ব্যাকরণ (বি+আ+✔️কৃ+অন) শব্দটির বুৎপত্তিগত অর্থ বিশেষভাবে বিশ্লেষণ।
সংজ্ঞাঃ যে শাস্ত্রের বাংলা ভাষার বিভিন্ন উপাদানের গঠন প্রকৃতি ও স্বরূপ বিশ্লেষিত হয় এবং এদের সম্পর্ক ও সুষ্ঠু প্রয়োগবিধি আলোচিত হয়, তাই বাংলা ব্যাকরণ।
ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তাঃ ব্যাকরণ পাঠ করে ভাষার বিভিন্ন উপাদান গঠন প্রকৃতি ও সেসবের সুষ্ঠু ব্যবহার বিধি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায় এবং লেখায় ও কথায় ভাষা প্রয়োগের সময় শুদ্ধাশুদ্ধি নির্ধারণ সহজ হয়।
বাংলা ব্যাকরণ এ আলোচ্য বিষয়ঃ
প্রত্যেক ভাষারই চারটি মৌলিক অংশ থাকে যেমনঃ
ধ্বনি (Sound)
শব্দ (Word)
বাক্য (Sentence)
অর্থ (Meaning)
সব ভাষার ব্যাকরণেই প্রধানত নিম্নোলিখিত চারটি বিষয়ে আলোচনা করা হয়-
ধ্বনিতত্ত্ব (Phonology)
শব্দতত্ত্ব (Morphology)
বাক্যতত্ত্ব (Syntax)
অর্থতত্ত্ব (Semantics)
এছাড়া অভিধানতত্ত্ব লেক্সিকোগ্রাফি (Lexicography) ছন্দ ও অলংকার প্রভৃতিও ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়।।
ধ্বনিতত্ত্ব
মানুষের বাক প্রত্যঙ্গ অর্থাৎ কন্ঠনালী মুখবিবর, জিব্বা, আল-জিব্বা, কোমল তালু, শক্ত তালু, দাঁত মাড়ি চোয়াল ঠোঁট ইত্যাদির সাহায্য উচ্চারিত আওয়াজকে 'ধ্বনি' বলা হয়। বাক প্রত্যঙ্গজাত ধ্বনির সূক্ষ্মতম মৌলিক বা একককে (Unit) ধ্বনিমূল, (Phoneme) বলা হয়।
রুপতত্ত্বঃ এক বা একাধিক ধ্বনি অর্থবোধক সম্মিলনে শব্দ তৈরি হয়, শব্দের ক্ষুদ্রাংশকে বলা হয় রুপ (Morpheme)। রুপ গঠন করে শব্দ। সেই জন্য শব্দতত্ত্বকে রুপতত্ত্ব বলা হয়।
বাক্যতত্ত্বঃ মানুষের বাকপ্রত্যঙ্গজাত ধ্বনি সমন্বয়ে গঠিত শব্দ সহযোগে সৃষ্ট অর্থবোধক বাক্য প্রবাহের বিশেষ বিশেষ অংশকে বলা হয় বাক্য (Sentence)। বাক্যের সঠিক
গঠন প্রণালী, বিভিন্ন উপাদানের সংযোজন-বিয়োজন সার্থক ব্যবহারযোগ্যতা, বাক্যমধ্যে শব্দ বা পদের স্থান বা ক্রম, পদের রুপ পরিবর্ত ইত্যাদির বিষয় বাক্যতত্ত্ব আলোচিত হয়।
অর্থতত্ত্বঃ শব্দের অর্থবিচার, বাক্যের অর্থবিচার অর্থের বিভিন্ন প্রকারভেদ, যেমন মুখ্যার্থ, বিপরীতার্থ ইত্যাদি অর্থতত্তের আলোচ্য বিষয়।
যেখান থেকে উপকৃত হয়েছিঃ বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন