সাধারণত 69 বলতে একটি যৌন আসনকে বুঝায়। তবে গাণিতিকভাবে 69 Sixty Nine
(সিক্সটি নাইন) একটি সংখ্যা যা দুটি নাম্বার যথা 6ও9 এর মাধ্যমে গঠিত হয়েছে।69 সখ্যাটি ফরাসি শব্দ soixante-neuf থেকে এসেছে।যৌন আসন 69: এটি এমন একটি আসন যেখানে পুরুষ ও নারী এমনভাবে মেলামেশা করে যাতে করে একজন আরেক জনের যোনি মুখে নিতে পারে, চুষতে পারে এবং চাইলে জিহ্বা দ্বারা যৌন অনুভূতি দিতে পারে। 69 নাইন আসনে অংশ গ্রহণকারীরা উল্টাউল্টিভাবে অর্থাৎ একজন আরেক জনের বিপরীত দিকে থাকে। অর্থাৎ কারো যদি মাথা উত্তর দিকে স্থাপন করা হয় তাহলে তার সাথে জনের মাথা দক্ষিণ দিকে স্থাপন করা হবে।
69 এর নামে যৌন আসন নাম রাখার কারণ: সাধারণ অর্থে 6 এং 9 সংখ্যাটি পরস্পর উল্টো। 6 এবং 9 কে পরস্পর উল্টো করে স্থাপন করা যায়। অর্থাৎ 6 এর উপরের অংশ 9 এর নিচের অংশের মতো দেখতে আবার 6 এর নিচের অংশ 9 এর উপরের অংশের মতো দেখতে (ছবিতে দেখুন)। অনুরূপভাবে যে সমস্ত পুরুষ ও স্ত্রী লোক 69 যৌন আসনে অংশ গ্রহণ করে তাদের একজনের মাথা আরেক জনের মাথা থেকে উল্টো করে থাকে। তাই হয়ত এই আসনের নাম 69 রাখা হয়েছে।
69 যৌন আসন কাদের মধ্যে জনপ্রিয়ঃ 69 আসনটি প্রাগৈতাহাসিক আমল থেকে বিদ্যামান থাকলেও বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক জনিপ্রিয়তা লাভ করেছে। বিশেষ করে ইন্টারনেটের সহজ লভ্যতা এবং নীল ছবির ভয়াবহ থাবা এর অন্যতম কারণ। তাছাড়া সমকামীদের মধ্যেও 69 যৌন আসনটি ব্যাপক জনপ্রিয়।
69 যৌন আসন কি নিরাপদ বা বিজ্ঞান সম্মত? যেহেতু 69 আসনটি মুখ দিয়ে পারফর্ম করা হয় তাই একটি এক প্রকার ওরাল সেক্স বা মুখ মেহতা হিসেবে ধরা নেওয়া যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওরাল সেক্স এর ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, “কনডম ব্যবহারে অনিহার কারণে গনোরিয়া রোগ ছড়িয়ে পড়ছে এবং ‘ওরাল সেক্স’ এর কারণে গনোরিয়ার জীবানু কঠিন হয়ে পড়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে তা হয়ে উঠেছে ‘অসম্ভব’- সূত্র বিবিস, ৯ জুলাই, ২০১৭। যুক্তরাষ্ট্রে সমকামী পুরুষদের মধ্যে গলবিলের (ফ্যারিক্স) সংক্রমণের মাধ্যমে গনোরিয়া জীবানু এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে’- বলেছেন, ডা: উয়ি (সূত্র বিবিসি বাংলা, বিবিস, ৯ জুলাই, ২০১৭)। তাছড়া ওরাল সেক্সের মাধ্যমে নারী যৌনাঙ্গে সংক্রমণ ঘটে ‘ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস’ বা ‘বিভি’ নামে রোগ হতে পারে বলে এক গবেষণায় জানা গেছে।
69 যৌন আসন সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? ওরাল সেক্স সম্পর্কে ইসলামে অর্থাৎ কোরআন হাদিসে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ নেই। তবে এনাল সেক্স (পায়ুপথে যৌন ক্রিয়া) সম্পর্কে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। তবে ইসলামী স্কলারগণ ইজমা ও কিয়াসের মাধ্যমে ওরাল সেক্সকে আমলের পরিপন্থি হিসেবে সাব্যস্ত করেছে। অর্থাৎ ওরাল সেক্সকে তারা নিষেধ করেছেন্।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন