হ্যালো বন্ধুরা আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা আজীবন যৌবন ধরে রাখা নিয়ে চিন্তিত।
দুধঃ মধ্য যুগের বাংলা সাহিত্যের কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর লিখেছিলেন, 'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাত’। এই উক্তির মাধ্যমেই বুঝা যায় দুধের কদর। পৃথিবীতে দুধ একটি আদর্শ খাবার। মানব সন্তান জন্মের পর পরই মায়ের দুধ খেয়ে বেড়ে উঠে। তাছাড়া ক্যালসিয়ামের ঘাতটির কথা উঠলে বিশেষজ্ঞগণ যে খাবার সবার আগে সাজেশন দেন তা হলো দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার।
ডিমঃ ডিমকে সুপার ফুড বলা হয়। ডিমে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান এবং এটি বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে খুব সহজে ক্রয় করতে পারা যায়।
কলাঃ কলা আমাদের দেশে প্রচুর জন্মে।বাজারের প্রতিটি চা দোকান থেকে শুরু করে টং দোকানে কলা পাওয়া যায়।
মধুঃ মধু একটি আদর্শ ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার। প্রাচীনকাল থেকে মধু আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। মধু খেলে তারণ্য শক্তি বৃদ্ধি করে, দেহ শক্তি উৎপাদনে গতিশীলতা লাভ করে। তাছাড়া মধু সর্দি-কাশি, কোষ্ঠকাঠিণ্য এবং রক্তশূণ্যতা দূর করে। ইহা ছাড়াও মধুতে ৪৫টি খাদ্য উপাদান রয়েছে। তাই দৈহিক শক্তি বৃদ্ধিতে মধু খেতে পারেন।
লাল চালঃ এক সময় আদের দেশে চাল বলতে ঢেকিছাঁটা চাল বা লাল চা্লকে বুঝাতো। এখন মিনিকেট বা মেশিন ছাঁটা চালের কারণে লাল চালের ভাত খাওয়ার প্রচলন একেবারে উঠে গেছে বলেই চলে। তবে আধুনিক পুষ্টি বিজ্ঞানের কারণে লাল চালের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে মানুষ জানতে পারছে। শহুরে অঞ্চলে এখন ব্যাপকভাবে লাল চালের মার্কেট গড়ে উঠেছে। লাল চাল পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন বি১,২,6 ও ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে লাল চাল খেতে পারেন।
তরমুজঃ তরমুজকে প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা বলা হয়। ভায়াগ্রা যৌন দুর্বলতার চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত একটি ঔষধ। প্রতি ১০০ গ্রাম তরমুজে ৩০ কিলো খাদ্য শক্তি আছে। তাছাড়া এতে আছে লিপিড 0.২ গ্রাম, সোডিয়াম ০১ গ্রাম, পটাশিয়াম ১১২ গ্রাম, শর্করা ৮ গ্রাম, খাদ্য আশ ০.৪ গ্রাম, প্রোটিন ০.৬ গ্রাম, ভিটামিন সি ৮.১ মি.গ্রা., ম্যাগনেসিয়াম .১০ মি.গ্রাম, লোহা ০.২ মি.গ্রাম, ক্যালসিয়াম ০.৭ মি.গ্রাম। তরমুজের পুষ্টি উপাদান বলে দেয় তরমুজ একটি আদর্শ খাদ্য। সাধারণত গ্রীষ্মকালে তৃষ্ণা ও পানি শূণ্যতা পূরণের জন্য আমাদের দেশে তরমুজ খাওয়া হয়ে থাকে।
গরুর মাংসঃ আমাদের দেশে গরুর মাংস আগে সস্তা থাকলেও বর্তমানে দাম বৃদ্ধির কারণে মধ্যবিত্ত লোকেরা কিনে খেতে হিমশিম খাচ্ছে। তবে এখনো ঢাকা শহরে প্রচুর গরু জবাই হচ্ছে। মানুষ বিশেষ কোন অনুষ্ঠান যেমন ঈদ, কুরবানী সুন্নতে খৎনা এবং মেহমান আসলে গরুর মাংসের আইটেম আয়োজন করে। অধিক গরুর মাংস খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হলেও পরিমাণ ও নিয়মিত বিরতি দিয়ে গরু মাংস খেলে শরীলে সেলেনিয়াম, জিংক, ফসফরাস এবং লৌহ এর ঘাটতি পূরণ হয়। গরুর মাংসতে ভিটামিন বি-৩, বি-৬, বি-১২ ইত্যাদি পাওয়া যায়। গরুর মাংস খেলে প্রোটিনের চাহিদাও পূরণ হয়ে থাকে। গরুর মাংসতে যে জিংক রয়েছে তা পুরুষের উত্থান জনিত সমস্যা প্রতিরোধ করে।
খেজুর ও রসুনঃ পুষ্টিগুণে ভরপুর খেজুর। খেজুরে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ আঁশ। জিঙ্ক, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, এর ভালো উৎস হলো খেজুর। আর রসুনকে প্রাকৃতিক এন্টিবায়েটিক বলা হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য রসুন খেতে পারেন। অনেককে যৌন শক্তির বৃদ্ধির জন্য রসুন খেতে দেখা যায়।
সবুজ শাক সবজিঃ শরীরের ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা পূরণ জন্য সবুজ শাক সবজি খাওয়া দরকার। সবুজ শাক সবজি খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মানুষের ত্বক ও যৌবন ধরে রাখে।
সাইট্রাস জাতীয় ফলঃ সাইট্রাস বা টক জাতীয় ফল ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করে। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই সুস্থ্য দেহের জন্য টক জাতীয় ফল যেমন; লেবু, জাম্বুরা, কমলা খেতে পারেন।
সামুদ্রিক মাছঃ সামুদ্রিক মাছে আছে প্রচুর ওমেগা-৩ নামক ফ্যাটি এসিড, যা হার্টএট্যাক এর ঝুঁকি কমায়। তাছাড়া সামুদ্রিক মাছে ভিটামিন এ ও ডি থাকে। ভিটামিন এ ও ডি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে আপনি থাকবেন সুস্থ ও সবল। এতে করে আপনার যৌবন থাকবে অঁটুট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন