পৃষ্ঠাসমূহ

বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২

জেনে নিন কিভাবে লিখতে হয় জমি বন্ধক নামা চুক্তিপত্র (Word & Pdf)

জমি বন্ধক বলতে ঐ জমিকে বুঝায় যা স্বীয় মালিক কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট দায়বদ্ধতা


রেখে উক্ত জমির আনুপাতিক মূল্য হারে নগদ টাকা পঁয়সা বা অন্যকোন মালামাল গ্রহণ করে।

জমি বন্ধকনামা বলতে যখন মালিকপক্ষ তার জমি দায়বদ্ধতা রেখে অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ টাকা বা অন্যকোন বিণিময় গ্রহণ করার সময় যে চুক্তি সম্পাদিত হয় তাকে জমি বন্ধকনামা চুক্তি বলা হয়।

জমি বন্ধকনামা চুক্তিপত্রে কি কি থাকা আবশ্যকঃ একটি জমি বন্ধকনামা চুক্তিপত্রে প্রথমত, দুটি পক্ষ যথা প্রথমপক্ষ (জমির মালিক/বন্ধকদাতা) ও দ্বিতীয়পক্ষের ( বন্ধক গ্রহীতা) নাম, ঠিকানা, জাতীয়তা, ধর্ম, পেশা, জাতীয়পরিচয়পত্র নাম্বার থাকা বাধ্যতামূলক। দ্বিতীয়ত, কি কি শর্তে বন্ধক রাখা হয় তা স্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে, তৃতীয়ত, বন্ধকীনামা জমির তফসিল থাকা আবশ্যক, চতুর্থ, জমির বন্ধক দাতা, গৃহীতা এবং উভয়পক্ষের স্বাক্ষীগণের নাম ও স্বাক্ষর থাকা বাঞ্চনীয়।

জমির বন্ধকনামা চুক্তিপত্রের নমুনাঃ

 নমুনা- ১ঃ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

জমি বন্ধকনামা চুক্তিপত্র  

নাম: কবির হোসেন, পিতা: মৃত জলিল বেপারী ঠিকানা: মধ্য কোদালপুর, কোদালপুর, গোসাইরহাট, শরীয়তপুর, জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা। প্রথম পক্ষ / জমির মালিক/ বন্ধক দাতা॥

নাম: হাসেম আলী, পিতা: জয়নব বেপারী, ঠিকানা: মধ্য কোদালপুর, কোদালপুর, গোসাইরহাট, শরীয়তপুর জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা। ২য় পক্ষ/ বন্ধক গ্রহীতা।

মহান সৃষ্টিকর্তার গুণকীর্তণ করিয়া অত্র বন্ধকনামা চুক্তিপত্র বা বন্ধকনামা দলিল সম্পাদনের জন্যে চুক্তিপত্রির প্রারম্ভিক ও আইনানুগ বক্তব্য শুরু করিলাম। অতপর এখানে যেহেতু প্রথম পক্ষ নিম্নে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির ক্রয়সূত্রে মালিক হইয়া বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী জন্মগতভাবে নাগরিক হইয়া উক্ত জমি বিগত ৩০ বৎসর ধরিয়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি। উক্ত জমি বন্ধক রাখার পূর্বে  অন্য কারো নিকটে গোপনে বিক্রি অথবা বন্ধক রাখা হয়নি। বর্তমানে প্রথম পক্ষের বিশেষ ও জরুরী প্রয়োজনে নগদ টাকার দরকার হইলে দ্বিতীয় পক্ষকে নিম্নে তফসিল বর্ণিত ৫ বিএস দাগে ৩ কাঠা জমি ৫,০০,০০০ টাকা এক কালীন নেওয়ার বিণিময়ে বন্ধক দেওয়ার প্রস্তাব করিলে আপনি দ্বিতীয় পক্ষ উক্ত প্রস্তাব গ্রহণ করিয়া নিম্নে  তফসিল বর্ণিত ৩ কাঠা জমি বন্ধক নিতে কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে প্রকাশ করেছেন। প্রথমপক্ষের নগদ টাকার চাহিদার প্রেক্ষিতে দ্বিতীয়পক্ষ কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে অত্র জমি বন্ধকনামা চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হইয়াছেন।

 শর্তাবলী

০১। অত্র জমি বন্ধক নামা চুক্তিটি ০৫/০৫/২০২২ খ্রিষ্ট্রীয় তারিখে সম্পাদিত হইল। চুক্তিটি ০৫/০৫/২০২২ খ্রিষ্ট্রীয় তারিখ থেকে কার্যকর হইবে।

২। অত্র শক্তিপত্র অনুযায়ী প্রথম পক্ষ (বন্ধক দাতা) দ্বিতীয় পক্ষের (বন্ধক গ্রহিতার) নিকট হইতে অদ্য ০৫/০৫/২০২২ খ্রিষ্ট্রীয় তারিখে চুক্তিপত্রে বর্ণিত তফসিলীয় জমি জামানত বাবদ(বন্ধক রাখিয়া) এককালীন নগদ ৫,০০,০০০ টাকা উপস্থিত স্বাক্ষীগণের উপস্থিতিতে গুনিয়া বুঝে নিয়েছেন।

৩। অত্র চুক্তি দ্বারা দ্বিতীয় পক্ষ এই জমির মালিক বা স্বত্ব অর্জণ করিতে পারিবেনা। প্রথম পক্ষ যতদিন পর্যন্ত টাকা পরিশোধা করিতে না পারিবেন ততদিন পর্যন্ত কেবল দ্বিতীয়পক্ষ ভোগদখল করিতে পারিবে। 

৪। দ্বিতীয়ক্ষ এই জমি অন্য কোন ব্যক্তি বা তৃতীয়পক্ষের নিকট ভোগদখল হস্তান্তর করিতে পারেবেন না। তিনি চাইলে বর্গা বা অন্য কারো দ্বারা চাষাবাদ করিতে পারিবেন। সে ক্ষেত্রে তিনিই ভোগদখলীয় বলে বিবেচিত হইবেন। তবে ফসলি জমির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করিতে পারিবেন না, বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করিতে পারিবেন না।

৫। এই চুক্তির মেয়াদ হবে নিম্নতম ছয় মাস  অর্থাৎ চুক্তি স্বাক্ষরের পরবর্তী এক বছর ভিতর যদি প্রথমপক্ষ টাকা পরিশোধ করেও তবুও দ্বিতীয়পক্ষ এই ছয়মাস জমি ভোগ দখল করিতে পারিবেন। তবে ছয় মাসের পর যদি প্রথমপক্ষ টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন তবে তিনি তিনি মাস পর্যন্ত জমি ভোগ দখল করিতে পারিবেন।

৬। চুক্তির মেয়াদ শেষে যেদিন ১ম পক্ষ এককালীন ৫,০০,০০০ টাকা দ্বিতীয়পক্ষের নিকট বুঝিয়া দিবেন সেদিনই ২য় পক্ষ বন্ধকী জমির ভোগ দখল হারাইবেন বলে বিবেচিত হবে। 

০৭। এই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীগণ যদি প্রাকৃতিক বা কোন কারণে মৃত্যুবরণ করেন তাহলে তাহাদের ওয়ারিশগণের উপর উক্ত চুক্তির শর্ত সমূহ প্রযোজ্য হবে। ইহাতে তাহারা কোন রকম ওজর আপত্তি করিতে পারিবেন না।

৮। ২য় পক্ষ বন্ধকী জমিতে স্থায়ী বা অস্থায়ী কোন ধরণের অবকাঠামো নির্মাণ করিতে পারিবেন না।

৯। ২য় পক্ষ বন্ধকী জমি অন্য কারো নিকট ভাড়া দিতে পারিবেন না।

১০। ২য় পক্ষ বন্ধকী জমিতে রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী কোম কার্যকলাপ করিতে পারিবেন না।

১১। ২য় পক্ষ বন্ধকী জমির কোন রকম ক্ষতি যেমন পুকুর বা জলাশয় কাটিতে পারিবেন। তিনি উক্ত জমিকে মাছ চাষের ঘের এ রুপান্তর করিতে পারিবেন না।

১২। উক্ত জমি হতে ২য়পক্ষ মাটি বা বালু কেটে বিক্রি করিতে পারিবেন না।

১৩। উক্ত চুক্তি সম্পাদনের পর প্রথম পক্ষের ওয়ারিসান কিংবা তাহার আত্মীয় স্বজন এই চুক্তির ব্যাপারে কোন রকম ওজর আপত্তি করিতে পারিবেন না। তাহারা মেয়াদ শেষে প্রথম পক্ষের সম্মুখে এক কালীন টাকা পরিশোধ করেই কেবল জমির ভোগ দখল বুঝে নিতে পারিবেন।

এতদ্বার্থে নিজ নিজ উদ্যোগে, স্বেচ্ছায় ও সুস্থ মস্তিষ্কে, অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র ফসলী জমির বন্ধকীনামা দলিল পাঠ করিয়া ও বুঝে উপস্থিত উভয় পক্ষের স্বাক্ষীগণের সম্মুখে নিজ নাম সহি সম্পাদন করিলাম। 

বন্ধকী নামা দলিলের তফসিল পরিচয়ঃ

জেলা- শরীয়তপুর, থানা- থানা গোসাইরহাট, ইউনিয়ন কোদালপুর, মৌজাঃ মধ্য কোদালপুর, জমির দাগ নং আরএস, ১৪২, বিএস, ৪৩, জেলএল নং ৫৫, জমির পরিমাণঃ ৫ শতাংশ। 

বন্ধক দাতার নাম ও স্বাক্ষরঃ

বন্ধক গ্রহীতার নাম ও সাক্ষরঃ

উভয় পক্ষের স্বাক্ষীগণের নাম ও স্বাক্ষরঃ


নমুনা-২ঃ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

জমি বন্ধকনামা চুক্তিপত্র 

নাম: কমল উদ্দিন, পিতা: জমির উদ্দিন পরামানিক, ঠিকানাঃ:জেলা-ঢাকা, থানা- ধামরাই, সাবরেজিষ্ট্রি অফিস কালামপুর, মৌজাঃ ভাদালীয়া, জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা। প্রথম পক্ষ ॥

নাম: অনিসুর রহমান পাঠান, পিতা: মোগল পাঠান, ঠিকানা:জেলা-ঢাকা, থানা- ধামরাই, সাবরেজিষ্ট্রি অফিস কালামপুর, মৌজাঃ ভাদালীয়া, জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা। ২য় পক্ষ ॥

সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করিয়া অত্র বন্ধকনামা চুক্তিপত্রের বাস্তব সম্মত, আইনানুগ ও প্রারম্ভিক  বক্তব্য শুরু করিতেছি, যা চুক্তিপত্রের বিশদ বা শানেনুযুল বলে বিবেচিত হইবে। চুক্তিপত্রে বণিত জমি যেহেতু প্রথমপক্ষ পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে মালিক, সেহেতু আমি উক্ত জমি বন্ধক রাখিবার অধিকার ও ক্ষমতা ভোগ করি। প্রথমপক্ষ তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি ৩০ বছর ধরিয়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে। এখানে প্রথম পক্ষের নগদ টাকার প্রয়োজন হইলে দ্বিতীয় পক্ষকে নিম্নে  তফসিল বর্ণিত জমিখানা বন্ধক রাখার প্রস্তাব করিলে আপনি দ্বিতীয় পক্ষ উক্ত প্রস্তাব সর্বদিক বিবেচনা করিয়া গ্রহণ করতঃ নিম্নে  তফসিল বর্ণিত জমিটি বন্ধক নিতে রাজী ও সম্মত হইয়াছেন। এখানে  উভয় পক্ষ কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে অত্র জমি বন্ধকনামা চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হইলামঃ

শর্তাবলী

১। চুক্তি পত্রটি অদ্য ৫/৫/২০২২ সালে সসম্পাদিত হইল। চুক্তিটি জমি বন্ধকী চুক্তি নামে ডাকা হইবে।

২। চুক্তি পত্রে যা-ই থাকুন না কেন তার  যদি কোন শব্দ বা বাক্য সরকারী আইনের পরিপন্থী হয় তাহলে তা রহিতকরন করে পুনরায় লিখিত হইবে। 

০৩। প্রথম পক্ষ/ বন্ধক দাতা দ্বিতীয় পক্ষ /বন্ধক গ্রহিতার নিকট হইতে নিম্নে তফসিল বর্ণিত ফসলজমি বন্ধক রাখিয়া এককালীন নগদ ৫,৬০,০০০.০০ (পাঁচ লক্ষ ষাট হাজার) টাকা উপস্থিত স্বাক্ষীগণের সম্মুখে বুঝিয়া নিয়াছেন। 

০২। অত্র বন্ধকী জমিখানা যেহেতু ফসলী জমী, তাই চাষাবাদ ছাড়া অন্য কোন কাজ করিতে পারিবেন না। পশুপালন, অস্থায়ী ও স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ,  বালু ও মাটি কাঠা যাইবেনা।

০৩। বন্ধক দাতা এখনে বন্ধক গ্রহিতার নিকট  বন্ধক বাবদ ৫,৬০,০০০.০০ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য থাকিবেন। ইহাতে যদি প্রথম পক্ষ ব্যর্থ হয় তাহলে ২য় পক্ষ উক্ত জমি টাকা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ভোগ দখল করিতে পারিবেন। প্রথম পক্ষ টাকা পরিশোধ না করে জমি ফেরত চাইলে বা ভোগ দখল করতে চাইলে  দ্বিতীয় পক্ষ / বন্ধক গ্রহিতা প্রথম পক্ষ/ বন্ধক দাতার বিরুদ্ধে আইনানুগ যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন। অনুরূপ ২য় পক্ষ/ বন্ধক গ্রহিতা যদি বন্ধককৃত ৫,৬০,০০০.০০ টাকা ফেরত পাওয়ার পর উক্ত জমিটি পূর্ববস্থায় ছাড়িয়া দিতে বা উহার দখল বুঝাইয়া দিতে কোনরূপ গড়িমসি করিলে তাহা হইলে প্রথম পক্ষ/ বন্ধকদাতা ২য় পক্ষ/ বন্ধক গ্রহিতা বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে পারিবেন। 

০৪।উক্ত চুক্তিপত্রের সকল ধারা উভয় পক্ষের ওয়ারিশ

গণের উপর বর্তাবে।

০৫। ভবিষ্যতে প্রথম পক্ষ /বন্ধক দাতা ও দ্বিতীয় পক্ষ / বন্ধক গ্রহিতার মধ্যে অত্র বন্ধকী জমি নিয়া বা কোন শর্ত বিষয়ক প্রশ্ন / মতানৈক্য দেখা দিলে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাহা নিষ্পত্তি করিয়া নিবেন। তবে উহা ব্যর্থ হইলে তাহা প্রচলিত আইন ও নিয়ম মোতাবেক নিষ্পত্তি হইবে। 

০৬। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, অত্র জমিটি বন্ধকীর বিষয়ে প্রথম পক্ষ /বন্ধক দাতার পরিবার বা তাহার ওয়ারিশগণ কোন প্রকার ওজর আপত্তি করিতে পারিবে না। করিলে তাহা সর্বাদালতে অগ্রাহ্য বা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। 

এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, সুস্থ শরীরে সরল মনে অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র ফসলী জমির বন্ধকীনামা দলিল পাঠ করিয়া উপস্থিত স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় নিজ নাম সহি সম্পাদকন করিয়া দিলাম। ইতি, তাং- 

বন্ধকী নামা দলিলের তফসিল পরিচয়ঃ 

জেলা-ঢাকা, থানা- ধামরাই, সাবরেজিষ্ট্রি অফিস কালামপুর, মৌজাঃ ভাদালীয়া অধীন। 

জমির দাগ নংঃ আর এস- ৪২, বিএস- ৫৫, জেলএল নং- ১৪২,  জেলা-ঢাকা, থানা- ধামরাই, সাবরেজিষ্ট্রি অফিস কালামপুর, মৌজাঃ ভাদালীয়া অধীন।

জমির পরিমাণঃ ৮৪ শতাংশ 


বন্ধক দাতার নাম ও স্বাক্ষরঃ

বন্ধক গ্রহীতার নাম ও সাক্ষরঃ

উভয় পক্ষের স্বাক্ষীগণের নাম ও স্বাক্ষরঃ



শেষ কথাঃ জমি বন্ধক রাখার আগে অবশ্যই একজন আইনজীবীর সাথে কথা বলে নিবেন। 

এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের সামন্য উপকারে আসে তাহলে মন্তব্যের মাধ্যমে অবশ্যই আমাদের জানাবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন