বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২

ঠান্ডা, সর্দি-কাশির ঘরোয়া প্রতিকার ও প্রাকৃতিক ঔষুধ- সত্যের ছায়া

সর্দি-কাশি বাংলাদেশে একটি কমন রোগ। সাধারণত গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত সহ সারা বছরই সর্দি-কাশি হতে পারে। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শীতকালে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে। যদিও অনেক ধরণের ভাইরাস সর্দি-কাশির কারণ হতে পারে, তবে রাইনোভাইরাসগুলি সবচেয়ে বেশি দায়ী।

রাইনো গোত্রীয় ভাইরাসগুলো আপনার মুখ, চোখ বা নাক দিয়ে শরীরের ভিতর প্রবেশ করে।যখন অসুস্থ ব্যক্তি কাশি, হাঁচি বা কথা বলে তখন বাতাসের মাধ্যমে ভাইরাসটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং সুস্থ্য ব্যক্তিকে আক্রান্ত করে।নিম্নে সর্দি কাশির ঘরোয়া প্রতিকার উল্লেখ করা হলোঃ

জাম্বুরাঃ জাম্বুরা বাংলাদেশে একটি সিজন্যাল বা মৌসুমী ফল।আপনি জানলে অবাক হবেন জাম্বুরাতে রয়েছে প্রাকৃতিক রেমেডিস। রেমিডিস ঠাণ্ডা, জ্বর বা কাশি দূর করার প্রাকৃতিক মহা ঔষুধ।

সুতরাং একটু জ্বর, সর্দি, কাশি হলেই মুঠো  ভর্তি এক গাদা মেডিসিন না খেয়ে জাম্বুরা খেতে পারেন, এতে দ্রুত উপকার পাবেন। 

তুলসীপাতাঃ সর্দি-কাশি এবং ঠান্ডা জ্বরে তুলসি পাতা সেই প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে।তুলসী পাতা পাটা দিয়ে পিসে কিংবা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পানি টুকু খেতে পারেন।

আদা এবং আদা চাঃ সর্দি-কাশির জন্য আদা একটি ভেষজ ঔষুধ। আদা কুচি করে গরম পানি কিংবা গরম চায়ের মধ্যে দিয়ে পান করতে পারেন। উপকার পাবেন।

মধুঃ মধুর গুনাগুনের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের প্রধান প্রধান ঔষুধ কোম্পানীগুলে বিভিন্ন ব্যান্ডের কাশির সিরাজ উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। সুতরাং সর্দি-কাশিতে আপনি মধু পান করতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখবেন মধু যেন প্রাকৃতিক ও ভেজালমুক্ত হয়।

দুধ ও হলুদ: হলুদে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে, যা সহজেই সংক্রমণ রোধ কর। সুতরাং এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর আস্তে আস্তে পান করুন।  এতে সর্দি- কাশির প্রকোপ থেকে রক্ষা পাবেন।

মসলা চা: লবঙ্গ, এলাচ, দারুচিনি, গোলমরিচ পরিমান মতো নিয়ে পানিতে জ্বাল দিতে থাকুন।  মশলার ভালোমতো জ্বাল হলে সেই পানি পান করুন। এতে গলার প্রদাহ কমবে এবং কফ দূর হবে।

লবন পানিতে গারগলঃ সর্দি-কাশি হলে পানিতে লবন দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এবার সেই পানি কুসুম কুসুম গরম থাকা অবস্থায় গারগল করুন।  এতে সর্দি কাশির প্রকোপ থেকে আপাত রক্ষা পাবেন।

বালিশ উচু করে ঘুমানোঃ বালিশ উচু করে ঘুমালে কাশি প্রকোপ কমে যায়।

কাথা মুড়িয়ে ঘুমানোঃ তাপমাত্রা কম থাকলে কাথা মুড়িয়ে ঘুমান। কাথা মুড়িয়ে ঘুমালে ভিতরে অক্সিজেনের পরিমান কমে যায় এবং কার্বণ ডাই অক্সাইডের পরিমান বেড়ে যায়। ফলে কাশের প্রকোপ অধিকাংশ কমিয়ে নিয়ে আসে।

গলায় কাপড় পেচানোঃ সর্দি-কাশিতে গলায় সুতি কাপড় পেচিয়ে নিন। এতে কাশির প্রকোপ কমে যাব।

আপনি যদি সর্দি-কাশিতে দীর্ঘদিন ভোগে থাকেন এবং রোগ ভালো হওয়ার লক্ষণ না থাকে তাহলে অবশ্যই রেজিষ্টার্ড ডাক্তার দেখান এবং ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ঔষুধ সেবন করুন।

এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের সামন্য উপকারে আসে তাহলে মন্তব্যের মাধ্যমে অবশ্যই আমাদের জানাবেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Recent Post

DECLARATION ABOUT OVERDUE CLASSIFIED LIABILITY & MORTGAGE

DECLARATION ABOUT OVERDUE CLASSIFIED LIABILITY & MORTGAGE