প্রতিটি সমিতি তার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালিত হয়। সদস্যপদ বাতিল করতে হলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী করতে হবে।
১। কোন সদস্য/সদস্যা যদি একাধারে ০৬ মাস মাসিক চাঁদা প্রদান না করেন। এক্ষেত্রে সংগঠনের চেয়ারম্যান/ট্রাষ্ট্রি সেক্রেটারী সদস্য বরাবর নোটিশ প্রদান করবেন। উক্ত নোটিশের জবাব যদি ০৭ কর্ম দিবসের মধ্যে যথাযথভাবে দিতে না পারেন তাহলে কার্যকরী পরিষদের মাধ্যমে উক্ত সদস্যপদ বাতিল করা যাবে।
২। কোন সদস্য/সদস্যা পূর্বানুমতি ছাড়া বা উপর্যুক্ত কারণ ব্যাতীত পর পর ৩ সভায় অনুপস্থিত থাকনে। উক্ত নোটিশের জবাব যদি ০৭ কর্ম দিবসের মধ্যে যথাযথভাবে দিতে না পারেন তাহলে কার্যকরী পরিষদের মাধ্যমে উক্ত সদস্যপদ বাতিল করা যাবে।
৩। অত্র সমিতি/সংগঠন/ফাউন্ডেশনের পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমানিত হলে সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে। উক্ত নোটিশের জবাব যদি ০৭ কর্ম দিবসের মধ্যে যথাযথভাবে দিতে না পারেন তাহলে কার্যকরী পরিষদের মাধ্যমে উক্ত সদস্যপদ বাতিল করা যাবে।
৪। রাষ্ট্রীয় অপরাধ কিংবা নৈতিক অপরাধে আদালত কর্তৃক দন্ডিত হয়ে কমপক্ষে ৩ মাস কারাদন্ড ভোগ করলে সরাসরি সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাবে।
৫। কোন সদস্য মৃত্যু বরণ করলে তার সদস্যপদ সরাসরি বাতিল হয়ে যাবে। তার ওয়ারিশন এক্ষেত্রে কোন ধরণের দাবি তুলার সুযোগ পাবেনা।
৬। দেউলিয়া/পাগল/উ্ম্মাদ হয়ে গেলে সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে।
৭। স্বেচ্ছায় সদস্যপদ প্রত্যাহার করলে সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে।
যদি আদালত কর্তৃক রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস প্রমাণিত হয়, আর যদি তিনি সদস্যপথ থেকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বাতিল হয়ে যান তাহলে তিনি সাজা ভোগ করার পূর্বে পুনরায় সদস্যপথ ফিরে পাবেন না। তবে সাজা ভোগ করার পর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি পুনরায় সদস্যপথ ফিরে পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে কার্যকরী পরিষদের অনুমতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে আদালতের কোন নির্দেশনা আছে কিনা সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। পেরোলে মুক্তি নিয়ে কেউ সমিতির সদস্যপথ পুনরায় ফিরে পেতে পারবেন না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন