিয়োজিতরা বিদেশী। যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, গার্মেন্টস এর বায়াররা প্রতিবেশী দেশে (যারা আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের প্রতিদ্বন্দ্বী) বসে সে দেশের লোক নিয়োগ না করলে আমাদের বাজার হারাতে হবে— এ ধরণের একটি অঘোষিত হুমকি রয়েছে। এর ফলে দেশী শিক্ষিত বেকারকে কর্মসংস্থানের চাহিদা করণে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয় এবং চাকুরীর না পেয়ে বাংলাদেশে শিক্ষিত তরুণরা হতাশায় নিমজ্জিত। একই সময়ে দেশের টেকনিক্যাল শিক্ষার পরিবর্তে সাধারণ শিক্ষার জয়যাত্রা অব্যাহত থাকায় দক্ষ জনবল সরবরাহের পরিস্থিতি এমন একটি নৈতিবাচক পর্যায়ে যাচ্ছে যে দীর্ঘ মেয়াদে তাতে এক করুণ ও আত্মঘাতী পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। আশংকা প্রকাশ পাচ্ছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট ডেমোগ্রাফিক ডিজষ্টারে পরিণত হতে পারে।

জন সম্পদ উন্নয়নে বিদ্যমান এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা এবং উন্নত পর্যায়ে উত্তরণ শুধু জরুরী নয়, অনিবার্যও বটে। এখনই যদি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া হয় তাহলেও আমাগী ১৫ বছরের আগে সেই দক্ষ জনবলের সাক্ষাত মিলবেনা। ততদিনে বর্তমানে বিদ্যমান বেকার ও অদক্ষ শিক্ষিত জনসম্পদ উপরে ও নীচের জন্য জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসে থাকবে। ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধান পর্যায়ে বিদেশীদের নিয়োগ অব্যাবহত থাকলে বা রাখলে দেশের চাকুরী বাজার দেশীয়দের জন্য আরো অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। এহেন পরিস্থিতি থেকে কার্যকরভাবে পরিত্রাণ পেতে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পদক্ষেপ গ্রহন অনিবার্য হয়ে উঠেছে। গাল ভরা শব্দমাখা, দেশী বিদেশী কনসালট্যান্ট ও বিদেশী সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পের মাধ্যমে অনুসন্ধান পরীক্ষা পর্যালোচনার পথে থেকেও একটি আত্মনির্ভরশীল পরিস্থিতি সৃজনে নিজেদের ভাবনায় বা উদ্যোগে নিম্নবর্ণিত পদক্ষেপ গ্রহন করা যেতে পারে—
সাময়িক/স্বল্পমেয়াদী/তাৎক্ষণিকঃ

১। দেশের জনবলকে দেশে নিয়োগ বা  আত্মীকরণ নিশ্চিত করা। বাইরের বায়ারের চাপে, কিংবা বাইরের কমীর্দের স্মার্টনেসের যুক্তিতে তাদের নিয়োগ করা থেকে বিরত থেকে দেশীয়দের নিয়োগে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তথা চাহিদা সৃষ্টি করতে হবে। নিজেরা যদি নিজেদের লোকবল নিয়োগের জন্য ঝঢ়ধপব না রাখি বা পদ সৃষ্টি না করি তাহলে দেশীয়দের চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নয়ন হবেনা। দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে।

২। পেশাজীবি ও শিল্প গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠান নিজেরদের প্রয়োজন অনুযায়ী লোকবল তৈরীর জন্য বিশেষায়িত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারেন। ইতিমধ্যে বিজিএমইএ সহ কয়েকটি সংস্থা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনষ্টিটিউট গড়ে তুলছে। কিন্তু সে সবের বাস্তবায়ন বড্ড ধীরগতি সম্পন্ন এবং অনেক ক্ষেত্রে দক্ষ লোকবল তৈরীর কাজ এখনো শুরু হয়নি, শুরু হলেও ফলাফল মানসম্মত ফলাফল পেতে দেরী হচ্ছে। মনে রাখতে হবে সময় কারো জন্য বসে থাকবেনা।

৩। বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়াশোনা করছে তাদের ভাষাও টেকনিক্যাল জ্ঞান,
তাদের সৃজনশীলতার বিকাশ ভাবনা গতানুগতিক অবয়বে না রেখে তাদের জন্য নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি বিশেষ ব্যবস্থাপনাধীনে ভাষা চর্চা ও ব্যবহারের দক্ষতা অর্জনের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। তা না হলে বিদ্যমান শিক্ষার্থীরা শ্রম বাজারে গতানুগতিক অদক্ষ অবস্থায় প্রবেশ করবে। 

৪। অদক্ষ শ্রমিক প্রেরণের পথ পরিবহার করে বিদেশে দক্ষ শ্রমিক প্রেরণের লক্ষ্যে এবং দেশে দক্ষ জনবল সৃষ্টির জন্য আলাদাভাবে বিশেষ তহবিল গঠন করে বিশেষ কার্যক্রম/উদ্যোগ নিতে হবে। বিদ্যমান সকল বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে প্রকৃত পক্ষে কি শেখানো হচ্ছো তা কঠোর তদারকীতে এনে সেখানে গুণগত শিক্ষাদান নিশ্চিত করতে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে।

৫। অদক্ষের পরিবর্তে দক্ষ জনবল প্রেরণ করতে পারলে বেশী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। দেশে দক্ষ জনবল পাওয়া গেলে বিদেশীদের নিয়োগ বন্ধ হলে ব্যাপক বিদেশী মুদ্রা ব্যয় সাশ্রয় ঘটবে। সরকারকে সম্পদ ব্যবস্থাপনায় এই লাভ লোকসানের সমীকরণটি যথা বিবেচনায় নিয়ে সাধারণ শিক্ষার পরিবর্তে বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রতি মনোযোগী এবং যেখানে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের গুণগত মান বজায় রাখার ব্যাপারে কড়া তদারকী  নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বিভিন্ন  প্রশিক্ষণ সংস্থা, বা প্রতিষ্ঠান যে সমস্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহন করবে তাকে সুলভ করতে কর রেয়াত কিংবা প্রনোদনা দেয়া যুক্তিযুক্ত হবে।

মধ্যমেয়াদীঃ
৬। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রমে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি বিশেষ প্রয়োগিক জ্ঞানের পাঠ্যসূচি কার্যক্রম সংযুক্ত করণ।
৭। বিদেশে দক্ষ শ্রমিক প্রেরণে সচেষ্ট থাকা। অদক্ষ শ্রমিক প্রেরণের ক্ষেত্রে তাদের প্রেরণ ব্যয় যাতে সীমিত থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা। কেননা অদক্ষ শ্রমিকেরা বিদেশে বেশী বেতন পায়না অথচ তাদের যেতে যদি বেশী অর্থ ব্যয় হয় তাহলে তাদের প্রত্যাবসনের দ্বারা প্রকৃতভাবে অর্থনীতি কোনভাবে উপকৃত হবেনা।

দীর্ঘমেয়াদী
৯। সাধারণ শিক্ষার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত রেখে সাধারণ শিক্ষা এবং পরবতীর্ পর্যায়ে প্রয়োগিক বা বৃত্তিমূলক টেকনিক্যাল শিক্ষার দিকে অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে ধাবিত করা। শুধু মাত্র উচ্চ মেধা সম্পন্ন ও গবেষণা ইচ্ছুকরা উচ্চ শিক্ষা পর্যায়ে যেতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সাধারন শিক্ষা পর্যায়ক্রমে নিরুৎসাহিত করা।

#সংগ্রহীত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন