নৈতিক ও মূল্যবোধ শিক্ষার মূল লক্ষ্য হচ্ছে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ তৈরি। শিক্ষা অর্জণ করে মানুষ পরিপূর্ণ জীবনের দিকে ধাবিত হয়, আর জীবনই মানুষকে পরিপূর্ণ শিক্ষার স্বাদ দেয়। আধুনিক কালে শিক্ষার সাথে 'সু' প্রত্যয় যুক্ত হয়ে 'শিক্ষা' শব্দটিকে 'সুশিক্ষা'য় রুপান্তর করা হয়েছে। এখন সুশিক্ষিত বলতে নৈতিক চরিত্র অর্জনকারী বুঝায়।
শিক্ষার নির্দিষ্ট গন্ডি থাকলেও চূড়ান্ত লক্ষ্য নির্ধারন করা কঠিন। তবে শিক্ষার চূড়ান্ত লক্ষ্য মানব জীবনের বিকাশ সাধন বলেই এর সঙ্গে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ অঙ্গাঙ্গী যুক্ত। মানব জীবনের পরিপূর্ণ বিকাশে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের গুরুত্ব অপরিসীম। একজন প্রকৃত সুশিক্ষিত ব্যক্তিই কেবল মানবিক মূল্যবোধ সম্পূর্ণ হতে পারে।
নৈতিক শিক্ষা কীঃ নৈতিক মূল্যবোধ মানুষের জীবনে অনুসরণযোগ্য এমন কিছু পালনীয় আচরণবিধি বা কোড অব কন্ট্যাক্ট (Code of contract), যা মানুষের জীবন ব্যবস্থা, জীবন ধারণের পদ্ধতিকে করে তোলে আধুনিক, সময়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সুন্দর, নির্মল ও রুচিসম্মত। এরিস্টটল বলেছেন- সুস্থ দেহে সুস্থ মন তৈরি করার নামই শিক্ষা ( Education is the creation of sound mind in a sound body).। এই সুস্থ মন- এর সঙ্গে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
মূল্যবোধ কীঃ সাধারণ অর্থে নৈতিকা সম্বন্ধে মানুষের ভিতরগত আচরণগত সচেতনতা জাগানোর শিক্ষাকে মূল্যবোধ শিক্ষা বলা হয়। মূল্যবোধ শিক্ষা মানুষের ভিতরের কাম রিপুকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সামজিক ন্যায়নীতি, বিশ্বাস, কালচার, প্রথা, প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক আইন, আচরণ ইত্যাদি বিষয়ে যে ধ্যান ধারণা তাই মূল্যবোধ। মানবিক মূল্যবোধের মধ্যে পড়ে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, স্নেহ, প্রীতি সহমর্মিতা, সহনশীলতা ইত্যাদি। মানবিক মূল্যবোধের সাথে নৈতিকতার সম্পর্ক বিদ্যামান। মানবিক মূল্যবোধ যার নেই তার নৈতিকতাবোধ নেই বলা চলে।শিশুরা মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে জন্মায় না, এটি তাদের অর্জিত গুণ। শিশুরা পরিবার, সমাজ থেকে মূল্যবোধ ও নৈতিকতা শিক্ষা পায়। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিদ্যালয়ও মূল্যবান ও নৈতিকতা শিক্ষা লাভের উৎকৃষ্ট স্থান।
এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের সামন্য উপকারে আসে তাহলে মন্তব্যের মাধ্যমে অবশ্যই আমাদের জানাবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন