মূলধন ও বিনিয়োগের মধ্যে পার্থক্য কী আজকে আলোচনা করব।
সাধারনভাবে মূলধন ও বিনিয়োগ সমার্থক মনে হলেও এদের মধ্যে নিম্নোক্ত পার্থক্যগুলো পরিলক্ষিত হয়।
প্রথমত : যেসব দ্রব্য মানুষের দ্বারা উৎপাদিত হয়ে পুনরায় উৎপাদনের জন্য ব্যয় হয় তাকে মূলধন বলে। : মূলধন হচ্ছে উৎপাদনের উৎপাদিত উপাদান। পক্ষান্তরে বিনিয়োগ হচ্ছে বর্তমান মূলধন দ্রব্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করণের উৎপাদন বৃদ্ধিতে স পক্ষান্তরে, একটি নির্দিষ্ট সময়কালে বর্তমান মূলধন বৃদ্ধি ও অবক্ষয় পূরণের জন্য যে ব্যয় হয় তাকে বিনিয়োগ বলে । দ্বিতীয়ত : পুরোতন মূলধন দ্রব্যের প্রতিস্থাপনজনিত ব্যয় ।
তৃতীয়ত : মূলধনকে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা হয় বিনিয়োগ দ্বারা। মূলধনের বৃদ্ধি দ্বারা দেশের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত উৎপাদন ক্ষমতা নির্দেশিত হয় । পক্ষান্তরে সে উৎপাদন ক্ষমতার বাস্তবতার যাঁচাই হয় বিনিয়োগ দ্বারা।
চতুর্থত : মূলধনকে সাধারণত চলতি ও স্থায়ী মূলধন এ দু'ভাগে ভাগ করা যায়। অপরপক্ষে বিনিয়োগকে মোট বিনিয়োগ ও নীট বিনিয়োগ এ দু'ভাগে ভাগ করা হয় ।
পঞ্চমত: মূলধন সাধারণত একটি ফার্মের সম্পদের অবস্থা বা যন্ত্রপাতি, সাজসরঞ্জামের ও ইনভেন্টরির পরিমাণ নির্দেশ করে যা অনেকটা বস্তুগত ধারণা। পক্ষান্তরে বিনিয়োগ দ্বারা কোনো ফার্মের প্লান্ট সম্প্রসারণ বা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে তা নির্দেশ করে। অর্থাৎ মূলধন আর্থিক বিষয় না হলেও বিনিয়োগ পুরোপরি আর্থিক বিষয় পরিশেষে বলা যায়, একটি দেশের উৎপাদন ক্ষমতার দিকনির্দেশ করে মূলধনের স্টক এবং উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির দিক নির্দেশ করে বিনিয়োগ।
উৎস: সামষ্টিক অর্থনীতি, মো: জাহাঙ্গীর আনাম ও অন্যান্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন