রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২

তাল মিছরির যত উপকারিতা।

তালমিছরি। 
তাল মিছরি একপ্রকার সাদা বা হালক্কা সাদা রঙ্গের চিনি জাতীয় পদার্থ যা তালের রসকে নির্দিষ্ট সময় তাপমাত্রায় রেখে প্রস্তুত করা হয়। তাল মিছরি মিস্টি জাতয় স্টটিক দানাদার খাদ্য। তাল মিছরিকে প্রাকৃতিক চিনি বললে ভুল বলা হবেনা।তাল মিছরিতে গ্রাইসেমিক ইন্ডেক্স থাকে মাত্র ৩৫% এর মতো। ফলে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখতে তাল মিছরি ভূমিকা রাখে। তাল মিছরিতে প্রচুর পরিমান মিনারেলস, ভিটামিনস, যেমন আইরন, ক্যালশিয়াম, পট্যাশিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস আর আমাইনো এসিডস ইত্যাদি রয়েছে।
তাল মিছরি রয়েছে অনেক উপকারী গুণ। তাল মিছরি খেলে আপনি আনিমিয়া, হাড়ের সমস্যা, চোখের দৃষ্টি বাড়ানো, কিডনি স্টোন, পেটে ব্যথা, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মুখের আলসার, কন্সটিপেশন, গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ, ডায়রিয়া ইত্যাদি থেকে মুক্তি পাবেন। শিশুদের শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যা রোধ, সর্দি কাশির উপশম, স্মৃতিশক্তি বাড়ানো এবং চিনির সহায়ক খাদ্য হিসেবে তাল মিছিরি ব্যবহার করতে পারেন । বাংলাদেশে শিশুদের সুজি, নাস্তায় তাল মিছরির ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। তাল মিছরি চুষে খাইলে শুষ্ককাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। হুপিং কাশিতেও তাল মিছরি ভালো কাজ করে। যারা অনিন্দ্রায় ভোগেন তারা শোয়ার আগে তাল মিছরি খাইলে ভালো ফল পাইবেন। কিছু বিখ্যাত তাল মিছরি ব্রান্ডঃ ১। দুলাল চন্দ্র ভরের তালমিছরিঃ ইহা ইন্ডিয়ান প্রডাক্ট বা পন্য। উপ মহাদেশের সর্বত্র এর বাজার আছে। তবে বাংলাদেশের বড় মুদি দোকান বা সুপার সপে সহজে পাবেন। গুলশান ডিএনসিসি মার্কেটে আপনি যথন তখন খরিদ করিতে পারবেন।
চিত্রঃ দুলাল চন্দ্র ভড়ের তালমিছরি। ২। রওজা তালমিছরিঃ দেশের বাজার সচরাচর পাওয়া যায়। ৩। খোলাঃ যেকোন মুদি দোকান থেকে খরিদ করতে পারবেন। তবে খোলা খরিদ না করার জন্য অনুরোধ করা হলো। কারণ অনেক সময় এতে ভেঁজাল থাকে। মিষ্টি জাতীয় খাদ্যে আপনার শিশুকে চিনি বা গুড়ের বদলে তালমিছরি খাওয়ান। এতে শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Recent Post

DECLARATION ABOUT OVERDUE CLASSIFIED LIABILITY & MORTGAGE

DECLARATION ABOUT OVERDUE CLASSIFIED LIABILITY & MORTGAGE