সোমবার, ২২ আগস্ট, ২০২২

সর্ব শক্তিমান এক ঈশ্বর আল্লাহ অথবা কেন্দ্রীয় একক শক্তির পরিচয়, মানুষের পক্ষে কি কেন্দ্রিয় একক শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব?

এই বিশ্বব্রাখন্ড, মহা জগৎ, মহাকাশ বা সৌর জগৎ, দৃশ্যমান ও অদ্রশ্যমান, জানা ও অজানার বাইরে যা কিছু থাকুন না কেন সব কিছু সৃষ্টি, সম্প্রসারণ এবং অপসারণের পিছণে একটি কেন্দ্রীয় ও একক শক্তি ক্রিয়াশীল। এই কেন্দ্রিয় ও একক শক্তি হলো সর্ব শক্তিমান এক ঈশ্বর বা খোদা বা আল্লাহ বা গড।

মহা বিশ্ব সচল রাখতে এবং সৃষ্টির ধারাক্রম ঠিক রাখতে একটি কেন্দ্রীয় একক শক্তির প্রয়োজন। এই কেন্দ্রিয় একক শক্তির কোন ক্ষয় বা নিংশেষ নেই। এই  একক শক্তির পরিমাণ তা নির্ণয় করা যায় না।কেন্দ্রিয় একেক শক্তি তার শক্তি সমূহের একটি অংশ মহাবিশ্বের নানা উপাদানকে চালিত করতে বিভিন্নভাবে রুপান্তর করতে থাকে। রুপান্তরকৃত শক্তি মহাবিশ্ব চালনায় ব্যয় হয়ে পুনরায় রুপান্ত হয়ে কেন্দ্রিয় একক শক্তিতে ফিরে যায়। ফল শ্রুতিতে কেন্দ্রিয় এককে শক্তির কোন অপচয় বা নিঃশেষ নেই।

মানুষের পক্ষে কি কেন্দ্রিয় একক শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব? উত্তর হবে অবশ্যই না। কেননা; মানুষ হলো পৃথিবীর অধিবাসী। আর পৃথিবী হলো মহাবিশ্বের অধিবাসী। পৃথিবীর সব মানুষের মস্তিষ্ক যদি একই যুগে একই বিষয়ে অর্থাৎ কেন্দ্রিয় একক শক্তি নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগায় তাহলেও মানুষ কেন্দ্রিয় একক শক্তিকে আত্মস্থ করতে পারবে না। এক্ষেত্রে যদি মানুষ তার প্রযুক্তিগত সক্ষমতাও কাজে লাগায় তাহলে কেন্দ্রিয় একক শক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেনা।

কেন্দ্রিয় একক শক্তি কি পরিমান করা যাবে? উক্তর হবে অবশ্যই না। কেননা কেন্দ্রিয় একক শক্তি পরিমাপ করতে হলে মানুষকে কেন্দ্রিয় একক শক্তির সমতুল্য কোন কিছুর তুলনা করতে হবে। এক্ষেত্রে যদি কোন কল্পিত রাশি কল্পনা করা হয় তাহলেও সঠিক পাঠ পাওয়া যাবেনা বলে মনে হয়। তবে কল্পিত রাশির মান কল্পিতই থেকে যাবে।

যদি মানুষ কেন্দ্রিয় একক শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তাহলে মহাবিশ্ব বা পৃথিবীর রুপ কেমন হতে পারেঃ তাহলে মহাবিশ্বের রুপ রাতারাতি পাল্টে যাবে। মানুষ প্রথমেই কেন্দ্রিয় শক্তিদ্বারা এমন এক সুন্দর ও মনোরম পৃথিবী বা জগৎ তৈরী করে নিবে যা এক কথায় অসাধারণ হবে। ধর্মীয় গ্রন্থে যে জান্নাত বা স্বর্গের কথা বলা হয়েছে তারচেয়ে আকর্ষণীয় করে পৃথিবী গড়ে তুলবে।

যদি কোন জাতি কেন্দ্রীয় একক শক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তাহলে অন্য জাতির কি হবে? এক্ষেত্রে যে জাতি কেন্দ্রিয় একক শক্তি অর্জণ করবে সে জাতি হয় পৃথিবীর চাইতে অধিক বাসযোগ্য গ্রহ তৈরী করে তাতে স্থানান্তর হবে, অথবা তারা পৃথিবীকে নতুন রুপ দিবে এবং নিজেরা ঈশ্বররুপে আর্বিভূত হবে এবং অন্য জাতিকে একেবারে বিলুপ্ত করে দিতে পারে অথবা তাদের কে জীবিত রেখে নানা রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে। দাস-দাসী হিসেবে রেখে দিলেও আশ্চার্যের কিছু নেই।   

 

এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের সামন্য উপকারে আসে তাহলে মন্তব্যের মাধ্যমে অবশ্যই আমাদের জানাবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Recent Post

Proposal for Sale of Commercial Lands- Sotterchaya