বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০২৩

ভাউচার কাকে বলে? ভাইচারের প্রকারভেদ সমূহ- সত্যের ছায়া

ভাউচার হল এমন একটি নথি, যাতে প্রমাণ হয় যে পণ্যগুলি কেনা হয়েছে বা পরিষেবাগুলি রেন্ডার (ভাড়া) করা হয়েছে এবং যাতে অর্থপ্রদানের অনুমোদন এবং প্রমাণ দেয়।

পণ্য ক্রয় ও বিক্রয়  লেনদেন পরবর্তীতে  লেজার অ্যাকাউন্টে রেকর্ড করতে প্রমাণ হিসেবে ভাউচার দাখিল করা হয়। অন্য কথায় ভাইচার একটি লিখিত দলিল যা একটি লেনদেনের জন্য নিশ্চিত বা সাক্ষী (স্বাক্ষ্য) প্রদান করে।

ভাউচারের প্রকারভেদ:
১) রসিদ ভাউচার
২) পেমেন্ট ভাউচার
৩) নগদ বা ট্রান্সফার ভাউচার
৪) সহায়ক ভাউচার

১। রশিদ ভাইচার হলো একটি নথি বা দলিল যা প্রমাণ দেয় যে ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে নির্দিষ্ট দামে নির্দিষ্ট পরিমাণ  পণ্য বিণিময় বা লেনদেন হয়েছে। যাতে বিক্রেতার যাবতীয় তথ্য লিপিবদ্ধ থাকে এবং যা পরবর্তীতে জার্নাল বা লেজার বহিতে তথ্য লিপিবদ্ধ করার জন্য প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, আপনি সুলতান ডাইন থেকে খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি কিনলে তারা  আপনাকে একটি রশিদ ভাইচার দিতে বাধ্য থাকিবে।

২) পেমেন্ট ভাউচার| একটি পেমেন্ট ভাউচার হল সরবরাহকারীদের করা পেমেন্ট রেকর্ড করার এবং আপনার ব্যবসা করা অর্থপ্রদানের ইতিহাস বজায় রাখার একটি উপায়। কোম্পানিগুলি ভাউচার ব্যবহার করে সমর্থনকারী নথি সংগ্রহ এবং ফাইল করার জন্য যা দায়বদ্ধতার অর্থপ্রদান অনুমোদন এবং ট্র্যাক করার জন্য প্রয়োজন।

৩) নগদ বা ট্রান্সফার ভাউচার (নন-ক্যাশ ভাউচার) - এই ভাউচারগুলিকে ট্রান্সফার ভাউচারও বলা হয় এবং এগুলি শুধুমাত্র ক্রেডিট লেনদেনের জন্য প্রস্তুত করা হয়। এই ধরনের লেনদেনের উদাহরণ হল ক্রেডিট ক্রয় বা পণ্য বিক্রয়, ক্রেডিটের উপর স্থায়ী সম্পদ ক্রয় বা বিক্রয় ইত্যাদি।

১) রসিদ ভাউচারঃ সমান্তরাল ভাউচার: সমান্তরাল ভাউচার, যা সহায়ক ভাউচার নামেও পরিচিত, সেইগুলি যা একটি আসল ভাউচারের অনুপস্থিতিতে তৈরি করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি লেনদেনের সমর্থনে নগদ মেমোর কার্বন কপি।

ভাইচার প্রদানের প্রকারভেদ বা মাধ্যমঃ বর্তমানে দুই ধরণের ভাইচার লিপিবদ্ধ করা হয়- 
(১) ডিজিটাল ।
২। এনালগ বা প্রাচীন প্রচলিথ মাধ্যম।

১। ডিজিটালঃ যেমন অনলাইন থেকে কোন পণ্য ক্রয় করলে আপনি যদি বিকাশ, নগদ বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পণ্যের দাম পরিশোধ করেন তাহলে আপনাকে ডিজিটাল মাধ্যমে সাথে সাথে ভাইচার প্রদান করবে।
 (২) এনালগ বা রশিদ বই মাধ্যমঃ এই মাধ্যমে হলো অতি প্রাচীন মাধ্যমে যেখানে রশিদ বই প্রিন্ট করে তার উপর হাতে বা কম্পিউটারে লিখে ক্রেতাকে রশিদ প্রদান করা হয়। তবে কম্পিউটারে লিপিবদ্ধ করে রশিদ প্রদান করার মাধ্যম ডিজিটাল পদ্ধতির আওতাভুক্ত হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Recent Post

Proposal for Sale of Commercial Lands- Sotterchaya