বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৭

গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার (আন্তর্জাতিক বিতরণ কেন্দ্র) বা জিডিসি

গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টা’  সাধারণত বন্দর নগরীতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে এবংকম্পিউটার নেটওয়ার্কেরমাধ্যমে বিভিন্ন মালামাল কোথায় কত দামে কি পরিমাণে কখন পাওয়া যায় তার একটি ডাটাবেজ (তথ্য ভান্ডার) তৈরি এবং রক্ষণা বেক্ষণ করা হয় তুলনামূলক কম দামে যথেষ্ট পরিমাণ মালামালের চাহিদা যদি অন্যত্র বেশি মূল্যে যথেষ্ট পরিমাণে থেকে থাকে, ব্যবসায়িক কর্মকান্ডরূপে তা কম দামে গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারে আনায়ন করে পুনরায় প্যাকিং করে বেশি দামে যেখানে চাহিদা রয়েছে সেখানে তা প্রেরণ করা (দেশে বা বিদেশে)গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারেরমুখ্য ব্যবসা এবং এই ব্যবসা গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার/সিস্টেম নামে পরিচিত পদ্ধতি ইন্দোনেশিয়া, চায়না, ফিলিপাইনে অত্যন্ত সাফল্য অর্জন করেছে। সাধারণত, গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমেরমাধ্যমে ওয়্যার হাউজ (গুদাম) অথবা স্পোসালাইজড বিল্ডিং (বিশেষায়িত ভবন) অথবা রেফ্রিজারেশন (শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত) গুদামে  অন্য দেশ হতে পন্য  সামগ্রী আনায়ন করে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় এবং যেখানে তার চাহিদা রয়েছে সেখানে প্রেরণ করা হয়

গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশ সেন্টারের ধারণা


যুযোপযোগী সম্ভাবনা এবং ইতিবাচক দিকঃ
গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম’ নামে ব্যবসা খাতে তথা আমদানী রপ্তানী সংক্রান্ত ব্যবসায় একটি নতুন দিগন্তের আবির্ভাব হয়েছে তার যুগোপযোগী সম্ভাবনা এবং ইতিবাচক দিক নিন্মে প্রদান করা হলঃ-

1। আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।
2। অধিক কর্মসংস্থান হবে।
3। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে।
4। দেশের ক্রম বর্ধমান ভোগ্য পণ্যের চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করবে।
5। ভোগ্য পণ্য ব্যবস্থাপনায় সরকারের উপর চাপ কমাবে।
6। আর্ন্তজাতিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে।
7। বাজার স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়ক হবে।
8। পরিবহণ সেক্টরে কর্মসংস্থান হবে।
9। বাজার ব্যবস্থাপনায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
10। ভোক্তারা ন্যায্য মুল্যে পণ্য কিনতে পারবে।
11। রেডি মেড গার্মেন্টস পণ্য (RMG) রপ্তানিতে ভূমিকা রাখবে।


বাংলাদেশে সর্ব প্রথম গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার (আর্ন্তজাতিক বিতরণ কেন্দ্র) প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে এ.কে খান এন্ড কোম্পানি লিঃ

বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামের  কে খান গেইট সংলগ্ন অলংকার মোড় নামক স্থানে  কে খান এন্ড কোম্পানী লিঃ গ্রুপের ২৫ একর জায়গায় গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন  সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে এবং এলক্ষ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রাথমিক আবেদন করা হয়েছে। এ কে খান এন্ড কোম্পানি লিঃ জিডিসি বা গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করার জন্য কয়েকটি বিদেশী কোম্পানী, যাদের  সংক্রান্ত সেন্টার প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করেছে। 
ফলশ্রুতিতে এই সমস্ত কোম্পানিগুলো  যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার স্থাপনের জন্য আগ্রহ প্রকা করেছে এ কে খান এন্ড কোম্পানি অধিকাংশ শেয়ার তাদের 
নিজস্ব মালিকানধীন রেখে অধিকতর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কারিগরি দক্ষতার সাথে সেন্টার পরিচালনা জন্য কিছু শেয়ার অনুরূপ বিদেশী প্রতিষ্ঠান কে দিয়ে গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করাবেইতোমধ্যে সেন্টার প্রতিষ্ঠার লক্ষে একটি বিদেশী প্রতিষ্ঠান কে আয় ব্যয়ের একটি স্কেচ/প্রতিচ্ছবি/খসড়া  প্রণয়ণ করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই বিদেশী প্রতিষ্ঠানটি দেখিয়েছে যেপ্রথম বছর . মিলিয়ন ইউএস ডলার মুনাফা আয় করা সম্ভব হবে যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে চার বছরের এসে . মিলিয়ন ইউএস ডলারে উন্নীত হবে

আর্ন্তজাতিক বিরতন কেন্দ্র বা গ্লোবাল ডিষ্ট্রিবিউশন সেন্টার পরিচালনার জন্য এ কে খান এন্ড কোম্পানি লিঃ এর পক্ষ থেকে সরকারের নিকট যে সুযোগ-সুবিধা চেয়েছে বা যে প্রস্তাব দিয়েছে তা নিন্মরুপঃ
.   গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার এলাকাকে চিহ্নিত করে বন্ডেড (শুল্কাধীনঘোষণা করা এবং তথয়       মালামাল আনা নেয়া ‘ড্র এন্ড ব্যাক সিস্টেম’ এর মাধ্যমে শুল্কমুক্ত আওতাধীনে রাখা
.   যারা গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার পরিচালনা করবে তাদের অঙ্গীকারনামার ভিত্তিতে বন্ডিং এর        মাধ্যমে আমদানী রপ্তানী করার অনুমতি দেয়া
.    বন্ডিং পরিচালনাকারীগণ যে সকল আইটেম অথবা পণ্য বা মালামাল তাদের বন্ডিং এর মাধ্যমে      আনায়ন এবং বিতরণ করতে ইচ্ছুক তা পূর্বে আপনাদের নিকট জানিয়ে দেয়া এবং তা আপনারা গ্রহন করে অনুমোদন দেয়ার ব্যবস্থা করা
.   গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারের জন্য সেন্টারের সীমানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অফিস বিরতিহীন    ভাবে ২৪ ঘন্টাসাপ্তাহিক সাত দিন খোলা রাখা
.   গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার প্রতিটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চলের সুবিধা সহ স্থাপন
    করা
.   গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার কে ‘টেক্স হলিডে’ দেয়া
.    ৫১শেয়ার দিয়ে বিদেশী বিণিয়োগকারী কে উৎসাহিত করা

পরিশেষেঃ
গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার (জিডিসিঅনেক দেশে প্রচলিত 'এন্টারপ্রোটসুবিধা অধীনে একটি মান জোড়া বন্ধ্য গুদাম হয় এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হল বাজারের মূল্য স্থিতিশীল রেখে ক্রমবর্ধমান যে পণ্যের চাহিদা রয়েছে তার যোগান নিশ্চিত করে GDC হলো একটি বিশ্বব্যাপী সরবরাহ নেটওয়ার্কের ভিত্তি। এই নেটওর্য়াকের মাধ্যমে  বিশ্বের কোন কোন যায়গায় অধিক চাহিদা ভিত্তিক পণ্য কম দামে পাওয়া যায় তা ক্রয় করে যেখানে অধিক লাভে অথচ প্রচলিত দামে বিক্রি করা যায় তা পরিচালনা করা হয়।
তে করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সাথে দক্ষ জনশক্তি এবং অধিক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে দেশে ক্রমবর্ধমান তৈরি পোষাক শিল্পের ব্যবসা এতে উপকৃত হবে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Recent Post

Sample Notice of Share Transfer

Intimation of Intended Share Gift by Mr. DK Khan, Managing Director,  ST Securities Limited