ভিজিটিং কার্ড মানুষের ব্যক্তিত্ব ও প্রফেশনাল পরিচয় বহন করে। আপনার
একটি প্রতিষ্ঠান আছে কিংবা আপনি কোথাও চাকুরী করেন অথচ আপনার ওয়ালেটে ভিজিটিং কার্ড
নেই এটা আধুনিক যুগে চিন্তাও করা যায় না। ভিজিটিং কার্ডের প্রচলন কিন্তু অধুনা নয়,
ভিজিটিং কার্ডের ইতিহাস কিন্তু পুরানো। সেই প্রাচীন চীনে ২০৬ থেকে ২১০ খ্রিষ্টাব্দে
ভিজিটিং কার্ডের ব্যবহারের প্রমান পাওয়া যায়। চীনে হান বংশে ভিজিটিং কার্ডের প্রচলন
ব্যাপক আকার ধারণ করে। আজকে জানব ভিজিটিং কার্ড বা বিজনেস কার্ড কি এবং এডোবি ইলাসট্রটরের
মাধ্যমে ভিজিটিং কার্ড তৈরীর নিয়ম।
তৈরীর নিয়মঃ নিম্নে ভিজিটিং কার্ড তৈরীর নিয়ম ধাপে ধাপে উল্লেখ করা হলোঃ
প্রথম
ধাপঃ প্রথমে এডোবি ইলাসট্রাটর ওপেনে করি। তার কন্ট্রোল এন (Ctrl+N) চাপি। এতে একটি
পেইজ
ওপেন হবে। এবার রেক্টাঙ্গল টুল এম (Rectangle Tool M)থেকে একটি বক্স বা চতুরভূজি আঁকি।
একটি অবশ্যই আপনার ভিজিটং কার্ড এই সাইজ মতো নিবেন।বক্সের সাইজ নিতে সমস্যা হলে শিফট প্লাস এফএইট (Shift+F8) চাপুন। এর পর এখানে একটি ট্রান্সর্ম (Transform) নামে ডায়লগ বক্স আসবে। ডায়লগ বক্সে আপনার কাঙ্খিত সাইজ টাইপ করবেন। সাইজ আপনি ইঞ্জি বা সেমি অথবা অন্য মাপে নিতে পারবেন। আমি এখানে দৈঘ্য 3.5 ইঞ্জি এবং উচ্চতা বা প্রস্থা 2 ইঞ্চি নিয়েছি। বক্সের মধ্য বা লাইন ঠিক রাখার জন্য রুলার নিতে পারেন সেইজন্য (Ctrl+R) চাপুন। রুলার নিলে অবশ্যই গাইড নিবন। প্রয়োজনে লক গাইডস (Lock Guides) নিতে পারেবেন।
একটি অবশ্যই আপনার ভিজিটং কার্ড এই সাইজ মতো নিবেন।বক্সের সাইজ নিতে সমস্যা হলে শিফট প্লাস এফএইট (Shift+F8) চাপুন। এর পর এখানে একটি ট্রান্সর্ম (Transform) নামে ডায়লগ বক্স আসবে। ডায়লগ বক্সে আপনার কাঙ্খিত সাইজ টাইপ করবেন। সাইজ আপনি ইঞ্জি বা সেমি অথবা অন্য মাপে নিতে পারবেন। আমি এখানে দৈঘ্য 3.5 ইঞ্জি এবং উচ্চতা বা প্রস্থা 2 ইঞ্চি নিয়েছি। বক্সের মধ্য বা লাইন ঠিক রাখার জন্য রুলার নিতে পারেন সেইজন্য (Ctrl+R) চাপুন। রুলার নিলে অবশ্যই গাইড নিবন। প্রয়োজনে লক গাইডস (Lock Guides) নিতে পারেবেন।
দ্বিতীয়
ধাপঃ এই ধাপে এসে আপনার কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের লোগো নিবেন। তারপর আপনার নাম, পদবী,
যোগাযোগ ঠিকানা, মোবাইল, ই-মেইল ফ্যাক্স নাম্বার টাইপ করবেন (লিখবেন)। বক্স বা বক্সের
ভিতরে কালার (রঙ) আপনার পছন্দ অনুযায়ী নিতে পারেন। আর যদি কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের
কালার নির্দিষ্ট করা থাকে তাহলে সেই অনুযায়ী কালার নিবেন। কালার অপশন খুঁজে না পেলে
এফ6 (F6) চাপুন। তাহলে কালার অপশনের ডায়লগ বক্স ওপেন হবে। কালারের ক্ষেত্রে অবশ্যই
ফোর কালার (CMYK) নিতে
চেষ্টা করবেন। ওয়ান সাইড (One side বা এক র্পাশ্ব)প্রিন্ট
বিশিষ্ট কার্ডের ক্ষেত্রে একপাশে সব তথ্য জড়ো করবেন।
আর যদি উভয় সাইড প্রিন্ড বিশিষ্ট কার্ড হয় সেক্ষেত্রে উভয় সাইডে তথ্য জড়ো করবেন। উভয় সাইড প্রিন্ট বিশিষ্ট কার্ডে সাধারণ প্রথম সাইডে প্রতিষ্ঠানের নাম, কর্মীর নাম এবং পদবী লিপিবদ্ধ থাকে আর দ্বিতীয় সাইডে যোগাযোগের বিস্তারিত উল্লেখ থাকে।
আর যদি উভয় সাইড প্রিন্ড বিশিষ্ট কার্ড হয় সেক্ষেত্রে উভয় সাইডে তথ্য জড়ো করবেন। উভয় সাইড প্রিন্ট বিশিষ্ট কার্ডে সাধারণ প্রথম সাইডে প্রতিষ্ঠানের নাম, কর্মীর নাম এবং পদবী লিপিবদ্ধ থাকে আর দ্বিতীয় সাইডে যোগাযোগের বিস্তারিত উল্লেখ থাকে।
বর্তমানে
যুগে অনেক কার্ডে কিউ আর কোড বসানো থাকে। যদি কার্ডের ভিতর কিউ আর কোর্ড বসাতে চান
তাহলে কিউআর সফ্টওয়ার ইনষ্টল করে নিবেন। তবে অনলাইনে এখন কিআর কোর্ড বসানো এবং এডিটিং
করা যা। এক্ষেত্রে গুগলের সাহায্য নিন।
তৃতীয়
ধাপঃ আপনি যদি আপনার এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের কার্ড একেবারে নতুন করতে চান তাহলে চেষ্টা
করবেন ইউনিক হিসেবে তৈরী করতে। কার্ড তৈরী করার সময় আপনি অবশ্যেই খেয়াল রাখবেন আপনার
কার্ড যেন রুচিশীল এবং ব্যতিক্রম হয়।
কালার ক্ষেত্রে মানুষ যে কালারের সাথে অভ্যস্থ সেই কালার পছন্দ করবেন। অধিক চকচকে, অধিক আকর্ষণীয় করার দরকার নেই। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
কালার ক্ষেত্রে মানুষ যে কালারের সাথে অভ্যস্থ সেই কালার পছন্দ করবেন। অধিক চকচকে, অধিক আকর্ষণীয় করার দরকার নেই। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের সামন্য উপকারে আসে তাহলে মন্তব্যের মাধ্যমে অবশ্যই আমাদের জানাবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন