হাতমারা একটি রুপক শব্দ যার অর্থ হাত দিয়ে লিঙ্গ ঘষাঘষি করা, লিঙ্গ মুষ্ঠি করে উপর নিচে ষঘা
পুরুষ কখন হাত মারে?
হাতা মারা শব্দটি একুশ শতকে গোপনীয়ভাবে ব্যাপক প্রসিদ্ধ লাভ করে। প্রত্যেক পুরুষ জীবনে অনেক বার হাত মারা’র অভিজ্ঞতা অর্জণ করে। একজন পুরুষ যখন প্রাপ্ত বয়স্ক হয় তখন তার টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ফলে যৌন উত্তেজনা বা আকাঙ্খা বৃদ্ধি পায়, বলতে গেলে শারীরিক সম্পর্ক বা দৈহিক মিলনের আকাঙ্খা চরম আকার ধারণ করে। কিন্তু সে অবস্থায় তার সঙ্গীর (স্ত্রী/মহিলা, মেয়ের) অভাব অনুভব করে। এমন অবস্থায় অন্য কোন উপায় না পেয়ে একাকী বা গোপনে হাত মারা অভ্যাস করে যাতে তার বীর্যপাত হয়। হাত মারা অন্য কারণও আছে যেমন নীল ছবি বা পণ্যগ্রাফি দেখা, জীবন নিয়ে হতাশায় ভোগা, বিশেষ করে যৌন জীবন নিয়ে, বিয়ে করতে ভয় পাওয়া, অতিরিক্ত যৌন উত্তেজনা বোধ করা ইত্যাদি।
হাতমারা অভ্যাস কি খারাপ?
যৌন বিশেষজ্ঞগণ হাতামরা কে খারাপ কিছু মনে করেন না, তাদের মতে নিয়মিত বিরতি দিয়ে হাত মারা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো যৌন চিন্তা ও উত্তেজনা নিরসনে উত্তম পন্থা । এতে করে হরমোন উৎপাদন ও শারীরিক চলন স্বাভাবিক থাকে। শরীর চাঙা ও ফুরাফুরা থাকে এবং মন মেজাজা ভালো থাকে। তাছাড়া হাত মারলে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যারা কর্মে সূত্রে সঙ্গীর থেকে দূরে থাকেন অথবা যাদের কোন সঙ্গী নেই তাদের নিয়মিত বিরতি দিয়ে হাত মারা উচিত। এতে করে যৌন অপরাধের মাত্রা কমবে।
অনেক পুরুষ আছে যাদের বিয়ের বয়স পার হয়ে যা্চ্ছে অথচ নানা কারণে বিয়ে করতে পারছেন না তারাও হাত মারেন।
হাতা মারা কি নৈতিক পরিপন্হী?
যুগ যুগ ধরে হাতা মারা একটি গোপনীয় বিষয় বা ট্যাবু। পুরুষ সহজে হাত মারা অভ্যাসটি স্বীকার করতে চায়না। তবে মাঝেমধ্যে নির্দিষ্ট বন্ধু বান্ধবদের নিকট সতর্কতার সাথে স্বীকার বা আলোচনা করে। সামাজিক ভাবে হাত মারা নিয়ে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া নেই। যেহেতু বিষয়টি যার যার ব্যক্তিগত, তাছাড়া হাতমারা অভ্যাসটি যেহেতু নিজের সাথে নিজে ঘটে তাই এতে অন্যের হস্তক্ষেপের কোন সুযোগ নেই। তাই হাত মারা দোষের কিংবা নৈতিক পরিপন্থী কোন কাজ নয়। আপনার যদি সঙ্গীর অভাব থাকে নিয়মিত বিরতি দিয়ে হাত মারতে থাকুন।
মেয়েদের সামনে হাতমারা অঙ্গভঙ্গি করা কি অশালীনঃ মেয়েদের সামনে হাতা মারা অঙ্গভঙ্গি করা অশালীন এবং যৌন হয়রানির পর্যায়ে পরে। এটিকে অনেকে কু-প্রস্তাব হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। অনেক বখাটে কার্বোহাইড্রেড জাতীয় পানীয় বোতল নিয়ে রাস্তার ধার দাঁড়িয়ে মেয়ে দেখলে হাত মারার অনুকরণে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেন। এই ধরণের অশালীন ক্রিয়া-কলাপ শহরাঞ্চলে বেশি ঘটে থাকে।
সঠিক হাত মারা পন্থা কি? হাতা মারা সঠিক কোন পন্থা নেই। সাধারণত পুরুষরা যৌন উত্তেজনার সময় নিজের হাত মুষ্ঠি করে লিঙ্গ উপর নিচে ঘষাঘষি করেন। অনেক এক্ষেত্রে পিচ্চিল পদার্থ যেমন শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, সাবানের ফেনা ইত্যাদি ব্যবহার করেন, অনেকে হাতের তালুতে ছেপ বা থুতু বা মুখের লালা নেন। যার ক্ষতিকর দিক নিয়ে এখনো কোন ডাক্তারি মতামত পাওয়া যায়নি। তবে পুরুষাঙ্গের উপরি ভাগ স্পর্শকাতর যেহেতু তবে এটি না করাই উত্তম।
হাত মারার ক্ষতিকর দিকঃ
হাতমারা মাত্রাতিরিক্ত অভ্যাসে পরিণত হলে স্বাস্থ্যের জন্য কিছুটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। যেহেতু এতে টেস্টোস্টেরণ হরমোন অধিক মাত্রায় ক্ষরণ সেহেতু শরীলে এর কিছুটা প্রভাব পড়ে। অনেকের মাথা ধরে, চিন চিন করে ব্যাথা করে, শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করেন, কারো কারো মেজাজ খিটখিটে থাকে ইত্যাদি। দীর্ঘ মেয়াদে অতিরিক্ত হাত মারার অভ্যাস থাকলে পরবর্তীতে লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যায় ভুগতে পারেন। তাছাড়া মস্তিষ্কে বিরুপ প্রভাব (Effect) পড়তে পারে। তাই অতিরিক্ত হাত মারা থেকে সাবধান থাকতে হবে।
অতিরিক্ত হাত মারা থেকে বাঁচার উপায়ঃ প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তাড়াতাড়ি বিয়ে করা। সঙ্গীর সাথে নিয়মিত দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করা, নীল বা পর্ণগ্রাফি দেখা বাদ দেয়া। খারাপ বা যৌন উত্তেজক কথা বার্তা পরিহার করা, যৌন আকাঙ্খা কমানোর জন্য পরিশ্রম তথা কাজ করা, শারীরিক অনুশীলন করা ইত্যাদি। তবে ইহা ছাড়াও ধর্মে কর্ম অনুশীলন করা এবং সামাজিক ও পারিবারিক অনুশীলন মেনে চললে অতিরিক্ত হাত মারা অভ্যাস পরিত্যাগ করা যায়।
হাত মারলে কি ব্রণ হয়ঃ হাত মারলে ব্রণ হয় এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, পুষ্টির অভাব, অপরিস্কার থাকা, ঘাম আসলে মুখমন্ডল পরিস্কার না করা, মুখমন্ডল নিয়মিত যত্ন না করা, বা অন্য যেকোন কারণে মুখে ব্রণ হতে পারে। আপনার মুখে ব্রণ হলে একজন চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখান। ব্রণের সাথে হাত মারা অভ্যাস দায়ী করবেন না।
পরিশেষে, আপনার যৌন জীবন সুখি, সমৃদ্ধ এবং নিয়মিত ও নিরাপদ কামনা করছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন