পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

চাকুরির পাশাপাশি ব্যবসার চ্যালেঞ্জ ও ১০টি নিশ্চিত লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া

জনাব ফরিদ সাহেব একটি বেসরকারী কোম্পানীতে কর্পোরেট অফিসে চাকুরী করেন। বেতন যা পান

তা দিয়ে ভালোভাবেই সংসার চলে যায়। বছর শেষে ওয়ার্কার প্রোফিট পার্টিসিপেন্ট ফান্ড (ডব্লিউপিপি) থেকে যে লভ্যাংশ পান তা আয় হিসেবে একাউন্টে থেকে যায়। ইদানিং অফিসে তার সময় ভালো যাচ্ছে না। অফিসের নতুন বস তাকে দায়িত্বের বাহিরেও অনেক কাজ দেয়, যাকে আমরা প্যারা বলি।



তিনি রাত বিরাতে খুদে বার্তা পাঠিয়ে কাজের অগ্রগতি জানতে চান। আবার কোন কোন দিন অহেতুক অধিক রাত্র কাজ করান। ওভার টাইম চাইলে তিনি মাইন্ড করেন। এখন ফরিদ সাহেব ভাবছেন নিজেই উদ্যোক্তা হয়ে ব্যবসা দিবেন। কিন্তু কি ব্যবসা করবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। আবার তিনি এইও ভাবছেন আপাতত চাকুরীর পাশপাশি ব্যবসা করবেন, ব্যবসা যখন ভালো মতো দাঁড়িয়ে যাবে তখন চাকুরীটা ছেড়ে দিবেন। এখন চাকুরীর পাশাপাশি কোন ব্যবসাটি ভালো হবে তা সিদ্বান্ত নিতে পারছেন না।

মানুষ কেন চাকুরী অবস্থায় ব্যবসা করতে চায়ঃ চাকুরী অবস্থায় সবাই চায় বেতনের বাইরে অতিরিক্ত টাকা উপর্জন করতে, যাতে বেতনের টাকায় চাপ কম পরে, অথবা মাস শেষে হাত খালি না হয়। ইহা ছাড়াও অনেকে আছেন, যারা চাকুরী অবস্থায় ব্যবসা দিয়ে যদি ব্যবসাটি ভালো পজিশনে নিতে পারেন তাহলে তিনি চাকুরীটা একেবারে ছেড়ে দিবেন। এতে করে তার কারো অধীনে থাকতে হবেনা। নিজে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হবেন। এতে করে সমাজে তার একটি আলাদা পরিচয় দাড়িয়ে যাবে। ব্যবসা পপরিচালনায় স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করবেন।  ব্যবসায়ীগণ সমাজে লিডিং লাইফ উপভোগ করেন। তাছাড়া ব্যবসা দিলে প্রচুর কর্মসংস্থা সৃষ্টি সহ দেশের উন্নয়নে অবদান রাখা যায়।

চাকুরীর পাশাপাশি ব্যবসা করতে হলে যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজনঃ নিম্নে এ সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ-

সময়ে হিসাবঃ চাকুরীর পাশাপাশি ব্যবসা করতে হলে প্রথমে সময়ের হিসাব ক্যালকুলেটর করা জরুরী। আপনার অফিস টাইম কয়টায় শুরু হয় এবং কয়টায় শেষ হয় এটা মাথায় রাখতে হবে। আপনি বর্তমানে কত ঘন্টা অফিসে কাজ করছেন, সাপ্তাহিক ছুটি কয়দিন ইত্যাদি হিসাবের মধ্যে আনা প্রয়োজন। তাছাড়া আপনি চাকুরীর পাশাপাশি ব্যবসা করলে চাকুরী জীবনে কি কি প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবে তা নিয়েও ভাবতে হবে। তাই আমাদের পরামর্শ হল সময় হিসাব করে ব্যবসার পরিকল্পনা করুন।

আপনার কত মূলধন আছেঃ আপনার হাতে জমানো মূলধনের উপর ভিত্তি করে ব্যবসার আইডিয়া এবং পরিকল্পনা নিতে হবে। আপনার যদি মূলধন এক থেকে তিন লক্ষ টাকা থাকে তাহলে আপনার আইডিয়া হবে এক রকম, আর যদি তিন থেকে দশ লক্ষ টাকা থাকে তাহলে তার আইডিয়া হবে আরেক রকম। তাছাড়া আপনার  মূলধন যদি দশ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকাও হয় সেক্ষেত্রে আপনি একটি যুৎসই আইডিয়া বেছে নিতে পারেন।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিনঃ আপনাকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কি আপনার ক্যারিয়ারটা সম্পূর্ণ ভাবে চাকুরীর পিছনে ব্যয় করবেন নাকি ব্যবসার পিছনে, অথবা উভয়ে পিছনে ব্যয় করতে চান।

চ্যালেঞ্জে নিনঃ ব্যবসা দেয়ার সাথে সাথে আপনি লাভ করবেন এমনটা ভাবা বোকামি। ব্যবসায় লাভ করতে চাইলে কার্যকরী কৌশল, মার্কেটিং ও সেবা সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় নতুনত্ব আনতে হবে। প্রথম অবস্থায় লোকসান হলে ঘাবড়ে যাবেন না। খুঁজে বের করুণ কি কারণে লোকসান হয়েছে। সেই লোকসান কিভাবে ওভারকাম করা যায় সেটা ভাবুন।

চাপ নিনঃ চাকুরীর পাশাপাশি ব্যবসা করতে চাইলে আপনাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রচুর চাপ নিতে হবে। কেননা অফিস সময়ের শেষে আপনাকে নতুন করে কাজে বসতে হবে। নতুন করে চিন্তা চেতনা সেট করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার শারীরিক চাপের পাশাপাশি মানসিক চাপ মোকাবেলা করতে হবে। তাই চাপ নেওয়ার মন-মানুষিকতা তৈরী করুণ।

প্রোপার চ্যানেল কাজে লাগানঃ আপনার ব্যবসাকে দাড় করতে চাইলে আপনার পরিচিত ও শুভাকাঙখীর সাহা্য্য প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বন্ধু বান্ধব, ক্লাসমেট ও আত্মীয় স্বজনকে কাজে লাগাতে পারেন। আপনার এড়িয়ার এই খবর পৌছে দিন আপনার পণ্য ও সেবা অন্যদের থেকে আলাদা, আপনি সততার সাথে ব্যবসা করছেন।

প্রতিযোগিতায় টিকে থাকাঃ আপনি মনে করবেন না আপনি একাই ব্যবসা করছেন। আপনার আগেও অনেকে একই ধরণের ব্যবসা দিয়ে শুনামের সাথে ব্যবসা জগৎে টিকে আছে। তাই আপনাকেও তাদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার মূলধন ও কর্মী সংস্থাপনের মূল্যায়ণ করুণ। তারপর প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নির্ধারণ করুন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সততা ও বিশ্বস্বতার সাথে চলতে হবে।

কর্মী সংস্থাপন ও অফিস ব্যবস্থাপনাঃ এক্ষেত্রে আপনার পরিকল্পনা ও মূলধন অনুযায়ী আপনি ঠিক করুণ আপনি একা ব্যবসা পরিচালনা করবেন নাকি কর্মী নিয়োগ দিবেন। পরিবার থেকে কতটুকু সহযোগিতা পেতে পারেন তাও নির্ধারণ করুণ। ব্যবসার পরিকল্পনা অনুযায়ী অফিস ব্যবস্থাপনা করতে হবে। প্রথম অবস্থায় বাড়িতে বা বাসায় হলে সমস্যা নেই। অফিস ছোট বা বড় এটা কোন বিষয় নয়। প্রথাগত অফিসের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী যন্ত্রপাতি, ইনষ্ট্রুমেন্ট ক্রয় ও স্থাপন করুণ। অফিস নিয়ে ভাববেন না, ব্যবসা দাড়িয়ে গেলে এমনিতেই বড় অফিস হয়ে যাবে।

দশটি নিশ্চিত লাভজনক ব্যবসার আইডিয়াঃ নিচে দশটি নিশ্চিত লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া দেয়া হলোঃ

১। যৌথ অংশদারিত্ব মালিকানা ব্যবসাঃ চাকুরী পাশাপাশি যৌথ অংশদারিত্ব ব্যবসা একটি যুৎসই ব্যবসার আইডিয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যবসার পার্টনার নির্বাচন করতে হবে সাবধানে। পার্টনার সৎ ও পরিশ্রমী ও বিশ্বস্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। পার্টনারকে বুঝাতে হবে আপনি সব সময় সময় দিতে পারবেন না। যৌথ অংশদারিত্ব মালিকানা ব্যবসার ক্ষেত্রে পর্দার শো-রুম, ইলেকট্রিক শো-রুম, কার সার্ভিসিং, মালামাল সা্প্লাইয়ের এজেন্ট, রেন্ট-এ-কার, কফি সপ, ক্রোকারিজ পণ্য, এয়ার টিকেট ও ট্রাভেল এজিন্সি, মুদি দোকান  ইত্যাদি দেয়া উত্তম।

২। আড়তদারি ব্যবসাঃ হাতে প্রচুর অর্থ, লোকবল ও নিজের যদি জায়গা জমি থাকে তাহলে আড়তদারি ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। আপনি একটি আড়ৎ দিলেন সেখানে খুচরা পাইকারগণ মাল কেনা-বেচা করল। সেই কেনা বেচা মালামালের উপর আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেলেন। এক্ষেত্রে চাউল, হলুদ, মরিচ, পেঁয়াজ, কালোজিরা, পাট, ধনিয়া ইত্যাদির দেয়া উত্তম।

৩। বাসাবাড়ি/ফ্ল্যাট ভাড়া ব্যবসাঃ এই ব্যবসার আইডিয়াটি একটি ইউনিক আইডিয়া। এক্ষেত্রে আপনি যদি শহরে বসবাস করে থাকেন তাহলে বাড়ির মালিক থেকে সম্পূর্ণ বাড়ি অথবা ফ্লাট (যদি সম্ভব হয়) ভাড়া নিন। তারপর সেই বাড়ি/ফ্ল্যাট বেশি ভাড়ায় অন্য কারো কাছে হস্তান্তর করুণ। এতে আপনি নিজে সেই বাড়িতে বিনা ভাড়ায় থাকতে পারবেন, পাশাপাশি তার থেকে বাড়তি আয়ও হবে।

(৪) জমি/গাড়ি ব্যবসার মিডিয়াঃ ঢাকা শহরসহ প্রতিটি বিভাগীয় শহরে জমি ও গাড়ি ক্রয়-বিক্রয় হয় প্রচুর। এই কেনা বেচায় একজন মিডল ম্যান (দালাল বা থার্ড পার্টি) থাকে। আপনি চাইলে থার্ড পার্টি ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণ আয় হবে।

(৫) ব্লগিং: ব্লগিং করা কারো নিকট শখ, আবার কাছে পেশা। আপনি চাইলে ব্লগিংকে পার্ট টাইম পেশা হিসেবে নিতে পারেন। অফিস ছুটির পর প্রতিদিন তিন খেকে চার ঘন্টা সময় দিলেই ব্লগিং সাইট দাড়িয়ে যাবে। ব্লগ থেকে এখন মানুষ ভালো একটি এমাউন্ট আয় করেন। ব্লগে কি লিখবেন এ নিয়ে ভাববেন না, আপনি যে বিষয় ভালো বুঝেন এবং যে বিষয় সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে সে সম্পর্কে লিখতে থাকুন। ভালো মানের ৫০ থেকে ১০০টি আর্টিকেল লিখে এডসেন্স এর জন্য আবেদন করুণ। গুগল কর্তৃপক্ষ যোগ্য মনে হলে আপনাকে এডসেন্স প্রদান করবে। আপনার ব্লগ সাইটে প্রর্দশিত বিজ্ঞাপন থেকে আয় করতে পারবেন। ইহা ছাড়াও ব্লগ থেকে বিভিন্ন ভাবে আয় করা যায় যেমন; পণ্য বিক্রি করে, এ্যাফিলিয়াটেট মার্কেটিং করে, পণ্যের রিভিউ করে ইত্যাদি ইত্যাদি। ফ্রিতে ব্লগ সাইট খুলতে চাইলে ব্লগার ডটকম বেঁছে নিন অথবা টাকার দিয়ে ভালো কোন আইটি ফার্ম থেকে চাহিদা অনুযায়ী ব্লগের ডোমেইন, হোস্টিং ও ডিজাইন করে নিতে পারেন।

(৬) ই-কমার্স সাইটঃ একটি ইকমার্স ওয়েব সাইট খুলে আপন চাইলে খুব সহজে ব্যবসা পরিচালনা করত পারবেন। এক্ষেত্রে  আপনাকে আইটি (ইনফরমেশন ও টেকনোলজি সম্পর্কে) ব্যাসিক জ্ঞান থাকতে হবে। আপনার ই-কমার্স সাইটে অনলাইন ইউজারা পণ্য অর্ডার করলে আপনি সেই পণ্য অফিস থেকে ফিরে প্যাকিং করে নিজে অথবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ডেলিভারী দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি কাস্টমারের কাছ থেকে ১-৭ দিন সময় নিতে পারেন।

(৭) ইউটিউব চ্যানেলঃ ইউটিউব ও ইউটিউব চ্যানেল সম্পর্কে সবার কমবেশি ধারণা আছে। কোনো টাকা ছাড়া  একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে ভালো পরিমানের টাকা করতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট, একটি ল্যাপটপ বা মোবাইল এবং একটি ক্যামেরা (থাকা বাঞ্ছনীয় নয়)। ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করার পর আপনি যে বিষয়ের উপর অভিজ্ঞতা রয়েছে সে বিষয়ের উপর ভিডিও বানাবেন। আপনি চাইলে সরাসরি ভিডিও করেও প্রচার করতে পারবেন। আপনার চ্যানেল যদি ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টার অধিক দেখা (ভিউ) হয় তাহলে মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করেবেন। মনিটাইজেশন পাওয়া গেলে ভিডিওতে গুগল এডসেন্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রদর্শণ হবে এবং এতে আপনি প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।

(৮) কন্টেট রাইটিং: বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগ। অনলাইনে প্রচুর পরিমানে ব্লগ সাইট, ওয়েব সাইট, ফেসবুক পেইজ আছে। এই সাইটগুলোতে প্রচুর পরিমাণে কন্টেট এর চাহিদা রয়েছে। নেট দুনিয়ায় অনেক ব্যবসায়িক, প্রোফেশনাল ব্লগ ও ওয়েব সাইট রয়েছে, যারা টাকার বিণিময়ে কন্টেট রাইটার নিয়োগ করে থাকে। কষ্ট করে একটু গুগলে র্সাচ করলে এই ধরণের ওয়েব সাইট খুঁজে পাবেন। এই কন্টেট রাইটার আবার বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। যেমন, প্রোজেন্টেশন রাইটার, আর্টিকেল রাইটার, ফিচার রাইটার ইত্যাদি। আপনি আপনার স্কিল অনুযায়ী যেকোন একটি বেঁছে নিন, নিশ্চিত আয় করুণ।

(৯) অনলাইন ট্রেনিং কোর্স বা  অনলাইন শিক্ষকতা সেবা বিক্রিঃ কোভিট-১৯ মহামারীর কারণে বিশ্বব্যাপী শিখন পদ্ধতির নতুন একটি পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা হলো অনলাইন ট্রেনিং কোর্স বা অনলাইন শিক্ষকতা পরিসেবা। সারা বিশ্বেই এর চাহিদা রয়েছে। আপনার যদি কোন বিষয়ের উপর যথেষ্ট প্রতিষ্ঠানিক দক্ষতা, সার্টিকেট এবং ইংলিশে ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি অনলাইনে সারা বিশ্বব্যাপী এই কোর্স পরিসেবা দিতে পারবেন। আপনি চাইলে বাংলাদেশেও এই পরিসেবা চালু করতে পারবেন। বাংলাদেশে বিডিজবস সহ অনেকগুলো সাইটে এই পরিসেবার সুযোগ দিয়ে থাকে। এ থেকে আপনি একটি ভালো অংকের টাকা আয় করবেন।


(১০)মজুতদারি ব্যবসাঃ বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে প্রতিনিয়ত পণ্যের দাম উঠা নামা করে এবং বছর শেষে পণ্যের দাম একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বেড়ে যায়। এখন আপনার যদি হাতে জমানো ও অলস টাকা থাকে তাহলে পণ্য মজুতদারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি পঁচনশীল ও অপচনশীল দ্রব্যের ব্যবসা করতে পারেন। পচনশীল দ্রব্যের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও আড়তদারি পণ্য থাকতে পারে এবং অচনশীল দ্রব্যের মধ্যে ইলেকট্রিক পণ্য হলে ভালো হয়।

 

শেষ কথাঃ কোন ব্যবসা শুরু করবেন কিভাবে করবেন আর কখন করবেন এটা আপনার সক্ষমতা, সময় ও পরিকল্পনার ভিত্তি কর করবেন। ধৈর্যসহ লেগে থাকলে একদিন সফলতা আসবে ইনশা-আল্লাহ।

এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের সামন্য উপকারে আসে তাহলে মন্তব্যের মাধ্যমে অবশ্যই আমাদের জানাবেন।
x

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন