মানচিত্রের স্কেল বলতে কাগজে অংকিত মানচিত্রের নির্দিষ্ট দুরত্ব ও ভূমির প্রকৃত দুরত্বের অনুপাতকে বলে । উদাহরণঃ ঢাকা হতে চট্টগ্রামের প্রকৃত দূরত্ব মানচিত্রে কতটুকু দেখান হয়েছে তার অনুপাতকে বুঝায় ।
স্কেলঃ তিন ধরনের হয়- যেমন , ১ বর্ণনামূলক ২। প্রতিভূ আনুপাতিক স্কেল ৩। গ্রাফিকস বা রেখাচিত্র দেল । ৪। ডিজিটাল স্কেল।
১। বর্ণনামূলক স্কেল বা ( Descriptive ) : বর্ণনামূলক স্কেল বলতে মানচিত্রে অংকিত কোন এক একক দূরত্ব ভূমিতে কত একক দূরত্বের সমান থাকে তা বুঝায় । ৪ মাইল অথবা ১ সে.মি. = ১০ কিঃ মিঃ । বর্ণনামূলক স্কেলকে প্রতিভূ আনুপাতিক স্কেলে রূপান্তর করা যায় ।
২। প্রতিভূ আনুপাতিক স্কেল ( Representative Fraction ) স্কেলের মাধ্যমে সংখ্যা দিয়ে কাগজে মানচিত্র ও ভূমির বা ভূ - ভাগের অনুপাতকে বুঝায় । উদহারণ ১: ১,০০০০০ , ১:৫০,০০০ ইংরেজীতে সংক্ষিপ্তাকারে ইহাকে আর এফ ( RF ) বলে । RF1 : 25,000 RF কে অংক করে কোন ইউনিটে পরিবর্তন করে ১ " = ….. মাইলে বা ১ সে . মি . =…… কিলোমিটার রূপান্তর করে বর্ণনামূলক স্কেলে পরিবর্তন করা যায় ।
৪। জিজিটাল স্কেলঃ ডিজিটাল স্কেল হলে আধুনিক যন্ত্রপাতি যেমন, ভূ-উপগ্রহ, সুপার কম্পিউটার, জিপিএস ইত্যাদি ব্যবহার করে ভূমির সঠিক দূরত্ব নির্ধারণ করা হয়। এই পদ্ধতি পরিমাণ প্রায় ১০০% নির্ভূল হয়।
পরিমাপের ভগ্নাংশতার সুক্ষতা অনুযায়ী রেখাচিত্র স্কেল আবার ৩ ভাগে ভাগ করা যায় –
১। সরল বা রৈখিক স্কেল ( Simple or Linear Scale )
২। তুলনামূলক স্কেল ( Comparative Scale )
৩। কর্ণ স্কেল ( Diagonal Scale )
১ । সরল বা রৈখিক স্কেল ( Simple or linear Scale ) : স্কেলে ব্যবহৃত আরএফ ( RF ) অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সরল রেখাকে কয়েকটি সমানভাগে ভাগ করা হয় এবং যে কোন এক দিকের একটি ভাগকে প্রয়োজন মত আরও কয়েকটি সমান ক্ষুদ্র ভাগ করাকে সরল বা রৈখিক স্কেল বলে । অবশ্য ভাগগুলি করতে হবে মোটামুটি ( round figure ) সংখ্যায় সমপরিমান দূরত্ব নিয়ে ।
২। তুলনামূলক স্কেল ( Comperative Scale ): একই আরএফ ব্যবহার করে দুইটি ভিন্ন একক পদ্ধতিতে ( Two different Unit System ) দুইটি সরল বা রৈখিক স্কেলকে একই বিন্দু হতে শুরু করে উভয় দিকে সংলগ্ন করে অংকন করাকে তুলনামূলক স্কেল বলে । সরল বা রৈখিক স্কেলের একই নিয়মে একটি অংশকে সুবিধা অনুযায়ী ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করা যায় । দুইটি ভিন্ন একক পদ্ধতিতে পাশাপাশি করা হয় বলিয়া তুলনামূলক সম্পর্ক বা পার্থক্য প্রদর্শন করা যায় ।
৩। কর্ণ স্কেল ( Diagonal Scale ) : অধিকতর সুক্ষ বা সঠিক পরিমাণ পাওয়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট আর . এফ কে সরল বা রৈখিক স্কেলের ক্ষুদ্র ভাগকে যখন আরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে আকা সম্ভব নয় । তখন জ্যামিতিক পদ্ধতিতে কতিপয় কর্ণ আকার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ক্ষুদ্রতম ভাগে ভাগ করে যে স্কেল তৈরী করা হয় তাকে কর্ণ স্কেল বলে ।
সূত্রঃ গ্রাফোসম্যানের নতুন ভূচিত্রাবলী।
এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের সামন্য উপকারে আসে তাহলে মন্তব্যের মাধ্যমে অবশ্যই আমাদের জানাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন