রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ লিপি লেখার নিয়ম- সত্যের ছায়া

টেলিভিশন, ইলেকট্রিক, প্রিন্ট ও অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই ভুল ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিগত দিনে এই মিথ্যা সংবাদ আসলে তা ‘গুজব’

বলে চিহ্নিত করা হয় তা প্রকাশের কারণে অনেক জান ও মালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে জাতীয় পর্যায়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়াগুলো পুরোপুরো মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ না করে আংশিক, কল্পণা প্রসৃত এবং অপেশাদারী সংবাদ প্রকাশ করার কারণে  সংবাদের প্রতিবাদ করতে হয়। এই প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ লিপিলেখার কতগুলো নিয়ম রয়েছে। নিম্নে সেগুলো উল্লেখ করা হলোঃ

১। যাকে উদ্দেশ্য করে লিপি লিখছেন তার নাম/পদবী, পত্রিকার নাম ও ঠিকানা।
২। বিষয়ঃ কোন বিষয়ে অর্থাৎ প্রকাশিত সংবাদের মূল হেড লাইন ও আপনার বক্তব্য।
৩। সম্মোধনের পর খবরের শিরোনাম, তারিখ, খবরের লিঙ্ক, লেখার পর খবরের কোন জায়গায় আপনার প্রতিবাদ রয়েছে সেটি লিখতে হবে। উক্ত খবরের প্রতিবাদে আপনার কি বক্তব্য রয়েছে সেটিও উল্লেখ করতে হবে। এ ব্যাপারে জনমনে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর জন্য অনুরোধ করতে হবে।
৪। প্রতিবাদ লিপিটি পত্রিকায় ছাপানোর জন্য অনুরোধ করতে হবে।
৫। সবার শেষে প্রতিবাদকারীর নাম/পদবী, ঠিকানা ইত্যাদি উল্লেখ করা প্রয়োজন।

নমুনা-১

তাং ২৫/০৫/২০২৩

বরাবর
মাননীয় সম্পাদক
দৈনিক প্রথম আলো
১০০ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ
কারওয়ান বাজার, ঢাকা।

বিষয়ঃ “হিমাগার থেকে ২৫ টন জাটকা জব্দ” প্রতিবেদনের প্রতিবাদ ও এ. কে খান এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের বক্তব্য।

গত ২১ মে ২০২৩ তারিখে “দনৈকি প্রথম আলো” পত্রিকায় “হিমাগার থেকে ২৫ টন জাটকা জব্দ” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি এ. কে. খান এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের দৃষ্টিগোচর হয়। উক্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে এ. কে. খান এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের নিম্নোক্ত বক্তব্যগুলো আপনার স্বনামধন্য পত্রিকায় প্রকাশের জন্য অনুরোধ করছি।

উপরোক্ত প্রতিবেদনটিতে অসম্পূর্ণ অনুসন্ধান ও শব্দের ভুল চয়ন ও ব্যবহারের কারনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে এবং এ. কে. খান এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের নাম ও অবস্থান ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এ. কে খান এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের নাম সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সাথে কোনরকম যোগাযোগ করা হয়নি, এবং সুত্রোক্ত সংবাদ সম্পর্কে অত্র কোম্পানির ব্যাখাও দাবী করা হয়নি, যা সাংবাদিকতা নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। 

প্রকৃত বক্তব্য এই যে, মেসার্স রেশমী ফিশ ট্রেডার্স নামক প্রতিষ্ঠানটি চুক্তি ভিত্তিতে এ. কে. খান এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের একটি হিমাগার ভাড়া নিয়ে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন প্রকারের মাছ সংরক্ষণ এবং পরিচালনা করে আসছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী উক্ত হিমাগারটি সম্পূর্ণরুপে ভাড়াটিয়া মেসার্স রেশমী ফিশ ট্রেডার্স এর নিয়ন্ত্রনাধীন থাকাকালীন সময়ে, গত ২০শে মে, ২০২৩ তারিখে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। 

যেহেতু উক্ত হিমাগারটি বহুদিন যাবত সাধারন জনগনের কাছে “এ. কে খান কোল্ড স্টোরেজ” নামে পরিচিত, সেহেতু এ. কে. খান এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের হিমাগার থেকে জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়েছে মর্মে ভুলভাবে সংবাদ প্রকাশিত হয়, যেখানে এ. কে. খান এন্ড কোম্পানি কোনরকম মাছ ধরা বা সংরক্ষন এর ব্যবসায় নিয়োজিত নয়। এই বেআইনি কাজের সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব রেশমী ফিশ ট্রেডার্সের, তবে অসম্পূর্ণ অনুসন্ধান এর ভিত্তিতে প্রতিবেদনটিতে এ.কে. খান এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের নাম প্রকাশিত  হয়।

এ. কে. খান এন্ড কোম্পানি সর্বদা দেশের আইন-কানুন যথাযথ ভাবে মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করছে। প্রতিবেদনটিতে কোম্পানির নামটি ভূলভাবে উপস্থাপনের ফলে কোম্পানির সুনাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও জণমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। কোল্ড স্টোরেজ ভাড়া প্রদানকারী হিসেবে ভাড়াটিয়া কর্তৃক সংঘটিত অপরাধের দায় কোন ভাবেই এ. কে. খান এন্ড কোম্পানির উপর বর্তায় না।

এমতবস্থায়, গত ২১শে মে, ২০২৩ইং তারিখে “হিমাগার থেকে ২৫ টন জাটকা জব্দ” নামক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সংশোধন করে সংবাদ প্রকাশ পূর্বক পাঠক ও এ. কে. খান এন্ড কোম্পানির নিকট সঠিক তথ্য উপস্থাপনের জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো।  

বিনীত নিবেদক,
এ.কে. খান এন্ড কোম্পানি লিমিটেড এর পক্ষে,


মো: সামিউল হক (অব:)
চীফ অপারেটিং অফিসার

তাং ২৮/০৫/২০২৩

নমুনা-২

বরাবর
মাননীয় সম্পাদক
দৈনিক আজাদী
৯, সিডিএ বাণিজ্যিক এলাকা, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম।

বিষয়ঃ “কোল্ড স্টোরেজে ২৫ হাজার কেজি জাটকা জব্দ, জরিমানা” প্রতিবেদনের প্রতিবাদলিপি প্রকাশের অনুরোধ। 
গত ২১ মে ২০২৩ তারিখে “দৈনিক আজাদী” পত্রিকায় “কোল্ড স্টোরেজে ২৫ হাজার কেজি জাটকা জব্দ, জরিমানা” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি এ. কে খান এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের দৃষ্টিগোচর হয়। উক্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে এ. কে. খান এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের নিম্নোক্ত বক্তব্যগুলো আপনার স্বনামধন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশের জন্য অনুরোধ করছি।

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ২১ মে ২০২৩ তারিখে “দৈনিক আজাদী” পত্রিকায় “কোল্ড স্টোরেজে ২৫ হাজার কেজি জাটকা জব্দ, জরিমানা” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে অসম্পূর্ণ অনুসন্ধান ও শব্দের ভুল চয়ন ও ব্যবহারের কারনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে এবং এ. কে. খান এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের নাম ও অবস্থান ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এ. কে খান এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের নাম সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সাথে কোনরকম যোগাযোগ করা হয়নি, এবং সুত্রোক্ত সংবাদ সম্পর্কে অত্র কোম্পানির বক্তব্য গ্রহণ করা হয়নি। 
প্রকৃত ঘটনা এই যে, মেসার্স রেশমী ফিশ ট্রেডার্স নামক প্রতিষ্ঠান চুক্তি ভিত্তিতে এ. কে. খান এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের একটি হিমাগার ভাড়া নিয়ে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন প্রকারের মাছ সংরক্ষণ এবং পরিচালনা করে আসছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী উক্ত হিমাগারটি সম্পূর্ণরুপে ভাড়াটিয়া মেসার্স রেশমী ফিশ ট্রেডার্স এর নিয়ন্ত্রনাধীন থাকাকালীন সময়ে, গত ২০শে মে, ২০২৩ তারিখে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়।

যেহেতু উক্ত হিমাগারটি বহুদিন যাবত সাধারন জনগনের কাছে “এ. কে খান কোল্ড স্টোরেজ” নামে পরিচিত, সেহেতু এ. কে. খান এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের হিমাগার থেকে জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়েছে মর্মে ভুলভাবে সংবাদ প্রকাশিত হয়, যেখানে এ. কে. খান এন্ড কোম্পানি কোনরকম মাছ ধরা বা সংরক্ষন এর ব্যবসায় নিয়োজিত নয়। এই বেআইনি কাজের সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব মেসার্স রেশমী ফিশ ট্রেডার্সের, অথচ অসম্পূর্ণ অনুসন্ধান এর ভিত্তিতে প্রতিবেদনটিতে এ.কে. খান এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের নাম প্রকাশিত  হয়।

এ. কে. খান এন্ড কোম্পানি সর্বদা দেশের আইন-কানুন যথাযথ ভাবে মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করছে। প্রতিবেদনটিতে কোম্পানির নামটি ভূলভাবে উপস্থাপনের ফলে কোম্পানির সুনাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও জণমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। কোল্ড স্টোরেজ ভাড়া প্রদানকারী হিসেবে মেসার্স রেশমী ফিশ ট্রেডার্সের কর্তৃক সংঘটিত অপরাধের দায় কোন ভাবেই এ. কে. খান এন্ড কোম্পানির উপর বর্তায় না।”

এ.কে. খান এন্ড কোম্পানি লিমিটেড এর পক্ষে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: সানাউল হক (অব:), চীফ অপারেটিং অফিসার

এমতবস্থায়, উপরোক্ত বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ পূর্বক গত ২১শে মে, ২০২৩ইং তারিখে “কোল্ড স্টোরেজে ২৫ হাজার কেজি জাটকা জব্দ, জরিমানা” নামক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি যেহেতু জণমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে এবং এ.কে খান এন্ড কোম্পানির সুনাম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, তাই উক্ত সংবাদটি অনলাইন সংস্করণ সহ সংশোধন পূর্বক এ.কে. খান এন্ড কোম্পানির নাম অপসারণের জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো।

বিনীত নিবেদক,
এ.কে. খান এন্ড কোম্পানি লিমিটেড এর পক্ষে, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: সামিউল হক (অব:)




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Recent Post

Proposal for Sale of Commercial Lands- Sotterchaya