সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০২২

কোদালপুর- লঞ্চঘাট দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীদের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে। টার্মিনাল নির্মাণে দ্রুত পদক্ষেপ চায় এলাকাবাসী।

কোদালপুর লঞ্চ ঘাট যেন নামে আছে কামে নাই। কোদালপুর লঞ্চ ঘাটটি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। 

এই লঞ্চঘাট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার মানুষ যাতায়াত করে। ৮ থেকে ১০টি লঞ্চ কোদালপুর ঘাটে নোঙ্গর করে। কোদালপুর থেকে দিনে ও রাতে ঢাকার উদ্দেশ্য অনেকগুলো লঞ্চ ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে কোদালপুরের উদ্দেশ্যে অনেকগুলো লঞ্চ ছেড়ে আসে।
তাছাড়া উক্ত ঘাট দিয়ে চাঁদপুরেও সহজে যাতায়াত করা যায়। কিন্ত অতি পরিতাপের বিষয় উক্ত নৌ-ঘাটটিতে কোন টার্মিনাল বা জেটি নেই। যাত্রী ছাউনির আশা করা তো বোকামি। ঘাট দিয়ে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। এই ঘাট দিয়ে কতগুলো ট্রলার হাইমচর, মাজেরচর, মাঝির বাজার, সাহেবগঞ্জ, সাতপারা, চরভৈরবী, গোসাইরহাট ইত্যাদি অভিমুখে নিয়মিত সার্ভিস দিয়ে থাকে। 

লঞ্চঘাট দিয়ে যাতায়াত কারী যাত্রীদের দুর্ভোগ আর আতঙ্ক নিত্য দিনের সঙ্গী। শুষ্ক মৌসুমে দুর্ভোগ কিছুটা কম হলেও বর্ষাকালে নার্ভিশ্বাস উঠে। কাদা আর হাটুপানিতে মানিয়ে নিতে হয়। এই ঘাট থেকে কেউ সরাসরি লঞ্চে উঠতে পারেন না, প্রথমে ঘাটে দিতে হয় পাঁচ টাকা। তারপর ট্রলার উঠতে হয়। ট্রলারে উঠতেও ঝক্কিঝামেলা আছে। কাদা ও হাটুপানি ভাঙতে হয়। ট্রলারে উঠার সাথে সাথে ট্রলার চালকে ১০ টাকা, কখনো কখনো বিশ টাকা দিতে হয়। অথচ নদী পথের দূরত্ব কোয়ার্টার মাইলেরও কম। 
এখন প্রশ্ন উঠছে ঘাটের টোল ফি বা প্রবেশ ফি নিয়ে।  তারা প্রতি প্যাসেঞ্জার থেকে পাঁচ টাকা করে নিয়ে থাকে। অথচ যাত্রী সেবায় তাদের বিন্দুমাত্র কোন ভূমিকা বা আগ্রহ নেই। 

বর্তমানে ঘাটে স্থায়ী কোন অবকাঠামো নেই। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃক কোন টার্মিনাল বা জেটি নির্মাণ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। বিগত দিনে  অনেক কাঠখড় পোহানোর পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ  লোহার পিলারের উপর একটি কাঠের পুল বা  ব্রিজ নির্মাণ করে দেয়। 

এই ব্রিজ তৈরি করার সময় পাভেল নামে এক যুবলীগ কর্মী বিদ্যুৎের তারের সাথে পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যুবরণ করলে উক্ত পুল বা ব্রিজের নাম রাখা হয় পাভেল স্মৃতিপুল। এই পুল বর্ষাকালে যাত্রী পারাপারে কোন কাজেই আসেনা। পুলের দু'পাশে উঁচু রাস্তা না থাকার কারণে পুলটি যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পরে। উপরন্তু নৌ চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

অতএব যাত্রী সেবার কথা মাথায় রেখে বিআইডব্লিউটিএ, স্থানীয় প্রশাসন  এবং সংসদ সদস্য জনাব নাহিম রাজ্জাক অতিদ্রুত কোদালপুর লঞ্চঘাট টার্মিনাল নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন- জনগণ এই প্রত্যাশা করে।  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Recent Post

Proposal for Sale of Commercial Lands- Sotterchaya