একটি অর্থনৈতিক
অঞ্চল দেশে শিল্প বাণিজ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ দেশীয় কাঁচামালের
সর্বেোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।চিত্রঃ অর্থনৈতিক অঞ্চলের এরিয়াল ভিউ ও লেআউট প্ল্যান
ইপিজেড বা অর্থনৈতিক অঞ্চল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চাপ কমানো সহ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জণে ব্যাপক অবদান রাখে। দেশে শিল্প উদ্যোগক্তা তৈরি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্দি অর্জণে অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবদান রয়েছে। তাছাড়া একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল- বিণিয়োগের খাত তৈরী, বিণিয়োগ বান্ধব পরিবেশ ও অবকাঠামোগত অঞ্চল গঠণ এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরী। দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহার ও উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদনকৃত পণ্য অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করত; রপ্তানি যোগ্যা পণ্য উৎপাদন করে। বৈদেশিখ মুদ্রা আনায়ন এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে অর্থণৈতিক অঞ্চল বা ইজেড এর ব্যাপক অবদান রয়েছে। ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহ বিদেশী বিণিয়োগ আকর্ষণ এবং দেশী বিদেশী যৌথ মালিকানায় শিল্প স্থাপন করে পণ্য উৎপাদন হাব গঠণই অর্থণেতিক অঞ্চলের প্রধান কাজ। তাছাড়া আমদানি নির্ভরতা কমায়।
ইপিজেড বা অর্থনৈতিক অঞ্চল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চাপ কমানো সহ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জণে ব্যাপক অবদান রাখে। দেশে শিল্প উদ্যোগক্তা তৈরি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্দি অর্জণে অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবদান রয়েছে। তাছাড়া একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল- বিণিয়োগের খাত তৈরী, বিণিয়োগ বান্ধব পরিবেশ ও অবকাঠামোগত অঞ্চল গঠণ এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরী। দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহার ও উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদনকৃত পণ্য অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করত; রপ্তানি যোগ্যা পণ্য উৎপাদন করে। বৈদেশিখ মুদ্রা আনায়ন এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে অর্থণৈতিক অঞ্চল বা ইজেড এর ব্যাপক অবদান রয়েছে। ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহ বিদেশী বিণিয়োগ আকর্ষণ এবং দেশী বিদেশী যৌথ মালিকানায় শিল্প স্থাপন করে পণ্য উৎপাদন হাব গঠণই অর্থণেতিক অঞ্চলের প্রধান কাজ। তাছাড়া আমদানি নির্ভরতা কমায়।
অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্পতে
বিদেশী কোম্পানীর সঙ্গে যৌথ মালিকানায় অনেকগুলি শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয় বিধায়
কম/বেশী এক লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হবে। ফলে দেশের বিশাল আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র
বিমোচন, বেকারদের বেকারত্ব দূর করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে নে বিশেষ ভূমিকা পালন
করে।
অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা
হলে তার সাথে ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল
প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সহজ হয়, ফলে বিদেশে রফতানী বা বিদেশ হতে আমদানীকৃত মালামালের
কাষ্টমস ও যাবতীয় সরকারী আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে কোম্পানীর নিজস্ব জাহাজে নদী পথে
ঢাকা/চট্টগ্রামে দ্রব্য সামগ্রী আনা/নেয়া করতে পারে। এতে আমদানী ও রফতানীকারকদের পরিবহন
খরচ কম লাগে, সময় কম লাগে এবং ব্যবসায়ীগন দুশ্চিন্তামুক্ত থাকেন। সে প্রেক্ষাপটে এ
কে খান কন্টেইনার টার্মিনাল এর বাস্তবায়ন এ কে খান অর্থনৈতিক অঞ্চল এর বাস্তবায়নকে
ত্বরান্বিত করবে।
একটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে নিম্ন লিখিত শিল্প স্থাপন হতে পারে: ০১। অটোমোবাইল,
মোটরসাইকেল ও খুচরাযন্ত্রাংশ, ০২। স্টিল ও অধাতব তৈরীপণ্য, ০৩। প্লাস্টিকপণ্য ও যন্ত্রাংশ,
০৪। ইলেকট্রিকপণ্য ও পণ্যেরযন্ত্রাংশ এবংযন্ত্রাংশের সংযোজন, ০৫। তথ্য প্রযুক্তিউপকরণ,
০৬। চিকিৎসাবিষয়কউপকরণ ও যন্ত্রাংশ, ০৭। ফার্মাসিউটিক্যালস, ০৮। কৃষিশিল্প ও প্রক্রিয়াজাত
খাদ্য, ০৯। পোষাক ও বস্ত্রশিল্প, ১০। শিশুদের
খেলনা, ১১। ভোগ্যপণ্য, ১২। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, ১৩। সিমেন্ট শিল্প, ১৪। শিশু খাদ্য, ১৫। হিমায়িত খাদ্য।
একটি অর্থনৈতিক প্রকল্প বাস্তবায়নের পর পরবর্তীতে
১০ (দশ) বছরের মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পখাতে প্রচুর দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগের সুযোগ
সৃষ্টি হবে। ফলে দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগণ এদেশে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবে। এবং প্রচুর
কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। কর্মসংস্থানের একটি তথ্য এখানে দেওয়া হলোঃ
বৎসর প্রত্যক্ষ
নিয়োগ পরোক্ষ নিয়োগ
১ ১৫,০০০ ১৫,০০০
২ ২৫,০০০ ২৫,০০০
৩ ৩৫,০০০ ৩৫,০০০
৪ ৪৫,০০০ ৪৫,০০০
৫ ৫০,০০০ ৫০,০০০
গড় ১০,০০০ ১০,০০০
অর্থনৈতিক অঞল প্রতিষ্ঠা হলে বিভিন্ন ধরণের কর্মসংস্থান
তৈরি হয়। শিল্প প্রতিষ্ঠানে দেশীএবং বিদেশী নিয়োগ কর্মী নিয়োগ হয়। এতে দক্ষতা ভিত্তিক
জ্ঞান শেয়ার হয়। নিম্নে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে পদ অনুযায়ী দেশি ও বিদেশী কর্মী নিয়োগের
চিত্র উল্লেখ করা হলোঃ
চাকুরীরধরন প্রথম
বৎসর পাঁচ বৎসর দশ
বৎসর
ব্যবস্থাপনা ৫ ১৫ ১৫
প্রশাসনিক ১৫ ৪৫ ৪৫
কারিগরি ৫০ ১৫০ ১৫০
দক্ষ ৮০০০ ৩০,০০০ ৩০,০০০
অদক্ষ ৮৬,৯৩০ ১৯,৭৯০ ১৯,৭৯০
নারী ১৫,০০০ ৫০,০০০ ৫০,০০০
মোট ৩০,০০০ ১০০০০০ ১০০০০০
সুতরাং অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার
নির্ধারিত জায়গায় জমির মালিকদের অবশ্যই অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নিকট মৌজা দর অনুযায়ী
জমি হস্তান্তর করা প্রয়োজন। এতে উক্ত এলাকায় ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন যেমন উন্নত সড়ক
ব্যবস্থা, গ্যাস লাইন ও বিদ্যুৎ লাইন তৈরী হয়। স্থানীয় দক্ষ জনশক্তি নিয়োগের ফলে গ্রামের
উন্নয়নে সামগ্রিক ছাপ পরিলিক্ষিত হয় এবং জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
***
এইআর্টিকেলটি যদি আপনাদের সামন্য উপকারে আসে তাহলে মন্তব্যের মাধ্যমে অবশ্যই আমাদের জানাবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন