নিজেকে পরিবর্তণ করার জন্য সত্য উপলদ্ধি জরুরী। মানুষ প্রতিনিয়ত নিজেকে পরিবর্তণ করে। এই পরিবর্তণের
নিজেকে পরিবর্তণ করার জন্য সত্য উপলদ্ধি জরুরী। যতদিন পর্যন্ত সত্য উপলদ্ধি করতে না পারবে ততদিন পর্যন্ত পরিবর্তণ সঠিক পথে আগাবেনা। সত্য উপলদ্ধির সাথে মানুষের বাস্তবা বোঝতে হবে। বাস্তবতার আলোকে মানুষের সত্য উলদ্ধির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সত্য উপলদ্ধি একজন মানুষকে সঠিক পথের ঠিকানা দেয়; পক্ষান্তরে ভুল চিন্তা ভাবনা মানুষকে বিপদগামী করে। মানুষের মানুষের পরিবর্তণের জন্য সবার আগে চাই সত্য উপলদ্ধি।
ছাত্র অবস্থায় মানুষের নৈতিকভাবে পরিবর্তণ করার উপর্যুক্ত সময়। ছাত্র অবস্থায় একজন ছাত্রকে শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠান যেভাবে গড়ে তুলবে সে ছাত্র সেভাবে নিজের জীবনকে সাজিয়ে নিবে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক নৈতিক শিক্ষার চাইতে পারিবারিক নৈতিক শিক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আর পরিবারিক নৈতিক শিক্ষার মূল ভিত্তি গড়ে দেন মা এবং বাবা অতপর সহোদরগণ। তাই আচরণগত শিক্ষার মূল পীঠস্থান হলো পরিবার। যে ব্যক্তি পরিবারগত আদর্শ ও নৈতিক প্রথার মধ্যে দিয়ে বড় হয় সে ব্যক্তি পরবর্তীতে নিজেকে সঠিক পথে খুব সহজে রাখতে পারে। ব্যক্তিগত পরিবর্তণের পরিবারের সার্পোট খুব জরুরী।
রাজনৈতিক নেতাদের মন মানুষিকতা পরিবর্তণ করতে হলে সবার আগে মিথ্যা ছাড়তে হবে।তাদের মনে সত্য ধারণ করে সঠিক ও বাস্তব উপলদ্ধির মাধ্যমে জনগণেল সেবা করতে হবে। পক্ষপাতিত্ব, দলীয় ভুল অনুগত্য, মিথ্যাচার ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভোগ করার প্রবণতা ছেড়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারলে একজন রাজনৈতিক নেতা দেশ ও জণগণের কল্যাণে কাজে আসে। দেশে রাজনৈতিক নেতাদের মিথ্যাচার যেভাবে বেড়েছে তাতে মানুষ রাজণেতিক নেতাদের কথা এখন আর বিশ্বাস করতে চায়। খোদ রাষ্ট্র প্রধানকে মানুষ মিথ্যাবাদী মনে করে।
সমতল অঞ্চলের মানুষ যতটা সহজ নিজেকে পরিবর্তণ করতে পারে পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষ ততটা সহজে নিজেকে পরিবর্তণ করতে পারেন। সমতল অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগের পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে বিভিন্ন ভাষা ভাষি, গোত্র এবং জাতির মধ্যে সোসাইটি সহজে গড়ে উঠে। অপরদিকে পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন গোত্র ভিত্তিক হয়; তারা নিজেদের স্বর্কীয়তা ধরে রাখার আজীবন চেষ্টা করে। ফলে তাদের মধ্যে পারিপার্শ্বিক চিন্তা ভাবনা, আদর্শ, ধর্মের পরিবর্তণ দেরিতে হয়।
বর্তমাণে পরিবর্তণের ক্ষেত্রগুলো ছোট হয়ে আসছে। এই আসার পিছনে নাগরিকদের প্রতি রাষ্ট্রের বৈষ্যমের হাত আছে। এখানে রাষ্ট্রের পিছনে কলকাঠি নাড়ের সরকার দলীয় লোকজন। তৃতীয় বিশ্বে সরকার দলীয় লোকজন খুণ, দর্শণ, রাহাজানি, ঘুষ, অর্থ লোপাট এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের সাথে সরাসরি জড়িত। ফলে একদল লোক অপরাধ করে সহজে পার পেয়ে যাচ্ছেন এবং তারা অর্থনৈতিক উন্নতির গ্রাফ তরতর করে উচ্চ শিখড়ে নিয়ে যাচ্ছেন অন্যদিকে আরেকদল লোক দরিদ্র থেকে আরো দরিদ্র হচ্ছেন। ফলে রাষ্ট্রের প্রতি (বিশেষ করে সরকার) মানুষের ক্ষোভ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নিজেদেরকে সৎ থাকা আর দায়িত্ব মনে করছেন না; পরিবর্তণ তো বহুত দূর।
নিজেকে পরিবর্তণ করতে হলে নিজ থেকে উদ্যোগী করতে হবে। অন্যজন হয়ত সাময়িক প্রেশার (চাপ) সৃষ্টি করে আপনাকে আংশিক অথবা সম্পূর্ণ পরিবর্তণ করতে পারে কিন্তু সে পরিবর্তণ স্থায়ী হয়না। হয়ত খানিক বাদে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাবে। অনেক অপরাধী জেল থেকে মুক্তি পেয়ে অথবা জামিন পেয়ে পুনরায় অপরাধে জড়িয়ে পরার বহুত নজির আছে। ফলে জেল, হুকুমত, অবদমনিত করে মানুষকে সাময়িক পরিবর্তণ করা যায় কিন্তু পূর্ণাঙ্গভাবে নয়। তাই পূর্ণাঙ্গ পরিবর্তণের জন্য একজন মানুষের আত্মউপলদ্ধি ও আত্ম-সচেতনাতা জরুরু।
নিজেকে পরিবর্তণ করতে হবে বড় হওয়ার জন্য। সমাজের পথ প্রদশণের জন্য। মানুষের সেবা ও দেশের উন্নতি হতে পারে পরিবর্তণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। নিজ, পারিবারিক, সমাজ, দেশ ও বিশ্ব সেবা এবং কল্যাণই একমাত্র পরিবর্তণের উদ্দেশ্য হবে। ব্যক্তি স্বার্থ জলাঞ্চলি দিয়ে মানুষ সেবায় ব্রুতি হতে হবে। নিজেকে পরিবর্তণ করে একজন আদর্শ ও সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। এই পরিবর্তণ করতে হবে সু-শিক্ষার মাধ্যমেই। সু-শিক্ষা হতে পারে প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা স্ব-শিক্ষা। এখানে স্ব-শিক্ষা বলতে সেই শিক্ষাকে বুঝানো হয়েছে যারা প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায়নি কিন্তু নিজে পরিবেশ ও সমাজ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছে। একজন আদর্শ ব্যক্তির চরিত্র ব্যবহারের মাধ্যমে পরিচয় লাভ করতে হবে। নিজেকে পরিবর্তণ করতে চাইলে সাবার আগে নিজের চরিত্র ও ব্যবহার পরিবর্তণ করতে হবে। অর্থাৎ এমন চরিত্র গঠন করবো যাতে মানুষ, সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী কোন কার্যকলাপ না ঘটে। আর মানুষের সাথে এমন ব্যবহার করব যাতে অন্য মানুষ নিজের কাছ থেকে কিছু শিখতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন