পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০২২

কূটনীতি কাকে বলে এবং কত প্রকার ও কি কি?


কূটনীতি হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ের একটি শাখা যেখানে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্র সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আলোচনা করা হয় । কূটনীতি শব্দটি— এডমন্ড বার্ক ফরাসি শব্দ Diplomatie হতে প্রচলন করে।

ফ্রান্সে ১৭ শতকে বিদেশে অবস্থানরত বাণিজ্যিক ও সরকারি প্রতিনিধি দলকে কূটনৈতিক দল বলা হয় । বাংলা কূটনীতি শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘কূটনীতি', শব্দটি প্রথম মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের উপদেষ্টা চাণক্য কৌটিল্য'র নাম হতে উদ্ভব হয়েছে ।

কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক ভিয়েনা কনভেনশন গৃহীত হয় – ১৬ এপ্রিল , ১৯৬১ সাল । Persona non grata- হলো অনৈতিক ও বেআইনী কার্যাবলির জন্য নিষিদ্ধ কূটনৈতিক । 
অর্থনৈতিক কূটনীতি: অর্থনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যে প্রচলিত বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক পরিচালিত কলাকৌশলকে অর্থনৈতিক কূটনীতি বলে । অর্থনৈতিক কূটনীতি , অর্থনৈতিক কার্যাবলি নিয়ে আলোচনা করে এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে চুক্তি সম্পাদন করে । 

অর্থনৈতিক কূটনীতির মূল উদ্দেশ্য হল : বৈদেশিক বিনিয়োগকে আকর্ষণ করা । রপ্তানি বৃদ্ধিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা । শ্রমশক্তি বিদেশে রপ্তানিকল্পে ব্যবস্থা গ্রহণ করা । আমদানি , রপ্তানি , বিনিয়োগ , ঋণ , সাহায্য , মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি , মুক্তবাজার অর্থনীতি ইত্যাদি অর্থনৈতিক কূটনীতির আলোচ্য বিষয় । অর্থনৈতিক কূটনীতি বৈদেশিক নীতির সেই অংশ , যেখানে প্রত্যেক দেশ নিজ দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ বিবেচনা করে । 

সামরিক কূটনীতি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে প্রতিরক্ষা বা সামরিক কূটনীতি বলতে প্রতিরক্ষা সম্পদ এবং ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ কর্মসংস্থানের মাধ্যমে পররাষ্ট্রনীতির উদ্দেশ্য সাধন বোঝায় । প্রতিরক্ষা কূটনীতি সামরিক অভিযানের অন্তর্ভুক্ত , কিন্তু আন্তর্জাতিক কর্মীদের এক্সচেঞ্জ , জাহাজ ও বিমান ভিজিট , উচ্চ পর্যায়ের প্রবৃত্তি , দ্বিপক্ষীয় বৈঠক , কর্মীদের আলোচনা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এর অন্তর্ভুক্ত । 

ট্র্যাক কূটনীতি ট্র্যাক ওয়ান কূটনীতি মূলত সরকার ও আন্তসরকারধর্মী কূটনৈতিক উদ্যোগ । ট্র্যাক টু কূটনীতি বলতে বিবাদ মেটাতে সুশীল সমাজের উদ্যোগ বোঝায় । ট্র্যাক থ্রি কূটনীতি হলো দাতা গোষ্ঠী যেমন বিশ্বব্যাংক , এডিবি , জাইকা প্রভৃতি সংস্থা যখন বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে বিবাদ নিরসনে আস্থা সৃষ্টিকারী হিসেবে উদ্যোগ নেয় । 

কূটনীতিকদের কার্যাবলিঃ বিদেশে নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করা । আলাপ - আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া । সামরিক , রাজনৈতিক , অর্থনৈতিক ইত্যাদি সংবাদ প্রেরণ করা । নিজ দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করা । অপরাপর রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়ন করা । বিদেশে নিজ দেশের সংস্কৃতি ব্যাখ্যা করা । 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন