ঘোষণার ত্রিশ দিনের মধ্যে লভ্যাংশ পরিশোধ করতে হবে। উৎসে কর কর্তনের পর লভ্যাংশের পরিমাণ, প্রযোজ্য হলে, লভ্যাংশ
ঘোষণার পরপরই ঘোষণাকৃত লভ্যাংশ একটি পৃথক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হবে। লভ্যাংশ চেক বা লভ্যাংশ ওয়ারেন্ট বা ইলেকট্রনিক স্থানান্তরের মাধ্যমে প্রদান করা উচিত। ইলেকট্রনিক ট্রান্সফারের মাধ্যমে ডিভিডেন্ডের অর্থ প্রদান ডিপোজিটরি রেকর্ড অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে/সংশ্লিষ্ট সদস্যদের দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রদান করতে হবে। চেক বা ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্টটি সদস্যের নিবন্ধিত ঠিকানায় এবং যৌথ ধারকদের ক্ষেত্রে সদস্যদের রেজিস্টারে প্রথমে নাম দেওয়া ব্যক্তির নিবন্ধিত ঠিকানায় বা এই জাতীয় ব্যক্তির কাছে বা সদস্যের ঠিকানায় পাঠাতে হবে, যা যৌথ মালিকরা যদি লভ্যাংশ পাঠানোর জন্য লিখিতভাবে কোন নির্দেশ দিয়ে থাকেন তাহলে সেভাব পাঠাতে হবে।
লভ্যাংশ ওয়ারেন্টের (চেক বা অন্যান্য পেমেন্ট মেথট) প্রাথমিক বৈধতা ছয় মাসের জন্য হওয়া উচিত। একটি চেক বা ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট পুনঃপ্রমাণিত হতে পারে বা একটি নতুন উপকরণ জারি করা যেতে পারে, সেই জন্য ছয় মাসের মেয়াদ থাকা বাঞ্চণীয়। কোম্পানির ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্টকে (প্রদান কৃত চেক অথবা অন্যান্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ট্রান্সফার) পুনঃপ্রমাণ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে, অর্থাৎ আপনি যে শেয়ার হোল্ডারকে লভ্যাংশ দিয়েছেন তা প্রমাণ করতে হতে পারে, সেই জন্যে উচিত লভ্যাংশ ওয়ারেন্টের একটি রেজিস্টার থাকা বাধ্যবাধকতা রয়েছে। রেজিষ্টারে যার নামে লভ্যাংশ ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে তার নাম, লভ্যাংশ ওয়ারেন্টের সংখ্যা এবং পরিমাণ এবং পুনঃ বৈধকরণের তারিখ নির্দেশ করে এমনভাবে থাকতে হবে।
যদি মূল দলিলটি কোম্পানিকে টেন্ডার না করা হয় তাহলে একটি ডুপ্লিকেট ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট জারি করা উচিত হবে। এরকম করা যেতে পারে যখন শুধুমাত্র সদস্যের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ঘোষণা পাওয়ার যায়। বিকৃত, ছেঁড়া বা ক্ষয়প্রাপ্ত ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্টের ক্ষেত্রে, এই ধরনের বিকৃত, ছেঁড়া বা জীর্ণ ওয়ারেন্টের কোম্পানির কাছে আত্মসমর্পণের জন্য একটি ডুপ্লিকেট ওয়ারেন্ট জারি করা যেতে পারে। পূর্বোক্ত হিসাবে ইস্যু করা প্রতিটি ডুপ্লিকেট ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্টের বিবরণ ডুপ্লিকেট ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্টের একটি রেজিস্টারে থাকতে হবে, রেজিষ্টারে যাকে ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে তার নাম সুষ্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ থাকবে।
ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্টের সাথে অবশ্যই একটি বিবৃতি লিখিতভাবে দিতে হবে যাতে প্রদত্ত লভ্যাংশের পরিমাণ এবং উৎসে কর্তন করা ট্যাক্সের পরিমাণ উল্লেখ থাকবে।
শেয়ারধারীগণ যদি আগে থেকে লিখিতভাবে ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার দিয়ে থাকে তাহলে সেই একাউন্টে লভ্যাংশ পাঠানো যাবে, এক্ষেত্রে লভ্যাংশ পাঠানোর পর ব্যাংক স্টেটম্যান্ট নিতে হবে এবং শেয়ার হোল্ডারদের ই-মেইল, খুদে বার্তা বা চিঠির মাধ্যামে তা জানানো উচিত।
যদি লভ্যাংশের চেক শেয়ারধারীগণকে সামনা সামনি হাতে হাতে হস্তান্তর করা হয় তাহলে চেকটি একা্উন্ট পেই লেখা উচিত। এক্ষেত্রে শেয়ারধারীগণ থেকে একটি রিসিভ কপি নিতে হবে, এবং রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করে সেখানেও একটি নাম সহ স্বাক্ষর নিবে, তাতে তারিখও উল্লেখ থাকবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন