কোম্পানির ভবিষ্যৎ অপারেশন, নিরবিছিন্ন মানব সম্পদের সেবা নিশ্চিতকরণ এবং কর্মীদের প্রয়োজনেই মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাছাড়া মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির পরিচালনার একটি কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ, যেখানে প্রতিটি স্তর বৈজ্ঞানিক পদ্বতি অনুশীল করে।
প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির প্রথম কার্য তালিকায় রাখতে হবে। দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করতে হলে কর্মীদের পিছনে খরচ হতে পারে কিন্তু পরবর্তীতে এর একটি সুনির্দিষ্ট ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। উচ্চ দক্ষতাসম্পূর্ণ মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা দক্ষ ও মেধাবী কর্মীদের খুঁজে বের করতে পারে। একটি স্টান্ডার্ড মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির পরিকল্পনা অনুযায়ী- নারী ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করে যাতে একে বারে পিছন থেকেও দক্ষ কর্মী সৃষ্টি হয়।
১। কর্পোরেট পরিকল্পনার অবিচ্ছেদ্য অংশ।
২। কর্পোরেট উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন করা।
২। শীর্ষ ব্যবস্থাপনার সমর্থন করা।
৩। মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কেন্দ্রীভূত করা উচিত।
৪। কর্মীদের রেকর্ড সম্পূর্ণ, আপ টু ডেট এবং সহজে উপলব্ধ করা।
৫। পরিকল্পনার সু-দিগন্ত দীর্ঘ হতে হবে।
৬। পরিকল্পনার কৌশলগুলির উপযোগিত থাকতে হবে।
৭। পরিকল্পনা দক্ষতার মাঠকাঠিতে প্রস্তুত করা উচিত।
৮। মানব সম্পদ ব্যবস্থপনা সময়ে সাথে সংশোধিত এবং উন্নত করা প্রয়োজন।
মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় বাধা:
১। কর্মচারী এবং ব্যবস্থাপনার মধ্যে মানুষিক দ্বন্দ।
২।HR সম্পর্কে ব্যাক ডেটেড ধারণা।
৩। অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা সংকুচিত করে কষ্ট মিনিমাইজ করতে চায়।
৪। স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী এইচআর চাহিদার মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকতে পারে।
৫। এইচআরপিতে পরিমাণগত এবং গুণগত পদ্ধতির মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
৬। অপারেটিং ম্যানেজারদের অ-সম্পৃক্ততা।
পরিশেষে, দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি ও পরিচালনার জন্য মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা ব্যাপক। আন্তজার্তিক কর্পোর্টে প্রতিযোগিতায় স্টান্ডার্ড মানব সম্পদ প্যাকটিস না করলে প্রতিষ্ঠান অন্যদের থেকে রেসে পিছিনে পড়ে যাবে। তাই একবিংশ শতাব্দীতে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপর গুরুত্ব ব্যাপক। বর্তমানে প্রতিটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান দক্ষ মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার কর্মপন্থা অনুশীলন করছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন