পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২

ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের নিচে কিছু সাধারণ প্রাণী। যা দেখলে আপনি চমকে উঠবেন।


আপনি ঢাকা শহরে বসবাস করবেন আর ছারপোকা চিননেব না; তা’তো হতে পারেনা। যদি না চিনে থাকেন তাহলে ছারপোকার একটি মাইক্রোস্কোপিয়াল ছবি দেখে নিন। সুন্দর না! বাহ্  কি চমেৎকার এর শূর। এই শূর দিয়ে আমাদের শরীল থেকে এরা রক্ত টেনে খায়।


বৈজ্ঞানিক নাম লরিয়া ফর্মোসা, সাধারণত হলুদ মাইট বা সাইট্রাস মাইট নামে পরিচিত। পৃথিবী ব্যাপী সাইট্রাস জাতীয় উদ্ভিদ যেমন কমলা-লেবুর গাছের পাতায় এদের দেখতে পাওয়া যায়।

 

এটি রেশন গুটি বা সিল্ক মথের ছবি। আমরা যে সুন্দর ও মিহি রেশম কাপড় পড়ি তা এই মথ থেকে তৈরি হয়। চেহারাটা বিদঘুটে হলেও দেখতে কিন্তু অনেক মায়াবী। অনেকটা ভাল্লুক ছানার মতো। করবেন নাকি রেশম গুটি চাষ। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে।


টারডিগ্রেড হচ্ছে একটি অতিক্ষুদ্র প্রাণী। এটি "জল ভালুক" বা "Water Bear" নামেও পরিচিত। এই জীব পৃথিবীর অতি প্রাচীন জীবগুলোর মধ্যে একটি। এরা প্রথিবীর পরিবর্তণের সাক্ষী। এরা পৃথিবীতে মানুষের আগমনেরও আগে পৃথিবীতে এসেছে। সে হিসেবে তারা আমাদের থেকে সিনিয়র ও অভিজ্ঞ। টারটিগ্রেড আকারে এতই ছোট যে একে শুধু মাইক্রোস্কোপ দিয়েই দেখা যায়। ভাগ্য ভালো যে মাইক্রোস্কোপ আবিষ্কার হয়েছে। তা নাহলে আমরা তাদের কখনো দেখতে পেতাম না।


কৃমির সাথে আমরা কমবেশি পরিচিত। ছবিটি একটি ছোট কৃমির লাভা বা সদ্য ডিম ফুটা বাচ্ছা। কি সুন্দর মুখের আকৃতি। যেন হাতির কাছাকাছি। আপনার কি মনে হয়, হাতির বাচ্ছা সাথে করে ঘুরে বেরাচ্ছেন!


একটি শ্বেত রক্ত কণিকা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রমণ হওয়ার পর এই ছবি ধারণ করা হয়েছে।


এই ছবিটি একটি মানব কোষের। কোষটির চর্তুর দিক সার্স ভাইরাস (কোভিট-২) দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। ভাইরাস সংক্রমণে কোষটির অবস্থা একেবারে নাজুক হয়েছে। আমরা যতই দৈহিকভাবে শক্তিশালী হইনা কেন, প্রতিষেধক আবিষ্কার না হলে এমন ক্ষুদ্র ভাইরাসের কাছেও অসহায়ভাবে  আত্মসমর্পণ করতে হয়।

উপরের ছবিটা বিভিন্ন  উদ্ভিদ পরাগের রঙিন ছবি। ছবিটি সাধরণের তুলনায় ৫০০ গুণ জুম করে তোলা হয়েছে। পরাগ দেখতে কি সুন্দর দেখা যায়। এজন্যই ফল খেতে এতো মজা লাগে।

 

মৌমাছির এন্টেনার খুব কাছের (Close UP) ছবি। দেখতে কি সুন্দর মাশাল্লাহ। মৌমাছি সামাজিক (কলোনিয়াল) প্রাণী। তারা একে অপরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে।

সর্বশেষ এই ছবিটা হলো স্কাবিস মাইট বা চুলকানির পোকা। আমাদের দেহে এই মাইট প্রবেশ করলে আর রক্ষা নেই। তারা আমাদের শরীলে হালচাষ করতে থাকে। ফলে শরীল মারাত্মক ‍চুলকায়, লাল লাল গুটি উঠে।  চামড়ার নিচে চলাচল করার জন্য শরীর খেয়ে রাস্তা তৈরি করে। তার পর সেখানে ডিম পাড়ে এবং বাচ্ছা ফুটায়। সাধারণ ঔষুধে এই মাইট বা পোকা মরে না। তাই আক্রান্ত হলে অতিদ্রুত ডাক্তার দেখান। বাজারে স্কাবিস নামে বিভিন্ন ব্রান্ডের মলম পাওয়া যায়।



ছবিঃ অনলাই থেকে সংগ্রহীত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন