সোমবার, ১ আগস্ট, ২০২২

শরীয়তপুর জেলার ভ্রমণ গাইড।

প্রয়োজনে কিংবা ভ্রমণের উদ্যোশ্যে শরীয়তপুর ঘুরে আসতে পারেন। শরীয়তপুর জেলাকে বাংলাদেশের বৃহৎ দুটি নদী যথা পদ্মা ও মেঘনা সাপের মতো পেঁচিয়ে রেখেছে। নদীমাতৃক হওয়ার কারণে মাটি নরম, উর্বর এবং ভাঙ্গন প্রবণ এলাকা। হাজার বছরের সাংস্কৃতি ও ঐতিহ্য না থাকলেও মুঘল সেনাতি  মানসিংহ ও কেদার রায়ের ঐতিহাসিক যুদ্ধ বিজরিত একটি স্থান। শরীয়তপুরের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল বর্তমান গোসাইরহাট প্রাচীনকালে বৃহত্তর মাদারিপুর মহকুমার অন্তর্ভুক্ত ছিল। তখন এর  নাম ছিল ইদিলপুর। ইদিলপুর এলাকাটি কোটালিপাড়া বা চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এখনও গোসাইরহাট উপজেলার একটি ইউনিয়নের নাম ইদিলপুর আছে যা অতীত ইতিহাসকে স্মরণ করিয়ে দেয়। পরবর্তীতে জেলার বৃহৎ অংশটি বিক্রমপুরের স্টেটের অধীনে চলে যায়, তখন তার নাম হয় কেদারপুর। শরীয়তপুরের আরেকটি প্রাচীন নাম আছে তাহলো ইন্দ্রাকপুর পরগনা।


 

দর্শণীয় স্থানঃ

মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম।

বুড়ির হাট মুন্সী বাড়ী ও মসজিদ।

রুদ্রকর মঠ।

শিবলিঙ্গ।

মহিষারের দীঘি।

হাটুরিয়া জমিদার বাড়ি।

রাম সাধুর আশ্রম।

ধানুকার মনসা বাড়ি।

ছয়গাঁও জমিদার বাড়ি।

 কার্তিকপুর জমিদার বাড়ি।

কোদালপুর দরবার শরীফ।

সুরেশ্বর দরবার শরীফ।

লাকার্তা শিকদার বাড়ি।

পন্ডিতসার চিশতীনগর দরবার শরীফ।

সখিপুর আনন্দবাজার বেরিবাধ।

আলুর বাজার ফেরিঘাট।

সাইখ্যা ব্রিজ।

ঠান্ডা বাজার মাছের আড়ৎ।

শরীয়তপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ

শরীয়তপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা অত আধুনিক না হলেও বাংলাদেশের যেকোন যায়গা থেকে শরীয়তপুরে পাঁচটি পয়েন্ট দিয়ে যাতায়াত করা যায়।

১। মুন্সিগঞ্জ দিয়ে পদ্মা সেতু পার হয়ে। ঢাকার গুলিস্তান (ফুলবাড়িয়া), যাত্রাবাড়ি বাস স্টান্ড থেকে শরীয়তপুরের উদ্যোশে বহু সংখ্যক বাস শরীয়তপুরের উদ্যোশ্যে ছেড়ে যায়।বাসগুলির মধ্যে বিআরটিসি বাস গোসাইরহাট, ডামুড্যা, নড়িয়া, জাঝিরায় চলাচল করে। তাছাড়া মুন্সিগঞ্জ থেকে ট্রলারের মাধ্যমে পদ্মা পাড়ি দিয়ে শরীয়তপুরে প্রবেশ করতে পারবেন।

২। চাঁদপুর- শরীয়তপুর ফেরিঘাটঃ চাঁদপুরের হরিনা হয়ে ইব্রাহিমপুর ফেরিঘাটে নেমে শরীয়তপুরে সহজে যাতায়াত করতে পারবেন। চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট ও চাঁদপুর নদী বন্দর থেকে প্রতি আধা ঘন্টা পরপর শরীয়পুরের ইব্রাহিমপুর ফেরিঘাটে ট্রলার আসা-যাওয়া করে।

৩। হিজলা মুলাদি থেকে গোসাইরহাটেঃ বরিশালের হিজলা- মুলাদি থেকে ট্রলার যোগে নদী পথে শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে যাতায়াত করতে পারবেন। ছোট ছোট অটোরিক্সাও চলাচল করে।    

৪। মাদারীপুর থেকে মনোরা বাস স্টান্ডঃ মাদারিপুরের বাসস্টান্ড থেকে প্রতি আধা ঘন্টা পরপর শরীয়তপুরের মনরা বাসস্টান্ডে বাস ছেড়ে যায়।

৫। সদরঘাটে লঞ্চের মাধ্যমেঃ ঢাকার সদর ঘাট থেকে শরীয়তপুরের বিভিন্ন ঘাটে লঞ্চ ছেড়ে যায়। লঞ্চের মাধ্যমে গোসাইরহাট, ইব্রাহিমপুর ফেরিঘাট (চাঁদপুর হয়ে চলাচল করে), জাজিরা, ডামুড্যা, ভেদরগঞ্জ, নড়িয়ায় যাতায়াত করতে পারবেন।

যাবেন নাকি শরীয়তপুর?  

এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের সামন্য উপকারে আসে তাহলে মন্তব্যের মাধ্যমে অবশ্যই আমাদের জানাবেন।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Recent Post

Sample Notice of Share Transfer

Intimation of Intended Share Gift by Mr. DK Khan, Managing Director,  ST Securities Limited