পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২

স্কেল কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি?

মানচিত্রের স্কেল বলতে কাগজে অংকিত মানচিত্রের নির্দিষ্ট দুরত্ব ও ভূমির প্রকৃত দুরত্বের অনুপাতকে  বলে । উদাহরণঃ ঢাকা হতে চট্টগ্রামের প্রকৃত দূরত্ব মানচিত্রে কতটুকু দেখান হয়েছে তার অনুপাতকে বুঝায় ।

স্কেলঃ তিন ধরনের হয়- যেমন , ১ বর্ণনামূলক ২। প্রতিভূ আনুপাতিক স্কেল ৩। গ্রাফিকস বা রেখাচিত্র দেল ।  ৪। ডিজিটাল স্কেল।

১। বর্ণনামূলক স্কেল বা ( Descriptive ) : বর্ণনামূলক স্কেল বলতে মানচিত্রে অংকিত কোন এক একক দূরত্ব ভূমিতে কত একক দূরত্বের সমান থাকে তা বুঝায় । ৪ মাইল অথবা ১ সে.মি. = ১০ কিঃ মিঃ । বর্ণনামূলক স্কেলকে প্রতিভূ আনুপাতিক স্কেলে রূপান্তর করা যায় ।

 ২। প্রতিভূ আনুপাতিক স্কেল ( Representative Fraction ) স্কেলের মাধ্যমে সংখ্যা দিয়ে কাগজে মানচিত্র ও ভূমির বা ভূ - ভাগের অনুপাতকে বুঝায় । উদহারণ ১: ১,০০০০০ , ১:৫০,০০০ ইংরেজীতে সংক্ষিপ্তাকারে ইহাকে আর এফ ( RF ) বলে । RF1 : 25,000 RF কে অংক করে কোন ইউনিটে পরিবর্তন করে ১ " = ….. মাইলে বা ১ সে . মি . =…… কিলোমিটার রূপান্তর করে বর্ণনামূলক স্কেলে পরিবর্তন করা যায় ।

৩। গ্রাফিকস বা রেখাচিত্র স্কেল ( Graphical Representation ) : অংকনের মাধ্যমে মানচিত্র প্রদর্শিত স্কেলকে গ্রাফিকস বা রেখাচিত্র স্কেল বলে । এই স্কেলের মাধ্যমে মানচিত্রের কোন এলাকার দূরত্ব অংকিত রেখাচিত্রের মাধ্যমে সরাসরি নিরূপন করা যায় । এই স্কেলের মানচিত্র, ক্যামেরা, প্রজেক্টর ফটোকপিয়ার বা পেন্টোগ্রাফের মাধ্যমে মানচিত্র ছোট - বড় করলেও স্কেল ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই । কারণ মানচিত্রের সংঙ্গে স্কেলও  বড় বা ছোট হয় । উপরে উল্লেখিত অন্য দুই ধরনের স্কেলে ( সংখ্যার কারনে ) মানচিত্র ছোট বা বড় হলে স্কেল বড় বা ছোট হবে না । কাজেই মানচিত্র ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে ।

৪। জিজিটাল স্কেলঃ ডিজিটাল স্কেল হলে আধুনিক যন্ত্রপাতি যেমন, ভূ-উপগ্রহ, সুপার কম্পিউটার, জিপিএস ইত্যাদি ব্যবহার করে ভূমির সঠিক দূরত্ব নির্ধারণ করা হয়। এই পদ্ধতি পরিমাণ প্রায় ১০০% নির্ভূল হয়।  

পরিমাপের ভগ্নাংশতার সুক্ষতা অনুযায়ী রেখাচিত্র স্কেল আবার ৩ ভাগে ভাগ করা যায় –

১। সরল বা রৈখিক স্কেল ( Simple or Linear Scale )

২। তুলনামূলক স্কেল ( Comparative Scale )

৩। কর্ণ স্কেল ( Diagonal Scale )

 ১ । সরল বা রৈখিক স্কেল ( Simple or linear Scale ) : স্কেলে ব্যবহৃত আরএফ ( RF ) অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সরল রেখাকে কয়েকটি সমানভাগে ভাগ করা হয় এবং যে কোন এক দিকের একটি ভাগকে প্রয়োজন মত আরও কয়েকটি সমান ক্ষুদ্র ভাগ করাকে সরল বা রৈখিক স্কেল বলে । অবশ্য ভাগগুলি  করতে হবে মোটামুটি ( round figure ) সংখ্যায় সমপরিমান দূরত্ব নিয়ে ।

 

২। তুলনামূলক স্কেল ( Comperative Scale ): একই আরএফ ব্যবহার করে দুইটি ভিন্ন একক পদ্ধতিতে ( Two different Unit System ) দুইটি সরল বা রৈখিক স্কেলকে একই বিন্দু হতে শুরু করে উভয় দিকে সংলগ্ন করে অংকন করাকে তুলনামূলক স্কেল বলে । সরল বা রৈখিক স্কেলের একই নিয়মে একটি অংশকে সুবিধা অনুযায়ী ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করা যায় । দুইটি ভিন্ন একক পদ্ধতিতে পাশাপাশি করা হয় বলিয়া তুলনামূলক সম্পর্ক বা পার্থক্য প্রদর্শন করা যায় ।

৩। কর্ণ স্কেল ( Diagonal Scale ) : অধিকতর সুক্ষ বা সঠিক পরিমাণ পাওয়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট আর . এফ কে সরল বা রৈখিক স্কেলের ক্ষুদ্র ভাগকে যখন আরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে আকা সম্ভব নয় । তখন জ্যামিতিক পদ্ধতিতে কতিপয় কর্ণ আকার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ক্ষুদ্রতম ভাগে ভাগ করে যে স্কেল তৈরী করা হয় তাকে কর্ণ স্কেল বলে ।

সূত্রঃ গ্রাফোসম্যানের  নতুন ভূচিত্রাবলী।

এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের সামন্য উপকারে আসে তাহলে মন্তব্যের মাধ্যমে অবশ্যই আমাদের জানাবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন