পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৩

মানব সম্পদ ও দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়ন কাকে বলে? দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নের রাষ্ট্রীয় নীতির প্রয়োজনীয়তা, দক্ষতা উন্নয়নের কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়োজনীতা এবং দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি উপায়।

দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে হলে ব্যক্তিকে কর্মে নির্যুক্ত করতে হব। একজন ব্যক্তি তখনই দক্ষ ও মানব সম্পদরুপে আর্বিভূত হবে যখন সে কর্মে নির্যুক্ত হব। রাষ্ট্রের উচতি হবে প্রতটিি মানুষকে তার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ দেয়া। একজন ব্যক্তি তার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পেলে সে পরবিার, সমাজ ও রাষ্ট্র উন্নয়নে ব্যাপক ভূমকিা রাখতে পারে।


মানব সম্পদ হলো একটি রাষ্ট্রের সমষ্টিগত জনসমষ্টি যারা বিভিন্ন দলে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে কর্ম-দক্ষতার  ছাপ রেখে রাষ্ট্রের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।

দক্ষ মানব সম্পদ হলো একটি রাষ্ট্রের শিক্ষিত ও স্ব-শিক্ষিত সেই সব জনসমষ্টি যারা আলাদা আলাদা বিষয়ে প্রতিষ্ঠানিক ও স্ব- শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি খাতে অর্জিত জ্ঞান দিয়ে  শ্রম ও দক্ষতা ছাপ রাখে এবং প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহের মাধ্যমে নিজেরাই বিভিন্ন উদ্যোক্তা হয়ে উঠে।

মাবন সম্পদ উন্নয়নঃ মানব সম্পদ উন্নয়ন বলতে মানুষরে প্রজ্ঞা, জ্ঞান, দক্ষতা ও র্কম কৌশলরে গুণগত পরর্বিতণকে বুঝায় যখোনে মানুষ তার র্কমদক্ষতাকে কাজে লাগয়িে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধতিে করে শ্রমরে র্সবোচ্চ ম্ল্যূ হাকাতে পারে এবং মানবীয় শক্তি সামথ্যরে বকিাশে র্সবোত্তম র্পযায়ে পৌছায়।

মানব সম্পদ উন্নয়নে রাষ্ট্রীয় নীতির প্রয়োজনীয়তাঃ একটি জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন পদ্ধতি বিধিবদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, যার ভিত্তি হবে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি। এর মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন কৌশল পরিচালিত হবে এবং জাতীয় শ্রম শক্তির উন্নত প্রযুক্তি ও নিযুক্তির সম্ভাবনা এবং বাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়নের সব  বৈশিষ্ট্য ও সূচক উপাদান, যোগান ও সমন্বয়ের মান উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। এ নীতিতে দেশের দক্ষতা উন্নয়নের দূরদৃষ্টি ও নির্দেশনা থাকবে। কারণ, এতে যেসব প্রধান অঙ্গীকার ও অত্যাবশ্যকীয় সমূহের ঘোষণা দেয়া হবে যা সরকার শিল্প, শ্রমিক ও সুশীল সমাজের সাথে মিলে সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্ব বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। 

মানব সম্পদের দক্ষতা উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তাঃ বাংলদেশের দক্ষতা উন্নয়ন পদ্ধতি একটা দক্ষ প্রযুক্তি সম্বলিত নতুন ধারার শ্রমশক্তি সৃষ্টি করবে যা জাতীয় ও আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃত উচ্চ মানসম্পন্ন ও বাজার সুলভ দক্ষতার উপযোগী। এতে নিযুক্তির সুযোগ ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে বাংলাদেশের জন সম্পদের টেকসই উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত হবে। 

দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি উপায়ঃ আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক শ্রমশক্তির অত্যাধিক নিযুক্তি ও আয় সহজ করতে হলে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির কারখানা অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানিক কর্মমুখী শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বিশ্বমানের ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং প্রয়োজনীয় এনটিভিকিউএফ (NTVQF) সনদ প্রদান প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। দক্ষতা উন্নয়ন ও কারিগরী পেশাগত ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত উন্নয়ন অংশীদারদের সব প্রকল্প ও কার্যাবলীর সমন্বয় ও তত্ত্বাবধান করা। জাতীয় শ্রম বাজার ও দক্ষতার তথ্য পদ্ধতির উন্নয়ন ও সমন্বয় কাজের তত্ত্বাবধান করা; বিদেশে নিযুক্তির জন্য বিদেশগামী শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়ন সহজ করা। নির্বাহী বোর্ড শিল্প সংস্থাগুলোর  প্রধান সংস্থা আইএসসি (ISC) এর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে, কারণ ঐ সংস্থাটি শিল্প দক্ষতার চাহিদা এবং দক্ষতা উন্নয়ন পদ্ধতিতে আনুষ্ঠানিক দক্ষতার জোগান দেয়। নির্বাহী বোর্ড, গভনিং বডির পূর্ব অনুমোদন নিয়ে, অনুসরণযোগ্য পদ্ধতি সম্পর্কিত বিধান এবং গভনিং বডি ও নির্বাহী বোর্ড সভায় আলোচনার বিষয়বস্তু ঠিক করতে পারে।

দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে সরকারের সম্ভাব্য সমীক্ষা চালিয়ে দীর্ঘ মেয়দি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে হবে। মাস্টার প্ল্যান তৈরি করলেই চলবেনা সেই সাথে প্রয়োজনীয় কর্ম পরিকল্পণা, আর্থিক বরাদ্ধ, প্রয়োজনীয় জনবল তৈরি, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি এবং প্রয়োজনীয় প্রচারের ব্যবস্থা নিতে হবে। এখানে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো বলতে হাতে কলামে শিক্ষা অর্থাৎ ব্যবহারিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বুঝানো হয়েছে। মানুষকে একমুখী পেশা থেকে বের করে বিভিন্ন কর্মমুখী পেশায় নির্যুক্ত করতে হবে।

দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে র্কমমুখী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাঃ বর্তমান প্রজজ¥কে আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে তাদেরকে তথ্য প্রযুক্তির শিক্ষা, আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি শিক্ষা, আধুনিক পদ্ধতিতে পশুপালন ও মাছ চাষ, হাতে কলমে প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা শিক্ষা, হাতে কলমে মেশিন টুলস অপারেটর শিক্ষা ইত্যাদি শিক্ষার প্রতি ট্রেন্ড তৈরি করতে হবে। বিদেশগামী কর্মীদের বিদেশী ভাষা সহজে ও সহজমূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশগামীতা কমিয়ে বরং কিভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশে ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়া যায় সেই বিষয়ে সচেতন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে। দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে নিচের কর্মকৌশল অনুসরণ করা যায়- (১) মানব সম্পদ জরিপ, (২) আনুষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা (৩) কর্ম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা (৪) অনুকূল পরিবেশ ও রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য সৃষ্টি (৫) ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান (৬) কৃষি ও মাছ চাষ, গবাদি পশু পালনে ঋণ প্রদান (৭) পুষ্টি ও স্বাস্থ্যগত উন্নয়ন। দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে চারটি উপায় অনুসরণ করা দরকার। এই চারটি উপায় হলো- (ক) শিক্ষা ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা (খ) কারিগরী প্রশিক্ষণ প্রদান (গ) খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত ও চিকিৎসা সেবা প্রদান (ঘ) দেশ বিদেশে কর্ম সংস্থান সৃষ্টি করা।

দক্ষ মানব সম্পদ কেন প্রয়োজনঃ একটি রাষ্ট্রের সমষ্ট্রিগত উন্নয়ন তথা সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় দক্ষতা অর্জণে দক্ষ মানব সম্পদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মানুষের আর্থ-সামগ্রিক উন্নয়নে দক্ষ মানব সম্পদ ব্যাপক ভূমিকা রাখে। দক্ষ জণশক্তি গড়ে তুলতে পারলে বিদেশ থেকে কর্মী আমদানি বন্ধ হবে, ফলে প্রচুর রাষ্ট্রীয় টাকা সাশ্রয় করা যায়। আমাদের দেশে বাণিজ্যিক সেক্টর বড় বড় পদে বিদেশী সিইও নিয়োগ বন্ধ করা বিদেশে টাকা পাচার অনেকাংশ বন্ধ হয়ে যাবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন