যোগাযোগ ব্যর্থতার ফলাফল মারাত্মক। যোগাযোগের কমতি বা ব্যর্থ যোগাযোগের কারণে কোন একটি প্রজেক্ট সম্পূর্ণভা ব্যর্থ হতে পারে। যোগাযোগ দক্ষতার অভাবে অনেক সময় কাঙ্খিত ফলাফল আসেনা। তাই ম্যানেজমেন্ট বা পরিচালকগণ তাদের প্রজেক্ট বাতিল করতে বাধ্য হন। অনেক সময় এই ব্যর্থতার দায় কর্মীদের উপর চাপিয়ে দেন। যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যর্থ যেগাযোগের কারণে অনেক সময় কোন কোন ইউনিট সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। রাষ্ট্রীয় যোগাযোগের ব্যর্থতার দায় জনগণ ভোগ করে। ব্যবসায়িক যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের উপর সামগ্রিক প্রভাব পড়ে। এক্ষত্রে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাঙ্খিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হাসিল হয়না। ফলে প্রতিষ্ঠান কাঙ্খিত মুনাফা অর্জণ করতে পারেনা। ফলে প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্য হুমকির সম্মুখীন হয়। নিম্নে যোগাযোগ ব্যর্থতার প্রধান প্রধান ফলাফলগুলো উল্লেখ করা হলোঃ
- ব্যবসায় / সদিচ্ছার ক্ষতি।
- অর্থ ও সময়ের অপচয়।
- উৎপাদনশীলতা হ্রাস।
- দুর্বল সমন্বয় এবং নিয়ন্ত্রণ।
- হতাশা ও শত্রুতা।
- চাকরিতে অসন্তুষ্টি।
- মনোবল হ্রাস এবং দলের মনোভাবের ক্ষতি।
- দ্বন্দ্ব এবং তর্ক।
- উচ্চ কর্মচারী টার্নওভার।
- ফায়ারিং স্কোয়াডের জন্য নির্বাচিত।
উপরে উল্লেখিত পয়েন্ট ছাড়াও যোগাযোগ ব্যর্থতার ফলাফলে আরো অনেক বিষয় জড়িত রয়েছে। সেগুলো ঘটনা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। তাই বলা যায় যে দক্ষ যোগাযোগ ব্যবস্থা নেতৃত্ব ও অবস্থানে সবার উপরে থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন