বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৩

তেরশ বছর পর চালু হতে যাচ্ছে রোমানদের নির্মিত ফোয়ারা- সত্যের ছায়া

১৩০০ বছর পর তুরস্কের গ্ল্যাডিয়েটর্স শহরে নির্মিত 'স্মারক  ফোয়ারা' থেকে আবার জল প্রবাহিত হবে।


দক্ষিণ-পশ্চিম তুরস্কের বুরদুর গোলহিসারের প্রাচীন শহর কিবিরা আনুমানিক ২,০০০ বছরের পুরানো। সেখানে একটি রোমানদের নির্মিত প্রাচীন ঝর্ণা রয়েছে। এই ঝর্ণাটি তুরস্কের 'প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক শহর পুনরুদ্ধার' প্রকল্পের  আওতায় পুনরায় চালু হবে। শহরটি "গ্ল্যাডিয়েটরদের শহর" হিসাবে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃত। যেখানে  দর্শনার্থীরা পাথরের ধাপ পেরিয়ে হেঁটে ঝর্ণায় পৌঁছাতে পারবেন। সুকরু ওজুডোগ্রু, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রত্নতাত্ত্বিক যিনি প্রাচীন শহরের খনন দলের প্রধান, আনাদোলু এজেন্সিকে বলেছেন যে- তুরস্ক দুটি বৃহৎ প্রাচীন ঝর্ণা নিয়ে গর্ব করে, যেগুলি পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে এবং উভয়ই সীগ্রই চালু হবে। এই কিবিরা শহরে নির্মিত বিশাল ঝর্ণাটি ২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে নির্মিত, যার ব্যাস ১৫ মিটার (৫০ ফুট) এবং ৮ মিটার উচ্চ (২৬.২ ফুটের বেশি) টাওয়ারগুলি প্রায় ৬০০-৭০০ বছর ধরে কিবাইরাতে  অনবরত জল প্রবাহিত করেছিল।


সুকরু ওজুডোগ্রু আরো বলেন; "আমরা এই মে মাসে প্রাচীন ঝর্ণাটি চালু করতে চাই এবং ঝর্ণাটিকে তার আসল রুপে পুনরুদ্ধার করতে চাই, ঠিক যেমন প্রাচীন কালে, পৌরাণিক নায়ক হারকিউলিস যেখানে শায়িত ছিলেন সিংহের আড়ালে, সেখানে সিংহ রাখতে চাই এবং প্যান্থারের মূর্তিগুলির মুখ থেকে জল পুকুরে প্রবাহিত করতে চাই, এবং মদের দেবতা ডায়োনিসাস যেখানে শায়িত ছিলেন প্যান্থারের আড়াল, ঠিক সেখানে রাখতে চাই।

স্ট্র্যাবো একজন আমাসিয়ান ভ্রমণকারী, যিনি প্রাচীনকালে লিখেন যে, কিবাইরার অধিবাসীরা মূলত লিডিয়ান, যারা কিবাইরা থেকে বসতি পরিবর্তন করে কাবালিস অঞ্চলে চলে গিয়েছিল। কিন্তু যাওয়ার পূর্বে তারা কিবাইরায় ১০০টি স্টেডিয়ামের পরিধির সমান একটি শহর প্রতিষ্ঠা করে। প্রাচীণ ঝর্ণাটি তাদের হাতে নির্মিত। এটা তাদের স্থাপত্য কলার অসাধারণ নির্দেশণ।

তুর্কি সরকার কর্তৃক এই শহরের প্রত্নতাত্ত্বিক স্মৃতিস্তম্ভ এবং স্থাপনাগুলো ২০০৬ সালে খনন করা হয়েছিল। যেখানে একটি গ্যারিসন পাওয়া যায়, এই গ্যারিসন ছিলো ৩০ হাজারেরও বেশি পদাতিক এবং ২০০০ টিরও বেশি অশ্বারোহী ইউনিট একত্রে বসবাস করা এলাকার সমান। এটি তুরস্কের প্রাচীনকাল থেকে সবচেয়ে বড় গ্ল্যাডিয়েটর রিলিফ স্থান হিসেবে স্বীকৃত।


শহরের কৌশলগত অবস্থান এটিকে ন্যায়বিচারের একটি আঞ্চলিক কেন্দ্রে পরিণত করে, এবং প্রাচীনকালে ঘোড়ার প্রজনন শহর হিসাবে এটিকে  "দ্রুত-দৌড়ের ঘোড়ার শহর" পরিচিতি এনে দেয়। রোমান শাসনামলে শহরটি সবচেয়ে সমৃদ্ধ ছিল, এবং আজ যে সমস্ত স্থাপত্যের অবশেষ দেখা যায় সেই সময় থেকেই এই স্থাপত্য বিদ্যমান ছিলো।

ছবি ও সূত্রঃ আরকু ও আন্দালুলু নিউজ। 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Recent Post

Proposal for Sale of Commercial Lands- Sotterchaya