এ. কে খান কন্টইেনার
র্টামনিাল
অবস্থানঃ নরসিংদী
জেলাস্থ পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা নামক স্থানে একেকেসিটি বা এ কে খান কন্টেইনার টার্মিনাল
স্থাপন প্রক্রিয়া চলমান আছে।
কার্যক্রমের বিবরণঃ
১। প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ( Project Management) এবং
কারিগরি সহায়তা প্রদানের জন্য আর্ন্তজার্তিক প্রতিষ্ঠান Oriental
Consultant Co. Ltd. এর মাধ্যমে ICT এর FEED (Front End
Engineering Design সম্পন্ন
করা হয়েছে। ইতিমধ্যে টেন্ডার ডকুমেন্ট প্রণয়ন
শেষ হয়েছে। বিশ্ববিখ্যাত Price Water House Cooper(PWC) এবং DECO কোরিয়া উক্ত ICT এর সমীক্ষা
Feasibility Sturdy সম্পন্ন করে প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করেছে। Design
and Build পদ্ধতিতে কন্টেইনার
টার্মিনালটি নির্মাণ করা হবে। প্রকল্প ব্যবস্থাপনা (Project Management) এবং কারিগরি
সহায়তায় প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান জাপানের Oriental Consultant Co.
Ltd. এর সাথে প্রণীত চুক্তি অনুযায়ী পোর্ট নির্মানে প্রতিষ্ঠানটি যোগ্য ( কারিগর ও বাস্তব
অভিজ্ঞতা বিবেচনায়) ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে সম্পূর্ণ সহায়তা করবে, বন্দর নির্মানকালীন
সময়ে নির্মান কাজ তদারকী করবে এবং নির্মান পরবর্তী
এক (১) বছর বন্দর পরিচালনা সহ অন্যান্য কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর
পরীক্ষা নিরীক্ষা করে উক্ত প্রকল্পের অবস্থানগত ছাড়পত্র প্রদান করেছে। পরবর্তী পদক্ষেপ
হিসাবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের Environment Consultant এর মাধ্যমে EIA
(Environmental Impact Assessment)
প্রতিবেদন প্রণয়ন করে পরিবেশ অধিদপ্তর (DOE) এর নিকট Environment Clearance Certificate (ECC) এর জন্য আবেদন করা হয়েছে যা DOE এর বিগত ৪০২ সভায় অনুমোদিত
হয়।
ইতিমধ্যে “পাঁচদোনা ডাঙ্গা-ইসলামপুর ঘাট” সড়কটির ব্যাপারে
ECNEC কর্তৃক অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে এবং আশা করা যায় অনতিবিলম্বে উক্ত সড়কটির কাজ
শুরু হবে।
নদীর তীর (Foreshore) ব্যবহার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে
BIWTA এর সাথে ২.৩৮ একর নদীর তীর (Foreshore) ব্যবহারের চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে।
কিন্তু জেটি নির্মাণ কাজ এখনো শুরু নাই। তবে সহসা টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা শুরু
হবে আশা করা যায়। এবং 2019 সালের মধ্যে পোর্ট তার কার্যক্রম পুরাদমে শুরু করতে পারবে।
তীরভূমি লাইসেন্স নবায়নের জন্য ফি বাবদ (১১-০১-২০১৫
হতে ১১-০১-২০১৭ইং পর্যন্ত মোট দুই বৎসরের জন্য ) = টাকা ৪৫,৩৩,০০০/= (কথায়ঃ পঁয়তাল্লিশ
লক্ষ তেত্রিশ হাজার টাকা মাত্র) ১৪-০৭-২০১৬ তারিখে চেকের মাধ্যমে BIWTA কে পরিশোধ করা
হয়। BIWTA এর মনোনীত কমিটি এর মধ্যে প্রকল্প স্থান সরজমিনে পরিদর্শন সম্পন্ন করে প্রতিবেদন
উপস্থাপন করেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে নবায়ন বিষয়ে গ্রহীত সিদ্ধান্তসহ একটি পত্র ইতোমধ্যে
আমরা পেয়েছি।
দক্ষতার সাথে বন্দর পরিচালনার লক্ষে বিশ্ববিখ্যাত
প্রতিষ্ঠান Portek Port Holdings Pte. Ltd. এর সাথে MOU (সমঝোতা স্বাক্ষর) স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি
সিঙ্গাপুরের, তবে জাপানের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান Mitsui & Co এর মালিক। তারা (Portek Port Holdings
Pte. Ltd.) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১৩ (তের) টি বন্দর
পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ চুক্তি সম্পন্ন করার ব্যাপারে আলোচনা
অগ্রগতি হয়েছে এবং চূড়ান্ত চুক্তির করার শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এলক্ষ্যে কোম্পানীর উচ্চ
পর্যায়ের কয়েকজন প্রতিনিধি একাধিক বার সিংঙ্গাপুর সফর করেছেন।
অত্র প্রকল্প সংলগ্ন স্থানে ইতিমধ্যে একটি
বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চল একেকেইজেড (এ খান অর্থনৈতিক অঞ্চল) প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে যা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল
(বেজা) কর্তৃক অনুমোদিত এবং এ ব্যাপারে প্রাথমিক লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়েছে এবং চূড়ান্ত
লাইসেন্স পাওয়ার শেষ ধাপে অপেক্ষাধীণ রয়েছে। বিগত ২৮ শে ফেব্রুয়ারী ২০১৬ইং তারিখে মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী একসাথে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রম উদ্ধোধন করেন তার মধ্যে
এ কে খান অর্থনৈতিক অঞ্চল অন্যতম ছিল। উল্লেখ্য যে, এ কে খান কন্টেইনার টার্মিনালটি
উক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে বিআইডব্লিউটিএ (BIWTA) ঘোষণা করেছে।
টার্মিনালটি দক্ষভাবে পরিচালনার জন্য নিজেদের ব্যবস্থাপনায় কন্টেইনার সমূহ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে টার্মিনালে এবং টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পরিবহন ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে। উক্ত টার্মিনালে বছরে ১,৭৬,৫০০ (টিইউএস) কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করার পরিকল্পনা আছে। উল্লেখ্য যে, কন্টেইনার টার্মিনালটি সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য চট্টগ্রাম ও পলাশ প্রান্তে কন্টেইনার বোঝাই ও খালাসের জন্য ০২ (দুই)টি করে ০৪ (চার)টি, চট্টগ্রাম থেকে পলাশগামী ০২(দুই)টি এবং পলাশ থেকে চট্টগ্রামগামী ০২ (দুই) টি সহ মোট ০৮টি কন্টেইনার ভ্যাসেল প্রয়োজন হবে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্যাসেল সংগ্রহ এবং তার লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য কার্যক্রম চলমান আছে।
ইতিমধ্যে ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনালটি বৃহৎ পরিসরে স্থাপনের
জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে। তথায়
আমাদের নিজেদের মালিকানাধীন ২০০ (দুইশত) একর জায়গা ভরাট কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বিভিন্ন সমীক্ষা যেমন- Soil test, Contour Survey,
Bathymetric Survey, Hydrological
survey Borehole, Selection & Elevation of TBM ইত্যাদি ইতিমধ্যে করা হয়েছে।
আশা করা যাচ্ছে যে, আগামী জুন, ২০১৯ সালের মধ্যে বন্দরের কর্মকান্ড শুরু করা সম্ভব হবে। জাহাজ নির্মাণ ও তার ব্যবহার আরম্ভ করতে
প্রায় ০২ (দুই) বছর সময় প্রয়োজন হতে পারে বিধায় চাহিদা অনুযায়ী মোট ০৮ (আট) টি কন্টেইনার
ভ্যাসেল নির্মাণ/সংগ্রহের লাইসেন্স/রেজিষ্ট্রেশন প্রদান করার জন্য সদস্য সচিব, কন্টেইনার
ভ্যাসেল অনুমোদন কমিটি ১৪১-১৪৩ মতিঝিল বা/এ (৮ম তলা) ঢাকা-১০০০। আবেদন করা হয়েছে।
Basic
concept development for akct (A K Khan Container Terminal)
Phase 1
|
Phase 2
|
Phase 3
|
||
Target Throughput (TEUs)
|
120,000
|
240,000
|
360,000
|
|
Number of Berths
|
1+1 (90m+90m)
|
1+1+1 (90m+90m+90m)
|
||
Quayside Configuration
|
1 x MHC
|
2 x MHC
|
3 x MHC
|
|
Yard side Configuration
|
5 x Reach stackers, Tractors, Trailers,
Forklifts
|
|||
4 x RTGs
|
8 x RTGs
|
|||
Landside area Distribution
|
CY
|
6.4 ha
|
6.4 ha + 5 ha
|
|
CFS
|
2.4 ha
|
2.4 ha + 2.4 ha
|
||
Others
|
3.2 ha
|
3.8 ha
|
||
Total
|
12.0 ha
|
20.0 ha
|
Barge
updates
Parameters
|
Values (m)
|
Length Overall
|
81.20
|
Length Water level
|
76.70
|
Length between
perpendicular
|
77.84
|
Breadth MLD
|
15.50
|
Depth MLD
|
5.40
|
Maximum Draft
|
3.25
|
Complement
|
18men
|
Container at hold
|
80TEUs
|
Container at Deck
|
90TEUs
|
Total
Container capacity
|
170TEUs
|
নির্মাণ
ব্যয়ঃ
নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণের জন্য ইউনিট মূল্যগুলি যেমন বেসামরিক কাজের
জন্য
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের
প্রণীত
-এর জন্য ২011 সালের অনুসরণ
করা
হয়ছে। এক্ষেত্রে নির্মাণ খরচ হিসাব করার জন্য সম্ভাব্যতা পর্যায় বিবেচনাধীণ
ছিল। এবং প্রকল্পের সামগ্রিক ব্যয় এর চাহিদা স্থানীয় কোম্পানি দ্বারা নিশ্চিত
করা হবে।
নকশা খরচ, তত্ত্বাবধান খরচ, সাইট জরিপ খরচ এবং লাইসেন্সিং খরচ পূর্ববর্তী নির্মাণ খরচের জন্য মোট বিনিয়োগের খরচের
আওতাভুক্ত। এছাড়াও, নতুন সরঞ্জামের ক্রয়ের ভিত্তিতে প্রকল্প খরচের
সাথে যোগ করা হয়েছে।
এদিকে, ন্যাভিগেশন রুট, ন্যাভিগেশন এডস এবং অ্যাক্সেস রোডের ড্রেজিংয়ের খরচ সরকার কর্তৃক গৃহীত
হয়েছে, তাই সেগুলো এই প্রকল্পের খরচের হিসাব থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
নতুন সরঞ্জাম এবং ব্যবহৃত সরঞ্জাম
মূল্যের
জন্য আলাদাভাবে আনুমানিক মূল্য
হিসেবে দেখানো হয়েছে। উপরের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগের খরচ নিম্নে দেখানো হলো।
(Unit
: USD)
|
|||||||
Division
|
Phase 1-A
|
Phase 1-B
|
Phase 2
|
Phase 3
|
Total
|
||
Construction Cost
|
33,301,352
|
-
|
10,131,322
|
-
|
43,432,674
|
||
Equipment Cost
|
23,993,700
|
11,418,100
|
6,765,300
|
13,247,900
|
55,425,000
|
||
Total
|
57,295,052
|
11,418,100
|
16,896,622
|
13,247,900
|
98,857,674
|
||
ম্যানেজমেন্ট এবং অপারেশন খরচঃ
কনটেইনার টার্মিনাল, কন্টেইনার সরঞ্জামের ব্যবস্থাপনা ও অপারেশন খরচ, জল ও বিদ্যুৎ ব্যবহারের
বাৎসারিক কিংবা মাসিক ফি, ক্ষতিপূরণদান ফি এবং অগ্নি বীমা ফি, পরিচালনার ও অপারেশন খরচের
আওতাভুক্ত।
কনটেইনার টার্মিনাল অপারেশন খরচ 50 বছর 'অপারেশন উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় জনশক্তি দ্বারা কর্মচারী ব্যয় এবং অফিস সরবরাহ খরচ অন্তর্ভুক্ত করা
হয়েছে।
শেষকথাঃ
দেশের বেশিরভাগ
বৃহত্তম
বাণিজ্যিক
প্রতিষ্ঠান কিংবা অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাথে অভ্যন্তরীণ জলপথ
এবং সমুদ্র নেটওয়ার্ক রয়েছে। গভীর সমুদ্র বন্দরের
কার্যক্রম শুরু হলে অভ্যন্তরীণ নদী রুট গুরুত্ব বাড়ানো হবে। নদী রুট হল সবচেয়ে ব্যয়বহুল কার্যকর। এই সেক্টরে ব্যবসাটি সবচেয়ে লাভজন, তবে তার বিশাল পরিবৃত্তি
এবং
প্রবৃত্তির কারণে এখনে প্রতিযোগিতা
তুলণামূলক কম। বাংলাদেশের বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌ-মন্ত্রণালয় মেরিন
কর্তৃপক্ষ নদীবন্দর স্থাপনে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা দিতে আগ্রহী এবং তারা
বন্দর নির্মাণ কে উৎসাহ দেয়। বন্দর
সুষ্ঠ ও
সুষম ভাবে
পরিচালনা এবং মালামাল পরিবহনের জন্য তারা বিভিন্ন ধরণের
যোগাযোগ অবকাঠামো যেমন, রাস্তা, রেল ও নদী পথ বরাদ্দ দিবে। সুতরাং এটি দেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক পট পরিবর্তণে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সড়ক
পথে
যোগাযোগের
সক্ষমতা
দ্বিগুণ
করা
সত্ত্বেও আগামী
বছরগুলিতে রেলপথ ও সড়কগুলি ক্রমবর্ধমান চাপ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে না। সুতরাং নদী চ্যানেল ব্যবহার করে সড়ক
ও রেলপথের চাপ কমানো সম্ভব।এটি সরকারের জন্য চূড়ান্ত বিকল্প।নদী
ব্যবস্থাপনা দেশের জিডিপির উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। যে সমস্ত
আমদানিকারক ও রপ্তানীকারকরা চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে বিদেশ থেকে পন্য আমদানি
ও রপ্তানী করবেন তাদের জন্য এ কে খান কন্টেইনার টার্মিনাল পণ্যসরবরাহ নিশ্চিত
করার জন্য শৃঙ্খলা চেইন হিসাবে কাজ করবে। এ কে
কান কন্টেইনার টার্মিনাল দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরের সাথে চেইন যোগাযোগ
রক্ষা করে বিদেশে পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে গুরুত্ব দিবে এবং তাদের কার্যক্রম সে লক্ষেই
পরিচালিতহবে।
নরসিংদী, গাজীপুর, সাভার ও টঙ্গীর
আওতাধীন
শিল্প কারখানার
উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে কন্টেইনারটি ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।তাছাড়া উক্ত টার্মিনালটি এ কে
খান অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদিত পণ্য পণ্য পরিবহনেও ভূমিকা রাখবে।
এডিপি স্টাডি
থেকে জানা যায়, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ পরিচালনা যদি লজিস্টিক দক্ষতার
মাধ্যমে
বিশ্বের
সাথেপ্রতিযোগিতামূলকভাবে করা হয় তাহলে, বাংলাদেশের জিডিপি এক শতাংশের বেশি
বৃদ্ধি পাবে এবং বিদেশী বাণিজ্যের পরিমাণ ২0 শতাংশের বেশি
দ্রুত
বৃদ্ধি ঘটবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন