পৃষ্ঠাসমূহ

বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০১৯

বাস্তবায়নের পথে এ কে খান অর্থনৈতিক অঞ্চল। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কর্মসংস্থান হবে লক্ষাধিক মানুষের।

এ কে খান ইকোনমিক জোন

চিত্র:  এ কে খান অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্পের সাইট অফিস

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ২৮-০২-২০১৬ তারিখে উদ্বোধনকৃত এ কে খান এন্ড কোং লিঃ কর্তৃক নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলাধীন কাজৈর ও কাজিরচর মৌজায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে কম/বেশী ২০০ একর ব্যক্তি  মালিকানাধীন জমিতে এ কে খান অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্প (এ কে খান কন্টেইনার টার্মিনাল সহ) বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান আছে।

এ প্রকল্পটি বিগত ১০-০২-২০১৫ তারিখে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রাক-যোগ্যতা সনদ অর্জন করে। অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আইন-২০১০ এর (৫) ধারা অনুযায়ী সরকার কর্তৃক ঘোষিত অর্থনৈতিক অঞ্চল সমূহ জনস্বার্থে প্রতিষ্ঠিত বলে বিবেচিত।

প্রস্তাবিত এ কে খান অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্পটিতে বিদেশী কোম্পানীর সঙ্গে যৌথ মালিকানায় অনেকগুলি শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হবে বিধায় সেখানে কম/বেশী এক লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হবে।  ফলে দেশে তথা পলাশ, নরসিংদী ও তৎসংলগ্ন এলাকার বিশাল আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, বেকারদের বেকারত্ব দূর করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করনে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

এছাড়াও এ কে খান অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্পের সহযোগী ও অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পাশাপাশি এ কে খান কন্টেইনার টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বিদেশে রফতানী বা বিদেশ হতে আমদানীকৃত মালামালের কাষ্টমস ও যাবতীয় সরকারী আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে কোম্পানীর নিজস্ব জাহাজে নদী পথে ঢাকা/চট্টগ্রামে দ্রব্য সামগ্রী আনা/নেয়া যাবে। এতে আমদানী ও রফতানীকারকদের পরিবহন খরচ কম লাগবে, সময় কম লাগবে এবং ব্যবসায়ীগন দুশ্চিন্তামুক্ত থাকবেন। সে প্রেক্ষাপটে এ কে খান কন্টেইনার টার্মিনাল এর বাস্তবায়ন এ কে খান অর্থনৈতিক অঞ্চল এর বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করবে।                   

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তপক্ষ  দ্বারা ইস্যুকৃত এ কে খান অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিতব্য
শিল্পখাতসমূহঃ

    ০১।     অটোমোবাইল, মোটরসাইকেল ও খুচরাযন্ত্রাংশ।
    ০২।     স্টিল ও অধাতব তৈরীপণ্য।
    ০৩।     প্লাস্টিকপণ্য ও যন্ত্রাংশ।
    ০৪।     ইলেকট্রিকপণ্য ও পণ্যেরযন্ত্রাংশএবংযন্ত্রাংশেরঅংংবসনষব।
    ০৫।     তথ্য প্রযুক্তিউপকরণ।
    ০৬।     চিকিৎসাবিষয়কউপকরণ ও যন্ত্রাংশ।
    ০৭।     ফার্মাসিউটিক্যালস।
    ০৮।     কৃষিশিল্প ও প্রক্রিয়াজাতখাদ্য।
    ০৯।     পোষাক ও বস্ত্রশিল্প।

প্রকল্পটির উন্নয়ন ব্যয় হবে প্রায় ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রকল্প বাস্তবায়নের পর পরবর্তীতে ১০ (দশ) বছরের মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পখাতে প্রচুর দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগণ এদেশে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবে।

সামগ্রিক কর্ম সংস্থানের সম্ভাবনাঃ- ০১ (এক) লক্ষ। প্রস্তাবিত কর্মসংস্থান সংক্রান্ত তথ্যঃ
বৎসর    প্রত্যক্ষ নিয়োগ    পরোক্ষ নিয়োগ
১             ১৫,০০০            ১৫,০০০
২            ২৫,০০০             ২৫,০০০
৩           ৩৫,০০০            ৩৫,০০০
৪            ৪৫,০০০              ৪৫,০০০
৫            ৫০,০০০              ৫০,০০০
গড়         ১০,০০০              ১০,০০০

প্রস্তাবিত কর্মসংস্থানের ধরণ [বাংলাদেশীএবং বিদেশী নিয়োগ হিসাবে বিভাজন (প্রথম পাঁচ বছর)


চাকুরীরধরন         প্রথম বৎসর                                    পাঁচ বৎসর                           দশ বৎসর
                           (বাংলাদেশী এবং বিদেশী)                 (বাংলাদেশী এবং বিদেশী)       (বাংলাদেশী এবং বিদেশী)
   
ব্যবস্থাপনা               ৫                                                    ১৫                                      ১৫
প্রশাসনিক               ১৫                                                   ৪৫                                      ৪৫
কারিগরি                ৫০                                                  ১৫০                                   ১৫০
দক্ষ                        ৮০০০                                             ৩০,০০০                            ৩০,০০০
অদক্ষ                    ৮৬,৯৩০                                         ১৯,৭৯০                            ১৯,৭৯০
নারী                     ১৫,০০০                                            ৫০,০০০                            ৫০,০০০
 মোট                    ৩০,০০০                                            ১০০০০০                           ১০০০০০


প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বর্তমানে এ কে খান অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করা যায় 2020 সালে এ কে খান অর্থনৈতিক অঞ্চল বা এ কে খান ইকোনমিক জোন প্রকল্পটি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) থেকে ফাইনাল লাইসেন্স লাভ করবে।

সূত্রঃ এ কে খান কর্পোরেট অফিস।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন