গত 26/12/2017 ইং তারিখে 34 কোদালপুর 2নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির
নির্বাচনে মিজান পন্থীদের (এস এম মিজানুর রহমান সরদার, সাংগঠিন সম্পাদক গোসাইরহাট উপজেলা
এবং চেয়ারম্যান, কোদালপুর ইউনিয়ন) জয়জয়কার। নির্ধারিত চারটি পদের প্রতিটি পদে তারা ব্যাপক সাফল্য লাভ করেন।
স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে একক ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা পরিচালিত হলেও এই বছর ম্যানেজিং কমিটি
গঠনের মত বিরোধ দেখা দেয়। এতে কোন সমাধান না আসায় বিভিন্ন পদ প্রত্যাশীরা নির্বাচনে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ
করেন এবং স্থানীয় নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আয়োজন করেন। ফলশ্রুতিতে নিম্ন লিখিত ব্যক্তিবর্গ কমিশন বরাবর মনোনয়পত্র দাখিল করেনঃ
পুরুষ
অভিভাবক সদস্য পদে-
1। মোঃ
খবির উদ্দিন (খোকা মোল্লা)
2।মেজবাহ
উদ্দিন মোল্লা (মেছের)
3। কালিম
উদ্দিন মোল্লা
4। মোক্তার হোসেন মাঝি
মহিলা
অভিভাবক সদস্য পদে-
1। মোসাঃ
আমেনা বেগম
3।মোসাঃ
খাদিজা আক্তার
4।মাফিয়া
আক্তার
2। রাবেয়া
বেগম (রিনা)
মনোয়নপত্র
যাচাই বাছাইয়ের পর সবাইকে নাম্বারপত্র বরাদ দেয়া হয়। নাম্বার পত্রের ক্রমিক অনুযায়ী-
1। মোঃ
খবির উদ্দিন (খোকা মোল্লা)- 5
2।মেজবাহ
উদ্দিন মোল্লা (মেছের)-6
3। কালিম
উদ্দিন মোল্লা-7
4। মোক্তার
হোসেন মাঝি-8
এবং
মহিলা সদস্য পদে-
1। মোসাঃ
আমেনা বেগম-1
2।মোসাঃ
খাদিজা আক্তার-2
3।মাফিয়া
আক্তার-3
4। রাবেয়া
বেগম রিনা-4
নাম্বার সমূহ ব্যালটের প্রতীক হিসেবে পেয়ে থাকেন।
ক্রমিক
নাম্বার বরাদ্ধ পাওয়ার পর প্রার্থীরা প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এলক্ষ্যে প্রার্থীরা
প্রতিটি ভোটারের দ্বারে দ্বারে ছুটে বেড়ান । বিদ্যালয়ের সার্বিক মান্নোয়নের আশ্বাস
দেন।ছাত্র-ছাত্রীদের মানুষিক দক্ষতা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দান করেন। দীর্ঘদিন পর এলাকাবাসী
ভোটের ঘ্রাণ পেয়ে নির্বাচনী আমেজে মেতে উঠেন।
নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থী ও তার সমর্থকরা।
26 তারিখের
নির্বাচন ছিল উৎসবমুখর। জনগণ স্বত:স্ফূর্তভাবে নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা করেন। আইনশৃঙ্খলা
যাতে অবনতি না ঘটে সেজন্য মোতায়েন করা হয়েছিল- পুলিশের দাঙ্গা ইউনিট, ডিবি, থানা পুলিশ,
সাদা পোশাকের বিশেষ দল এবং আনসার সদস্যগণ।
তাছাড়া নির্বাচন তদারকিতে ছিলেন- সার্কেল এএসপি, নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট, থানা নির্বাহী অফিসার সহ অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ। ফলে কোন ধরণের অপ্রতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন সুন্দরভাবে আয়োজন করা সম্ভব হয়। সকাল থেকে ভোটারগণ শান্তিপূর্ণ ভাবে ও শৃঙ্খলভাবে ভোট কেন্দ্রের লাইনে দাড়িয়ে ভোট প্রদান করতে থাকেন। ভোট গ্রহন শুরু হয় সকাল 8:00 টায় এবং শেষ হয় বিকাল 3:00 টায়। ভোট গ্রহন শেষ হলে হাজার হাজার এলাকাবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকেন ফলাফলের জন্য।
এক---
দুই----
তিন-----
তারপর আসে সেই কাঙ্খিত ফলাফল। ফলাফল পেয়ে বিজয়ী সমর্থক গোষ্ঠী উল্লাসে ফেটে পড়েন এবং সাথে মিজান সরদার এর নামে রাস্তায় ও বাজারে স্লোগান চলে।
চিত্রঃ নির্বাচন চলাকালীন সময়ের কিছু দৃশ্য।
তাছাড়া নির্বাচন তদারকিতে ছিলেন- সার্কেল এএসপি, নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট, থানা নির্বাহী অফিসার সহ অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ। ফলে কোন ধরণের অপ্রতিকর ঘটনা ছাড়াই নির্বাচন সুন্দরভাবে আয়োজন করা সম্ভব হয়। সকাল থেকে ভোটারগণ শান্তিপূর্ণ ভাবে ও শৃঙ্খলভাবে ভোট কেন্দ্রের লাইনে দাড়িয়ে ভোট প্রদান করতে থাকেন। ভোট গ্রহন শুরু হয় সকাল 8:00 টায় এবং শেষ হয় বিকাল 3:00 টায়। ভোট গ্রহন শেষ হলে হাজার হাজার এলাকাবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকেন ফলাফলের জন্য।
এক---
দুই----
তিন-----
তারপর আসে সেই কাঙ্খিত ফলাফল। ফলাফল পেয়ে বিজয়ী সমর্থক গোষ্ঠী উল্লাসে ফেটে পড়েন এবং সাথে মিজান সরদার এর নামে রাস্তায় ও বাজারে স্লোগান চলে।
চিত্রঃ ফলাফল ঘোষণার পর মিজানুর রহমান সরদার ও তার অনুসারীদের একাংশ
এক নজরে ফলাফলঃ
পুরুষ
অভিভাবক সদস্য পদে
প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী গণের নাম
|
ক্রমিক নং
|
বৈধ ভোটের সংখ্যা
|
র্যাকিং
|
মোঃ খবির
উদ্দিন খোকা মোল্লা)
|
5
|
310
|
2য়
|
মোজবাহ
উদ্দিন মোল্লা (মেছের)
|
6
|
305
|
3য়
|
কালিম
উদ্দিন মোল্লা
|
7
|
237
|
4র্থ
|
মোক্তার
হোসেন মাঝি
|
8
|
391
|
1ম
|
মহিলা
অভিভাবক সদস্য পদে
প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী গণের নাম
|
ক্রমিক নং
|
বৈধ ভোটের সংখ্যা
|
র্যাকিং
|
মোসাঃ
আমেনা বেগম
|
1
|
278
|
3য়
|
মোসাঃ
খাদিজা আক্তার
|
2
|
269
| 4র্থ |
মাফিয়া
আক্তার
|
3
|
350
|
1ম
|
রাবেয়া
বেগম রিনা
|
8
|
334
| 2য় |
মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল- 767 জন।
এর মধ্যে উপস্থিত ছিল- 660 জন
এবং অনুপস্থিত চিল- 107 জন।
এখানে উল্লেখ্য যে,
“প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারের
অর্থায়নে পরিচালিত হলেও স্থানীয়ভাবে এগুলোর পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান
পরিচালনা কমিটি। এসব সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ, বেতন বিলে
সভাপতি কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরকরণ, স্থানীয় পর্যায়ে সম্পদ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ ছাড়াও শিক্ষার
গুণগত মান বৃদ্ধি ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট কমিটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন
করে থাকেন।”
পরিশেষে,
স্থানীয় এলাকাবাসী, অভিভাবকগণ আশা করেন, বিদ্যালয়ের সার্বিক মান্নোনয়নে সকল প্রার্থী অবদান রাখবেন।
নোটঃ শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরীক্ষামূলক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে জুনিয়র স্কুলে রুপান্তর করেছে এবং এই সমস্ত স্কুলের 6ষ্ঠ থেকে 8ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ার দেখাভাল করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কে দায়িত্ব দিয়েছে। 34নং কোদালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত জুনিয়ার স্কুলের মর্যাদা পেয়েছে এবং অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান চালু আছে।
ফটো ক্রেডিটঃ শাহাদাৎ হোসাইন, এস এম কবির সরদার, মহি উদ্দিন আলমঙ্গীর, ইমরান সরদার এবং ইমরান হোসেন জয়।
নোটঃ শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরীক্ষামূলক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে জুনিয়র স্কুলে রুপান্তর করেছে এবং এই সমস্ত স্কুলের 6ষ্ঠ থেকে 8ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ার দেখাভাল করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কে দায়িত্ব দিয়েছে। 34নং কোদালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত জুনিয়ার স্কুলের মর্যাদা পেয়েছে এবং অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান চালু আছে।
ফটো ক্রেডিটঃ শাহাদাৎ হোসাইন, এস এম কবির সরদার, মহি উদ্দিন আলমঙ্গীর, ইমরান সরদার এবং ইমরান হোসেন জয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন