পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২

অন্ডকোষ বা বিচির ছবি এবং অন্ডকোষের রোগ নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানুন- Sotterchaya

অনেক ছেলেদের অন্ডকোষ বা বিচি স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বড়। অন্ডকোষ যদি স্বাভাবিকের তুলনায় বড় থাকে তাহলে তাকে “বিগ বল সিনড্রোম” বলে। অনেক পুরুষ আছেন

যারা “বিগ বল সিনড্রোম” নিয়ে হতাশায় কিংবা দুশ্চিন্তায় ভোগেন। তবে আশার কথা হলো আপনার সঙ্গীর কাছে বিচি বা অন্ডকোষের আকার ছোট কিংবা বড় কোন বিষয় নয়। সঙ্গী আপনার থেকে চমেৎকার যৌন-জীবন এবং ভালো একটি দাম্পত্য জীবন আশা করে।

অন্ডকোষ বড় হলেই যে আপনি অন্যদের থেকে মিলনে বেশি সময় পাবেন এমন কোন বিষয় বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত নয়। তবে কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যাদের অন্ডকোষ প্রাকৃতিক ভাবে বড় তাদের বীর্য উৎপাদন তুলনামূলকভাবে একটু বেশি হয়।

সঙ্গী কেমন অন্ডকোষ পছন্দ করে এ নিয়ে আপনার ভাবার কিছু নেই। সঙ্গী আপনার ব্যক্তিত্ব, বাচনভঙ্গি এবং উপস্থাপন পছন্দ করবে। অন্ডকোষ নিয়ে তার ভাবার সময় নেই।

অন্ডকোষের অতি পরিচিত একটি রোগ হলো হার্নিয়া বা হাইড্রোসিল। অধিকাংশ হাইড্রোসিল জম্নের সময়ই থাকে। যে ধরণের  হাইড্রোসিল বা হার্ণিয়া জন্মের সময় থাকে তাদের প্রকাশিত হতে কোন কোন ক্ষেত্রে চল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত সময় লাগে। হাই্রোসিল হলে ভয়ের কিছু নেই। চিৎিসায় হাইড্রোসিল ভালো হয়। শুধু প্রয়োজন সময় মত ডাক্তার দেখানো।


মানুষ ছাড়াও অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের অন্ডকোষ থাকে। এই অন্ডকোষ যৌন ক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তা হলো অন্ডকোষের মাধ্যমে শুক্রাণু তৈরি হয়। তাই বলা যায় অন্ডকোষ হলো বাবা হওয়ার আঁতুর ঘর। প্রতিটি ছেলের অন্ডকোষ একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।


অন্ডকোষের আকারের উপর লিঙ্গের আকার নির্ভর করেনা। পুরুষের লিঙ্গের আকার নির্ভর করে জেনেটিক বৈশিষ্ট, দেহের আকার, বেঁচে থাকার পরিবেশ, খাদ্যভাস, যৌন জীবন ব্যবহারিক ইতিহাসের উপর। 

যেহেতু অন্ডকোষ মানব দেহের অন্যান্য অঙ্গাণুর মত একটি অঙ্গ তাই তাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। যেহেতু এটি দুই পায়ের (উরুর) মাঝে থাকে এবং আন্ডার ওয়্যার ওর নিচে থাকে সেহেতু এখানে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। ফলে অনেক সময় চুলকায়। তাই গোসল করার সময় নিয়মিত সাবান দিয়ে ধৌত করতে হবে এবং চুল কেটে ছোট রাখতে হবে।

রোগের কারণে অন্ডকোষ একটি ছোট এবং একটি বড় হয়। হার্নিয়া হলো অন্ডকোষের বহুল পরিচিত একটি রোগ। হার্নিয়া বা হাইড্রোসিল হলে অন্ডকোষ ফুলে যায় এবং বাইরের দিকে পানি জমে থলথল করে। এটি সাধারণত আঘাত বা প্রদাহের কারণে হয়। এই রোগটি অন্ডকোষের দুইপাশে অথবা একপাশে হয়। এটি বাংলাদেশে বহুল পরিচিত একটি রোগ।



অন্ডকোষে অনেক সময় বিভিন্ন সিষ্ট, মাইট (পরজীবী), পাচরা এবং ছোট ছোট গোটাগাটি উঠতে পারে। অনেক সময় ফোঁড়া উঠে এবং সাদা হাস (এক ধরণের পিচ্ছিল পদার্থ) বের হয়। এমন অবস্থায় ঘাবড়ে যাবেনা, সত্তুর ডাক্তার দেখাতে হবে।



অন্ডকোষে টেষ্টিকোলার (Testicular Cancer) ক্যান্সার নামে এক ধরণের ক্যান্সার হয়। ক্যান্সার যদি শুরুতে ধরা যায় এবং ডাক্তার দেখানো হয় তাহলে অল্পতে ভালো হয়ে যায়।


প্রাকৃতিক ভাবেই কিন্তু মানুষের অন্ডকোষ একটা থেকে আরেকটা কিছুটা ছোট হতে পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই। এই নিয়ে আপনার জীবনে কোন সমস্যা হবেনা। 





পরিশেষে, অন্ডকোষ সুস্থ থাকলে পুরুষের শুক্রাণু উৎপাদন স্বাভাবিক থাকে। তাই প্রতিটি মানুষ চায় তার অন্ডকোষ সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকুক। অন্ডকোষে কোন রোগ হলে লজ্জা এবং আতংকিত না হয়ে অতিদ্রুত ডাক্তার দেখান। 


1 টি মন্তব্য: